চুক্তি শেষ হওয়ায় ১৭ বছর পর গতকাল রোববার চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল ছেড়েছে সাইফ পাওয়ারটেক। আজ সোমবার থেকে টার্মিনাল পরিচালনা করবে নৌবাহিনী। তবে আইনি বাধ্যবাধকতা থাকায় সরাসরি নৌবাহিনীকে না দিয়ে তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠান ড্রাইডকের সঙ্গে এনসিটি পরিচালনার চুক্তি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। আজ সোমবার এই চুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে।

চট্টগ্রাম ড্রাইডক লিমিটেড রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনী পরিচালিত একটি সামরিক জাহাজ মেরামতকারী প্রতিষ্ঠান। চট্টগ্রাম বন্দরের সীমানার মধ্যেই এটির অবস্থান।

চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো.

ওমর ফারুক জানান, সরকারের সিদ্ধান্ত পাওয়ার পর ড্রাইডকের সঙ্গে এনসিটি পরিচালনার চুক্তির বিষয়টি বন্দর কর্তৃপক্ষের বোর্ড সভায় অনুমোদন হয়েছে। সোমবার  ড্রাইডকের সঙ্গে ছয় মাসের জন্য এনসিটি পরিচালনার চুক্তি করবে বন্দর কর্তৃপক্ষ। একই দিন সাইফ পাওয়ার টেক আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব হস্তান্তর করবে। একই দিন থেকে নৌবাহিনীর মাধ্যমে এটি পরিচালনা করবে চিটাগাং ড্রাইডক।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, টেকনিক্যাল কারণে নৌবাহিনী সরাসরি টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব নিতে পারেনি। তবে ড্রাইডকের মাধ্যমে তারা এটি পরিচালনা করবে।

সাইফ পাওয়ারটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার রুহুল আমীন সমকালকে বলেন, নৌবাহিনীকে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন তারা। এনসিটি ছাড়লেও তাদের কার্যক্রম চুক্তি অনুযায়ী বহাল আছে সিসিটিতে।

চট্টগ্রাম বন্দরে চারটি কনটেইনার টার্মিনাল আছে। এগুলো হলো– চিটাগং কনটেইনার টার্মিনাল (সিসিটি), নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি), জেনারেল কার্গো বার্থ (কনটেইনার ও বাল্ক-জিসিবি) এবং পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল (পিসিটি)। চট্টগ্রাম বন্দরে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে হ্যান্ডলিং হওয়া ৩২ লাখ টিইইউস কনটেইনারের মধ্যে ৪৪ শতাংশ এককভাবে পরিচালনা হয়েছে এনসিটি থেকেই।

প্রসঙ্গত, ২০০৭ সাল থেকে এনসিটি পরিচালনা করছিল সাইফ পাওয়ারটেক।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পর চ ল এনস ট

এছাড়াও পড়ুন:

বরিশাল বোর্ডের ১২ কলেজে কেউ পাস করেননি

বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের অধীন ৩৪৯টি কলেজের মধ্যে ১২টির কোনো শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় পাস করতে পারেননি। অপরদিকে, মাত্র দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছেন।

৩৪৯টি কলেজ থেকে ৩৭ হাজার ৬৬ জন এবার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। এর মধ্যে যে ১২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কেউ পাস করতে পারেননি, সেগুলো হলো— বরগুনার বামনা সরকারি সারওয়ারজান পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, বরিশাল সদরের কমার্স কলেজ, বাবুগঞ্জের মোহনগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মেহেন্দিগঞ্জের আন্ধারমানিক ইউনিয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ভোলার বোরহানউদ্দিনের দেলুয়া তালুকদার বাড়ি হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ, লালমোহনের বালুরচর দালাল বাজার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ভোলা সদরের ভাষা শহীদ স্মৃতি মহাবিদ্যালয় ও মেদুয়া কলেজ, ঝালকাঠির নলছিটির রাঙ্গাপাশা সেকেন্ডারি স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও আব্দুস সালাম কলেজ, পটুয়াখালী সদরের আউলিয়াপুর সাবিনা আক্তার হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও দুমকি উপজেলার দুমকি নাছিমা কেয়ামত আলী মহিলা কলেজ। 

বরিশাল শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এবার ১৯৭টি কলেজের ৫০ শতাংশের বেশি পরীক্ষার্থী পাস করেছেন। ৫০ শতাংশের নিচে পাস করেছেন ১৩৮টি কলেজে। ২০ শতাংশের কম শিক্ষার্থী পাস করেছেন ৬ কলেজে, ১৫ শতাংশের কম শিক্ষার্থী পাস করেছেন ৬ কলেজে এবং ১০ শতাংশের কম শিক্ষার্থী পাস করেছেন দুটি কলেজ। 

এ বছর বরিশাল বোর্ডে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে ভালো করেছেন। এ বিভাগে পাসের হার ৭১ দশমিক ৫৮ শতাংশ এবং সর্বোচ্চ ৮০৬ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন। তাদের মধ্যে ৪৮২ জন মেয়ে এবং ৩২৪ জন ছেলে। মানবিক বিভাগে পাসের হার ৬০ দশমিক ২১ শতাংশ। এই বিভাগে ৭৭৭ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। তাদের মধ্যে ৬৬৬ জন মেয়ে এবং ১১১ জন ছেলে। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে পাসের হার ৬২ দশমিক ০৪ শতাংশ। এ বিভাগে মোট ৯১ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন। তাদের মধ্যে ৬৯ জন মেয়ে এবং ২২ জন ছেলে। 

বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউনুস আলী সিদ্দিকী জানিয়েছেন, ২০২৪ সালে গড় পাসের হার ছিল ৮১ দশমিক ৮৫ শতাংশ, এবার তা কমে দাঁড়িয়েছে ৬২ দশমিক ৫৭ শতাংশে। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ৪ হাজার ১৬৭ জন, এবার পেয়েছেন মাত্র ১ হাজার ৬৭৪ জন। 

ঢাকা/পলাশ/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ