কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় পদ্মা নদীতে আবার ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহে উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া, ১২ মাইল টিকটিকিপাড়া ও মসলেমপুরের প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কলকারখানা, ব্যক্তিগত, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসহ পাউবোর বেড়িবাঁধ। 
গতকাল রোববার নদী ভাঙনে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা মুন্সিপাড়ার বাসিন্দারা মানববন্ধন করেছেন। তারা পৈতৃক ভিটা রক্ষায় উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) দ্রুত হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। 
বাহিরচর ইউনিয়নের মুন্সিপাড়ার বাসিন্দা গিয়াস মুন্সি বলেন, পদ্মা নদীতে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন। এতে একরের পর একর কৃষিজমি বিলীন হয়েছে। তিন গ্রামের প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকায় ভাঙন চলছে। সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয়, ভাঙন স্থান থেকে পদ্মা নদী রক্ষা বেড়িবাঁধের দূরত্ব মাত্র ৪০ মিটার। ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে তিন গ্রামের প্রায় আট হাজার মানুষ। 
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে আনোয়ার আলী বলেন, বসতভিটা বাদে অনেকেই সব হারিয়ে ফেলেছেন। তাই প্রশাসন ও পাউবোর কাছে জোর দাবি, 
বিভিন্ন নিয়মনীতির বেড়াজালে না থেকে দ্রুত ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিন। 
ইউএনও রফিকুল ইসলাম বলেন, তারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসীও তাদের কাছে একটি আবেদন দিয়েছেন। সেটি পাউবো বরাবর পাঠানো হয়েছে। দ্রুত তারা ব্যবস্থা নেবে বলে আশ্বস্ত করেছে।  
কুষ্টিয়া পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তারা ইতোমধ্যে যোগাযোগ করেছেন। বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু করা যাবে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: নদ কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

খিলক্ষেতে দুর্গামন্দির ভাঙচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন

রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় শ্রীশ্রী সর্বজনীন দুর্গামন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোট। আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে তারা এই মানববন্ধন করে। পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এ সময় লালমনিরহাটে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে আটক পরেশ চন্দ্র শীল ও তাঁর ছেলে বিষ্ণু চন্দ্র শীলের মুক্তির দাবিসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সংখ্যালঘুদের অত্যাচার–নির্যাতনের প্রতিবাদ জানানো হয়।

মানববন্ধনে সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম প্রতিনিধি প্রসেনজিৎ কুমার হালদার বলেন, রাষ্ট্রীয় মদদে বুলডোজার দিয়ে খিলক্ষেতে দুর্গামন্দির উচ্ছেদ এবং মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। তিনি এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

খিলক্ষেতের মন্দির ভাঙার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান প্রসেনজিৎ কুমার হালদার। তিনি বলেন, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সরকারকে বিষয়টি সমাধান করতে হবে। তা না হলে ৭২ ঘণ্টা পর ঢাকা থেকে খিলক্ষেত অভিমুখে লংমার্চ করা হবে। ভাঙা মন্দির পুনর্নির্মাণে সহায়তা দিতেও সরকারের প্রতি দাবি জানান প্রসেনজিৎ কুমার।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মণীন্দ্র কুমার নাথ, হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব পলাশ কান্তি দে, সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের পক্ষে প্রদীপ কান্তি দে, সুশান্ত অধিকারী, তন্ময় মৌলিক, তিয়াশ সরকার, সুদীপ্ত প্রামাণিক, সাজেন কৃষ্ণ বল, পিজুস দাস, পলাশ সেন, পিংকু ভট্টাচার্য প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মানববন্ধনে যাওয়া দোকান কর্মচারীকে পিটুনি
  • যশোরে অধিগ্রহণ ছাড়া বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন স্থাপনের কাজ বন্ধ করে দিলেন জমিমালিকেরা
  • জমির মালিককে না জানিয়ে বৈদ্যুতিক লাইন স্থাপনের প্রতিবাদে মানববন্ধ
  • চবি বাংলা বিভাগের স্নাতকোত্তরের ফলাফল পুনর্মূল্যায়নের দাবি
  • বন্দরে সরকারি খাল ও বাজার অবমুক্তির জন্য  মানববন্ধন
  • মন্দির ভেঙে দেওয়ার ঘটনা মনকেও ভেঙে দিয়েছে: ঐক্য পরিষদের সভাপতি
  • নোয়াখালীতে মাদ্রাসাছাত্র ‘হত্যার’ বিচার দাবিতে মানববন্ধন
  • আকিজ সিমেন্ট ও ফিড ফ্যাক্টরীর বায়ু দূষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন 
  • খিলক্ষেতে দুর্গামন্দির ভাঙচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন