শুধু জেল জরিমানা দিয়ে মাদক নিয়ন্ত্রন আনা সম্ভব না : ডিসি
Published: 26th, June 2025 GMT
মাদকদ্রব্যে অপব্যবহার অবৈধ পাচারবিরোধী অন্তর্জাতিক দিবস ২০২৫ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জের আয়োজনে এ কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মসূচীর শুরুতেই সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামন থেকে একটি র্যালি বের হয়। র্যালি শেষে এক আলোচনা সভা পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রসিকিউটর ফৌজিয়া মুবাশ্বেরাহ নীলিম সঞ্চালনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জের উপপরিচালক মো বাহাউদ্দিন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহেল, ডা.
এ সময় ডিসি প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাদকের নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে বলেন, আমাদের সন্তানেররা কেনো মাদকে আসক্ত হচ্ছে, কেনো মাদকের অবদা বিচরণ। মাদকের এখন ওপেন মার্কেট। ওপেন মার্কেটে দেখবেন যার ডিমান্ড আছে সেটা আসবে এই ডিমান্ড সৃষ্টি হলো কেনো।
এই ডিমান্ড যদি হ্রাস করতে না পারি তাহলে শুধু জেল জরিমানা দিয়ে মাদক নিয়ন্ত্র আনা সম্ভব না। মাদকের যে ডিমান্ড সেটি হ্রাস করতে হবে। এই বিষয় আমাদের সচেতন হতে হবে। মাদেকের খারাপ বিষয় গুলো তুলে ধরতে হবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ অন ষ ঠ
এছাড়াও পড়ুন:
চার ছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণ শিক্ষকের
দরিদ্র পরিবারের চার স্কুলছাত্রীকে আটকে রেখে ধারাবাহিক ধর্ষণের অভিযোগে হওয়া মামলায় এক শিক্ষক গ্রেপ্তার হয়েছেন। গতকাল বুধবার সকালে ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে তাকে আটক করে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা পুলিশ। এ সময় তিন ভুক্তভোগী কিশোরীকেও উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার মিজানুর রহমান মিজান (৪৫) নারায়ণগঞ্জ সদরের পাগলা উচ্চ বিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক। তার বাড়ি বরিশালের আগৈলঝাড়ায়। পুলিশ জানিয়েছে, মিজানের বিরুদ্ধে ঢাকার একটি থানায় আগেও পর্নোগ্রাফি ও ধর্ষণের মামলা আছে।
পুলিশ জানিয়েছে, পাগলা উচ্চ বিদ্যালয়ে শুক্রবার আর্ট ও কম্পিউটারের ক্লাস নেন মিজান। থাকেন ঢাকার মোহাম্মদপুরের সাদেক খান রোডের বাসায়। দরিদ্র পরিবারের কয়েক শিক্ষার্থীকে টার্গেট করে নানা প্রলোভনের ফাঁদে ফেলেন তিনি। ৬ জুন দশম শ্রেণির দুই ছাত্রীকে কৌশলে মোহাম্মদপুরের বাসায় নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। একই কায়দায় ১১ জুন একই শ্রেণির আরেক ছাত্রীকে সেখানে নিয়ে ধর্ষণ করেন। সর্বশেষ ২৩ জুন দশম শ্রেণির আরেক ছাত্রীকে মোহাম্মদপুরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। চার কিশোরীকে উন্নত জীবনের প্রলোভন দেখিয়ে সেখানে আটকে রাখেন। তাদের অভিভাবকদের কেউ ইটভাটার শ্রমিক, কেউ দিনমজুর বা ভাঙাড়ি বিক্রেতা।
২৪ জুন মিজানের বাসা থেকে কৌশলে পালিয়ে আসে এক কিশোরী। সে পরিবারসহ আটকে রাখা অন্যদের পরিবারকেও বিষয়টি জানায়। থানা পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে ওই মেয়েটিকে নিয়ে বুধবার সকালে মোহাম্মদপুর যায়। পরে বন্দিদশা থেকে তিন কিশোরীকে উদ্ধার করে।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শরিফুল ইসলাম বলেন, অভিযান চালিয়ে ওই শিক্ষককেও আটক করা হয়। এই ঘটনায় ফতুল্লা থানায় মামলা হলে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ৬ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে তানভীর আহমেদ (২১) নামের এক তরুণকে পিটিয়ে পুলিশে দিয়েছে জনতা। মঙ্গলবার রাতে তাকে থানায় দেওয়া হয়। সে সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদি নতুন মহল্লার বাসিন্দা।
ভুক্তভোগী শিশুর পরিবার জানায়, সোমবার সন্ধ্যায় পাইনাদি নতুন মহল্লা নাজমা উকিলের চারতলা ভবনের নিচতলায় খেলা করছিল ওই শিশুটি। সুযোগ বুঝে চকলেটের লোভ দেখিয়ে তাকে বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করে তানভীর। পরে তাকে একটি মাঠ থেকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে স্বজন।
মঙ্গলবার মেয়েটিকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে সে ধর্ষণের বিষয়টি জানায়। রাতেই এলাকাবাসী তানভীরকে পিটিয়ে পুলিশে দেয় বলে নিশ্চিত করেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহীনুর আলম।