পার্বত্য চট্টগ্রামে আপত্কালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় খাদ্যশস্য ও অর্থ বরাদ্দে অনিয়ম এবং বৈষম্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ রোববার সকালে বিক্ষুব্ধ ত্রিপুরা-মারমা সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে খাগড়াছড়ির শাপলা চত্বর মুক্ত মঞ্চে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিয়োগপ্রাপ্ত পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা ও পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব কঙ্কণ চাকমা আপত্কালীন পরিস্থিতির মোকাবিলার খাদ্যশস্য ও অর্থ নির্দিষ্ট একটি গোষ্ঠীকে বরাদ্দ দিচ্ছেন। এতে বৈষম্য হচ্ছে। বিক্ষোভ মিছিলে বৈষম্যমূলক বণ্টনের জন্য প্রতিবাদ জানানো হয়। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা ও যুগ্মসচিব কঙ্কণ চাকমাকে পদ থেকে অপসারণ করা না হলে বিক্ষুব্ধ জনগোষ্ঠী রাজপথে নামতে বাধ্য হবে এবং অবরোধ কর্মসূচি পালন করবে বলে জানান বক্তারা।

বিক্ষোভ সমাবেশে খাগড়াছড়ি মারমা ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক রুমেল মারমার সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন সরোজ কান্তি ত্রিপুরা, আব্রে মারমা, উজ্জ্বল মারমা, মউক্রাচিং মারমা, অংগ্য মারমা, চাইহ্লাপ্রু মারমা প্রমুখ।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ফেরিতে উঠতে গিয়ে যেভাবে ডুবে গেল বালুভর্তি ট্রাক

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া ফেরিঘাটে বালুভর্তি একটি ট্রাক ফেরির পন্টুনে ওঠার সময় আটকে যায়। এরপর অনেক চেষ্টা করেও ফেরিতে তুলতে না পারায় শেষ পর্যন্ত জোয়ারের পানিতে ট্রাকটি ডুবে যায়।

আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে বাঁশবাড়িয়া-গুপ্তছড়া ফেরিঘাটের বাঁশবাড়িয়া অংশে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার আট ঘণ্টা পর উদ্ধারকারী ক্রেন এসে ট্রাকটি উদ্ধার করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ট্রাক ইয়ার্ডে নিয়ে আসে।

ট্রাকটি আটকে যাওয়ায় আর কোনো গাড়ি ফেরিতে তোলা যায়নি। শেষ পর্যন্ত অন্য গাড়ি না তুলেই ফেরিটি সন্দ্বীপের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ঘটনার পর ট্রাক ডুবে যাওয়ার একাধিক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। তাতে দেখা যায়, ট্রাকটি জোয়ার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডুবতে থাকে। সাগর উত্তাল থাকায় প্রবল ঢেউয়ে ট্রাকের কেবিনের দরজা একবার খোলে আবার বন্ধ হয়। জোয়ারের ঢেউ ট্রাকের ওপর দিয়ে যাচ্ছিল।

বিআইডব্লিউটিএ ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) সূত্র জানায়, আজ সকাল ১০টার দিকে অন্যান্য দিনের মতো ফেরিতে বিভিন্ন যানবাহন উঠছিল। ফেরিতে গাড়ি ওঠার সময় প্রথমে অ্যাপ্রোচ সড়ক থেকে র‍্যাম্প বেয়ে গাড়িগুলোকে পন্টুনে উঠতে হয়। এরপর পন্টুন থেকে ফেরিতে যানবাহন তোলা হয়। এভাবে কয়েকটি যানবাহন ফেরিতে ওঠানোর পর বালুবোঝাই ট্রাকটি প্রথমে অ্যাপ্রোচ সড়ক থেকে পন্টুনের র‍্যাম্পে ওঠার চেষ্টা করে। গাড়িটির সামনের চাকা দুটি র‌্যাম্পে ওঠার পর পেছনের চাকাগুলো অ্যাপ্রোচ সড়কের নরম মাটিতে শক্তভাবে আটকে যায়। এরপর চালক অনেক চেষ্টা করেও গাড়িটি সামনে কিংবা পেছনে সরাতে পারেননি। ফলে ট্রাকটির পেছনে অন্য যেসব যানবাহন অপেক্ষারত ছিল, সেগুলো আর ফেরিতে উঠতে পারেনি। এরপর ফেরি সন্দ্বীপের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

বিআইডব্লিউটিএর চট্টগ্রামের উপপরিচালক মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, চালক অনেক চেষ্টা করেও আটকে যাওয়া ট্রাকটি সরাতে পারেননি। ফলে ভাটার পর জোয়ার এলেও গাড়িটি একই অবস্থায় থেকে যায়। ঘাটে উদ্ধারকারী ক্রেন না থাকায় গাড়িটি শেষ পর্যন্ত জোয়ারের পানিতে ডুবে যায়।

মো. কামরুজ্জামান আরও বলেন, ফেরিঘাটে যানবাহন আটকে গেলে সেগুলো বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ ক্রেন দিয়ে সরিয়ে নেয়। গাড়িটি আটকে যাওয়ার পর তিনি নিজেই বিআইডব্লিউটিসি কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন।

বিআইডব্লিউটিসির চট্টগ্রামের উপমহাব্যবস্থাপক ভারপ্রাপ্ত আবদুল নূর তুষার প্রথম আলোকে বলেন, গাড়িটি আটকে যাওয়ার পর দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার জন্য তাঁদের সহকারী ব্যবস্থাপক মোশারফ হোসেনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শেষ পর্যন্ত কতক্ষণে তোলা হয়েছে, তা তিনি জানাতে পারেননি।

তবে এ বিষয়ে জানতে সহকারী ব্যবস্থাপক মোশাররফ হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ধরেননি।

রাতে বিআইডব্লিউটিসির ঘাট শুল্ক আদায়কারী এনামুল হক চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, সন্ধ্যা ছয়টার দিকে একটি উদ্ধারকারী ক্রেন এসে ট্রাকটি উদ্ধার করে নিয়ে আসে। তবে ট্রাকের ভেতরের সব বালু জোয়ারের পানিতে ধুয়ে গেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ