রিমান্ড শেষে আইভী কারাগারে
Published: 26th, June 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দুপুরে রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে ওঠানো হলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শহীদুল ইসলাম চৌধুরী কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো.
এর আগে গত ১৮ জুন সজল মিয়া হত্যা মামলায় তার সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মঈনউদ্দীন কাদির দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ৯ মে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগ এলাকার চুনকা কুটিরের নিজ বাসা থেকে সেলিনা হায়াৎ আইভীকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। পরে মিনারুল নামের একজনকে হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আইভীর বিরুদ্ধে হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মোট ছয়টি মামলা আছে। সবগুলোতেই তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। গ্রেফতারের পর থেকে তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে আছেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
মাদ্রাসাছাত্র সোলাইমান হত্যা মামলায় রিমান্ড শেষে আনিসুল হক কারাগারে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে মাদ্রাসাছাত্র সোলাইমান (১৯) হত্যা মামলায় চার দিনের রিমান্ড শেষে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাফিয়া শারমিনের আদালতে হাজির করা হলে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।
মামলার তদন্ত করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ কাইউম খান প্রথম আলোকে জানান, আনিসুল হককে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গত বছরের ২২ আগস্ট সোলাইমানের ভগ্নিপতি শামীম কবির সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শামীম ওসমানসহ ৫১ জনের নাম উল্লেখে অজ্ঞাতপরিচয় আরও অনেককে আসামি করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলাটি করেছিলেন। সোলাইমান মাদারীপুরের রাজৈর থানার কবিরাজপুর এলাকার মিরাজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি রাজধানীর মিরপুর দারুর রাসাত মাদ্রাসার ছাত্র ছিলেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন পণ্ড করার জন্য আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীরা ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করেন এবং জনমনে আতঙ্ক তৈরি করেন। আসামিদের নির্দেশে ছাত্র–জনতার ওপর গুলি ও আক্রমণ করা হয়। বেলা দেড়টার দিকে ডান পায়ের ঊরুতে গুলিবিদ্ধ হন সোলাইমান। পরে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।