মঞ্চে বসে ‘পাকিস্তান পাকিস্তান, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’ বলে স্লোগান ধরছেন এক বক্তা। সমবেত জনতা সেই স্লোগানে কণ্ঠ মেলাচ্ছে, এমন একটি ভিডিও আজ সোমবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের একটি অনুষ্ঠানে ধারণ করা বলে জানা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সন্দ্বীপের মাইটভাঙ্গা ইউনিয়নে গতকাল রোববার অনুষ্ঠিত কোরআন তিলাওয়াত সম্মেলনের এক বক্তা এমন স্লোগান দেন। উপস্থিত দর্শকদের একজন সেটির ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকে পোস্ট করেন।

ভাইরাল হওয়া ২০ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে দেখা যায়, মঞ্চে বসে এক বক্তা দুই হাত ওপরে তুলে স্লোগান ধরেছেন, ‘পাকিস্তান পাকিস্তান’, এরপর সামনে উপস্থিত দর্শকেরা সমস্বরে বলছেন, ‘জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’। বক্তা আবার বলছেন, ‘বাংলাদেশ বাংলাদেশ’। সমবেত ব্যক্তিরা তাঁর সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে বলছেন, ‘জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ।’ এরপর বক্তা স্লোগান ধরেন ‘নারায়ে তাকবির’।

কোরআন তিলাওয়াত সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মাইটভাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা নুরনবি রুমি। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, গতকাল মাইটভাঙ্গার সাউথ সন্দ্বীপ উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে এই স্লোগান দেওয়ার ঘটনাটি ঘটেছে। সম্মেলনটি ছিল কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতার। সেখানে বিভিন্ন দেশের প্রতিযোগীরা অংশ নেন। পাকিস্তান থেকে আগত এক ইসলামি বক্তা মঞ্চে আসার পর সঞ্চালক এমন স্লোগান ধরেন।

সম্মেলনে উপস্থিত আরও এক ব্যক্তি প্রথম আলোকে বলেছেন, মূলত ইরান, মিসর, ফিলিপাইন ও পাকিস্তানের প্রতিযোগীরা সম্মেলনে অংশ নেন। যখন যে দেশের প্রতিযোগী মঞ্চে এসেছে, সেই দেশের নামে সঞ্চালক স্লোগান ধরেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একই অনুষ্ঠানের আরেকটি ভিডিওতে এর সত্যতা মেলে। সেখানে দেখা যায়, মিসরের বক্তা মঞ্চে ওঠার পর ‘মিসর জিন্দাবাদ’ স্লোগানে তাঁকে স্বাগত জানানো হচ্ছে।

ভাইরাল ভিডিওটির বিষয়ে জানতে আয়োজক প্রতিষ্ঠান সাওতুল কোরআন ইনস্টিটিউটের পরিচালক হাফেজ তাওহিদের মুঠোফোনে ফোন করলেও তিনি তা ধরেননি।

বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সন্দ্বীপের মুক্তিযোদ্ধারা। বীর মুক্তিযোদ্ধা ও উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো.

সোলায়মান বাদশা প্রথম আলোকে বলেন, ‘“পাকিস্তান জিন্দাবাদ” স্লোগান দেওয়া ধৃষ্টতা। এর নিন্দা জানাই। কেবল নিন্দা নয়, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমি জানিয়ে দিতে চাই, এমন স্লোগান আমরা সহ্য করব না।’

জানতে চাইলে সন্দ্বীপের নির্বাহী কর্মকর্তা মংচিংনু মারমা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি ভিডিওটি দেখিনি, কেউ আমার নজরেও আনেনি। যদি এমনটি হয়, তা দুঃখজনক। আমি বিস্তারিত জানতে চেষ্টা করব।’

সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম সফিকুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘এমন বিষয় আমার জানা নেই। কেউ যদি এমন স্লোগান দিয়ে থাকেন, তাহলে আমরা খতিয়ে দেখব।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এমন স ল গ ন প রথম আল ক সন দ ব প র উপস থ ত ক রআন

এছাড়াও পড়ুন:

মাছ শিকারের সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ইগল, পাঠানো হলো হাসপাতালে

চট্টগ্রামের সাতকানিয়া থেকে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আহত একটি পলাশ মেছো ইগল উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। গতকাল শনিবার সাতকানিয়ার উত্তর ছদাহা এলাকা থেকে এটি উদ্ধার করা হয়। এরপর ইগলটিকে চিকিৎসার জন্য কক্সবাজারের ডুলাহাজারা সাফারি পার্কের বন্য প্রাণী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় মানুষের বরাতে বন বিভাগ জানায়, গতকাল সকালে মাছ শিকার করতে গিয়ে পুকুরের ওপরে থাকা উচ্চ ভোল্টেজের তারে লেগে ইগলটি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। পরে এটি পুকুরে পড়ে যায়। এরপর স্থানীয় এক ব্যক্তি খবর দিলে চুনতি বন্য প্রাণী অভয়ারণ্যের একটি দল সেখানে গিয়ে ইগলটিকে উদ্ধার করে।

জানতে চাইলে চুনতি বন্য প্রাণী অভয়ারণ্য বিট কর্মকর্তা চঞ্চল কুমার তরফদার প্রথম আলোকে বলেন, উদ্ধার হওয়া ইগলটির পায়ে গভীর ক্ষত রয়েছে। তাই এটিকে চিকিৎসার জন্য বন্য প্রাণী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পলাশ মেছো ইগল একটি বিপন্ন প্রজাতির পাখি। বর্তমানে আবাস্থল ও খাদ্যসংকটের কারণে এই প্রজাতির ইগল হারিয়ে যাচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গোপন বিয়ের ছবি প্রকাশ করলেন সামান্থা
  • আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দিয়ে গর্ববোধ করার কথা জানালেন রেজা কিবরিয়া
  • মসজিদে বিয়ে, স্বামীর বয়স নিয়ে আলোচনা, মুখ খুললেন ফারিয়া
  • মুক্তিপণ আদায়ে ফেসবুকে বন্ধুত্ব, ব্যর্থ হয়ে হত্যার ঘটনায় দুজনের মৃত্যুদণ্ড
  • কোহলির ৫২তম সেঞ্চুরিতে ভারতের রান পাহাড়
  • জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শীতকালীন ছুটি স্থগিত
  • রেলক্রসিংয়ে উঠতেই বন্ধ হয়ে যায় মোটরসাইকেল, অতপর...
  • মাছ শিকারের সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ইগল, পাঠানো হলো হাসপাতালে
  • চন্দ্র কেন কম আলো দেয়