‘মাথায় সমস্যা’ দেখা দেওয়ায় নারায়ণগঞ্জ থেকে এক তরুণকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে এসেছিলেন তাঁর মা–বাবা। শুক্রবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে আরিফ হোসেন নামের ওই তরুণকে নিউরোসার্জারির চিকিৎসক দেখাতে আনা হয়। সমস্যার বিষয়ে জানতে চাইলে আরিফ চিৎকার করে চিকিৎসকের ওপর চড়াও হন। এরপর ওই তরুণকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, আরিফ ওই চিকিৎসকের ওপর চড়াও হলে তার প্রতিবাদে নিউরোসার্জারি ওয়ার্ডের অন্য চিকিৎসকেরা রোগীদের চিকিৎসাসেবা বন্ধ করে দেন। খবর পেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো.

আসাদুজ্জামান ওই ওয়ার্ডে আসেন এবং চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় হাসপাতালের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। পরিচালকের নির্দেশে হাসপাতালে কর্তব্যরত আনসার সদস্যরা আরিফকে আটক করে শাহবাগ থানার পুলিশের সোপর্দ করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মনসুর প্রথম আলোকে বলেন, আরিফ হোসেনকে ডিএমপি অধ্যাদেশ আইনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার তাঁকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করা হবে।

আরিফ (১৮) সপরিবার নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কাশিমপুর খিল মার্কেট এলাকায় থাকেন। তিনি সেখানে একটি প্রিন্টিং কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। তাঁকে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য নিয়ে এসেছিলেন তাঁর বাবা তাজউদ্দীন ও মা শিল্পী বেগম। ঘটনার পর তাঁরা হাসপাতালের পরিচালককে বলেন, নারায়ণগঞ্জের একজন চিকিৎসকের পরামর্শে তাঁরা ছেলেকে এই হাসপাতালের নিউরোসার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসক দেখাতে এবং সিটি স্ক্যান করাতে এসেছিলেন।

আরিফের অভিভাবকেরা জানান, এক সপ্তাহ আগে নারায়ণগঞ্জ এলাকায় তাঁদের ছেলে মারধরের শিকার হয়েছিলেন। তার পর থেকে মাথায় সমস্যা দেখা দেয়। তিনি ঠিকমতো কথা বলেন না, হঠাৎ রেগে যান। সেই ঘটনার পর থেকে চিকিৎসক দেখাচ্ছেন। এই কথা শোনার পর ও কাগজপত্র দেখে চিকিৎসকেরা শান্ত হন এবং কাজে ফিরে যান। ফলে ওয়ার্ডের চিকিৎসাসেবা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার মো. আসাদুজ্জামান তখন বলেন, আরিফের মা-বাবা হাসপাতালে এসেই চিকিৎসককে এ কথা কেন জানালেন না। তাহলে তো এমন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটত না।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ চ ক ৎসক র সমস য

এছাড়াও পড়ুন:

রূপগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে আমীর হোসেন (৫০) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক হুমায়রা তাসমিন এই রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আমীর হোসেন জামালপুর জেলার ইসলামপুরের মহলগিরী এলাকার শাহ জামালের ছেলে। রায় ঘোষণার সময়ে তিনি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।

কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. কাইউম খান জানান, রূপগঞ্জের পশ্চিমগাঁও এলাকার মো. আবু তালেবের মেয়ে বিলকিছ বেগমের সঙ্গে আমীর হোসেনের বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে পারিবারিক ঝগড়া-বিবাদ লেগে থাকত।

২০০৩ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে আমীর হোসেন বিলকিছ বেগমকে তাদের বাড়ির পাশে ডেকে নিয়ে হত্যা করে। এই ঘটনায় বিলকিছের বাবা আবু তালেব রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত এই রায় দেন।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা লিফলেট বিতরণ
  • ইনসাফপূর্ণ সমাজ গঠনে আল কোরআনের কোন বিকল্প নাই : ড. ইকবাল
  • হাসপাতালে শয্যাসংকট, মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা
  • মহানবমীতে আড়াইহাজার ও রূপগঞ্জের বিভিন্ন মন্দির পরিদর্শনে না.গঞ্জ ঐক্য পরিষদ  
  • রূপগঞ্জে চার শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে
  • দুই মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে ১৯ কিলোমিটার যানজট
  • নারায়ণগঞ্জে সাদাপোশাকে আসামি ধরতে গিয়ে হামলার শিকার, র‌্যাবের ৩ সদস্য আহত
  • বিএনপির এই ভালোবাসা সনাতন সম্প্রদায় ভুলবে না : শিপন সরকার 
  • না.গঞ্জ সদরের বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শনে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা
  • রূপগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন