কুয়াকাটায় অতিরিক্ত মদপানে পর্যটকের মৃত্যু
Published: 29th, June 2025 GMT
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় অতিরিক্ত মদপানে সাজিদুল ইসলাম (১৭) নামের এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (২৯ জুন) বেলা এগারোটার দিকে কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
সাজিদুল নেত্রকোনা জেলার গোড়াগাও গ্রামের ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে। তিনি নারায়ণগঞ্জের একটি খাবার হোটেল কাজ করতেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার নারায়ণগঞ্জ থেকে সাজিদুল ও তার বন্ধু হাবিব কুয়াকাটায় বেড়াতে এসে হোটেল স্কাই ভিউর ৪০৮ নম্বর কক্ষে ওঠেন। পরে ওই রাতেই সাজিদুল অতিরিক্ত মদপান করেন।
শনিবার সকালে তীব্র পেটব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় একটি ফার্মেসি থেকে ওষুধ সেবন করেও অবস্থার উন্নতি হয়নি। পরে রবিবার সকাল আটটার দিকে শাজিদুলকে কুয়াকাটা হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে কলাপাড়া হাসপাতালে রেফার করা হয়।
তবে তার বন্ধু হাবিব সাজিদুলের কথায় তাকে সেখানে না নিয়ে আবার হোটেল রুমে ফিরিয়ে নেন। কিছুক্ষণ পর অবস্থার আরও অবনতি হলে সাজিদুলকে আবারো কুয়াকাটা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সাজিদুলের বন্ধু হাবিব জানান, সাজিদুল তার অজান্তে মদপান করেন। আজ সকালে সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। ডাক্তার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কলাপাড়ায় নিতে বলেন। কিন্তু সাজিদুল অনেকটা সুস্থবোধ করছে জানায় এবং তাকে হাসপাতালে না নিয়ে হোটেলে নিয়ে যেতে বলেন। পরে সাজিদুলের কথায় তাকে সে হোটেলে নিয়ে যান। পরে আবারও অসুস্থ হয়ে পড়লে কুয়াকাটা হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মো.
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, “পর্যটকের মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
ঢাকা/ইমরান/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মদপ ন অবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
অন্তর্বর্তী সরকার দেশের স্বার্থবিরোধী পদক্ষেপের কথা বলছে: প্রিন্স
বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার দেশের স্বার্থ বিরোধী কতগুলো পদক্ষেপের কথা বলছে। রাখাইনে করিডোর দেওয়া, নিউমুরিংসহ চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনা বিদেশিদের হাতে দেওয়া এছাড়াও স্টারলিংক এর সাথে চুক্তি করেছে, সমরাস্ত্র কারখানার অনুমতি দিয়েছে।
শুক্রবার (২৭ জুন) দুপুরে সোনারগাঁ মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় সাম্রাজ্য বিরোধী দেশ প্রেমিক জনগণের ব্যানারে রোড মার্চ কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর আমাদের হৃদপিণ্ড। এখানে যদি কোন বিদেশি শক্তি আসার সুযোগ পায়। তারা দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। আগামীকাল পর্যন্ত আমাদের রোডমার্চ চলবে, এই সময়ের মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে দেশের স্বার্থ বিরোধী কর্মকাণ্ড বন্ধের ঘোষণা দিতে হবে। কিন্তু সরকার যদি কর্মকাণ্ড বন্ধের ঘোষণা না দেয়। তাহলে আগামীকাল সমাপনী সমাবেশ থেকে আমরা বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা দেব।
রোড মার্চ কর্মসূচির চার দফা দাবি তুলে ধরে তিনি বলেন, নিউমুরিংসহ চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনা বিদেশিদের হাতে দেওয়া চলবে না। রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে পরিচালনা করতে হবে। রাখাইনে করিডোর দেওয়ার ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে, স্টারলিংক, সমরাস্ত্র কারখানা, করিডোরের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধচক্রে জড়ানোর উদ্যোগ বন্ধ করতে হবে।
মার্কিন, ভারতসহ সাম্রাজ্যবাদী আধিপত্যবাদী দেশগুলোর সাথে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারসহ বিগত সকল সরকারের আমলে স্বাক্ষরিত সকল চুক্তি প্রকাশ করতে হবে ও জাতীয় স্বার্থবিরোধী অসম চুক্তি বাতিল করতে হবে।
কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ, বাসদের (মার্কসবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক ঐক্যের সভাপতি মফিজুর রহমান লালটু, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক জামসেদ আনোয়ার তপন, বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলনের সমন্বয়ক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, বাসদের নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়ক বিপ্লব, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির নারায়ণগঞ্জ জেলার আইন বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সালাম বাবুল, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সোনারগাঁ উপজেলা সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন, বাসদের সোনারগাঁ উপজেলার আহবায়ক বেলায়েত হোসেন প্রমুখ।