সরকারি তিতুমীর কলেজকে ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত থেকে আলাদা করে স্বতন্ত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৭ জুলাই) সকাল ১১টায় কলেজের মূল ফটকের সামনে ‘তিতুমীর রক্ষা আন্দোলন’ এর ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা ‘অধিভুক্ত নয়, মুক্তি চাই’, ‘স্বতন্ত্র তিতুমীর চাই’, ‘বাঁশের কেল্লা গঠন করো, তিতুমীর স্বাধীন করো’, ‘তিতুমীরের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাই নাই’ ইত্যাদি স্লোগান দেন। 

আরো পড়ুন:

মাইমুনা হত্যার প্রতিবাদে জবিতে মানববন্ধন

কুবির ২ বিভাগে র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় পৃথক তদন্ত কমিটি, ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ

মানববন্ধনে আফিয়া অর্ণি নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, “আমাদের আন্দোলন, আজকের নয়। দীর্ঘদিন যাবত শিক্ষার্থীরা এ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের দাবি পূরণ না হওয়ায় আমরা আবার রাজপথে নেমেছি। সেশন জট ও সঠিক সময়ে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আমরা কোনো অধিভুক্তি চাই না, আমরা স্বতন্ত্র তিতুমীর কলেজ দেখতে চাই।”

আরেক শিক্ষার্থী সানজিদা বলেন, “সেশনজট থেকে শুরু করে ফলাফল এবং নতুন সেশনে ভর্তি সংক্রান্ত যেসব সমস্যা রয়েছে- এগুলোর একমাত্র সমাধান তিতুমীরকে স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান করা। আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই, আমরা কোনো অধিভুক্তিতে যাব না। আমরা স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে তিতুমীর কলেজকে দেখতে চাই।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সরকার অধিভুক্ত বাতিল করে একটি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় করার পরিকল্পনা গ্রহণ করে। 'ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়' নামে সেই স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম প্রস্তাবনা হয়। তবে শুরু থেকেই শিক্ষার্থীরা তিতুমীর কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় অথবা স্বতন্ত্র কলেজ গঠন করার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।

ঢাকা/হাফছা/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ত ত ম র কল জ স বতন ত র

এছাড়াও পড়ুন:

সিদ্ধিরগঞ্জ মসজিদ ভাঙ্গায় যুবদল নেতার শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ওয়াকফকৃত জমিতে নির্মিত মসজিদ ভেঙে ফেলায় সাবেক যুবদল নেতা শহিদুল ইসলামের শাস্তির দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। 

শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) বাদ জুম্মা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মৌচাক বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন সালু হাজী রোড এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়। 

বক্তরা বলেন, মসজিদ ভাঙার মূলহোতা শহিদুল ইসলাম ও তার সহযোগীরা প্রকাশ্যে ক্ষামা চাইতে হবে। তারা নিজ অর্থে পুনরায় মসজিদ নির্মাণ করে দিতে হবে। পাশাপাশি এমন জগন্ন কাজ করার অপরাধে তাদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। অন্যতায় ধর্মপ্রাণ মানুষ চুপ করে বসে থাকবে না।  

কর্মসূচি শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে স্থানীয় বাসিন্দা গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির গৃহায়ন ভূমি ও পুনর্বাসন সম্পাদক আবুল খায়ের শান্ত বলেন, আমরা প্রথমে ধারণা করেছিলাম সরকারিভাবে পুন:নির্মাণের জন্য মসজিদটি ভাঙা হচ্ছে।

পরে জানতে পারি সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবদলের সাবেক যুগ্নসম্পাদক দাবিদার ভূমি খেকো শহিদুল ইসলামের নেতৃতে আব্দুল হান্নান ও সুমন সন্ত্রাসী কায়দায় মসজিদ ভেঙে বাণিজ্যিক বহুতল ভবন নির্মাণ করার উদ্যোগ নিয়েছে। 

তখন মসজিদ ভাঙার কারণ জানতে চাইলে শহিদুল ইসলাম জমির মালিক দাবি করেন। এ নিয়ে বারাবারি না করার জন্য বিভিন্ন হুমকি ধামকি দেন।

স্থানীয় মার্কাজুল আজিজ মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল আজিজ বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে ১৯৯২ সালে মসজিদের জন্য ৭ শতাংশ জমি দান করেন শিল্পপতি হাজী সালাউদ্দিন মিয়া।

স্থানীয় বাসিন্দা ও তার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারীরা নামাজ আদায় করার জন্য ওই জমিতে একটি দুতলা মসজিদ নির্মাণ করেন তিনি। পরে ২০০২ সালের ৪ এপ্রিল ৫ শতাংশ জমি মসজিদের নামে ওয়াকফ করে দেন। 

শহিদুল ইসলাম জাল দলিল সৃজন করে জমির মালিকানা দাবি করে কিছুদিন আগে মসজিদের ইমাম ও মোয়াজ্জিনকে হুমকি ধামকি দিয়ে তাড়িয়ে দেন। মসজিদের জমি দাতার ছেলে মোতওয়াল্লি জসিম মিয়াসহ এলাকার কাউকে না জানিয়ে মসজিদ ভেঙে ফেলে।

স্থানীয় সাবেক কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন বলেন, মসজিদ ভেঙে ফেলা হলেও এ জমিতে কোন ভবন নির্মাণ করতে দেওয়া হবে না। কারণ এটা ওয়াকফ করা মসজিদের জমি। কেউ যদি সহায়তা নাও করে আমি আমার নিজের অর্থ দিয়ে হলেও পুনরায় মসজিদ নির্মাণ করবো। 

জানতে চাইলে অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম বলেন, মসজিদটি নিচু হয়ে গেছে। বর্ষকালে পানি উঠে। তাই পুনঃনির্মাণের জন্য ভাঙা হয়েছে। সামাজিকভাবে আলোচনা না করে আপনি একক সিদ্ধান্তে ভেঙেছেন কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ক্রয়সূত্রে এ জমির মালিক আমি। 

এখানে একটি বহুতল ভবন নির্মাণ করা হবে। তবে নিচ ও দ্বিতীয় তলাটি মসজিদ হিসেবেই থাকবে। মসজিদের দেখা শোনা আমিই করবো। স্থানীয় কিছু লোকজন তা মানছেন না।  

কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন, মুফতি বশির উল্লাহ, হাফেজ জাহের আলী, মাওলানা নূর হোসেন নুরানী, মুফতি আহসান উল্লাহ, মাওলানা কাশেম আল হোসাইন, মাওলানা জুনায়েদ, গণ অধিকার পরিষদের নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের এমপি প্রার্থী ওয়াহিদুর রহমান মিল্কি, ৪ আসনের এমপি প্রার্থী আরিফ ভূঁইয়া, স্থানীয় ব্যবসায়ী মোক্তার হোসেন প্রমুখ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এনইআইআর সংস্কারের দাবিতে দোকান বন্ধ রেখে মানববন্ধন মুঠোফোন ব্যবসায়ীদের
  • এনইআইআর সংস্কারের দাবিতে আগামীকাল সারা দেশে মোবাইল ফোনের দোকান বন্ধের ঘোষণা
  • রাজশাহীর আরডিএ কমপ্লেক্সের ইজারা বাতিল করে সংস্কৃতিচর্চা কেন্দ্র করার দাবিতে মানববন্ধন
  • সেলিমা রহমানকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে বাবুগঞ্জে মানববন্ধন ও মহাসড়ক অবরোধ
  • সিদ্ধিরগঞ্জ মসজিদ ভাঙ্গায় যুবদল নেতার শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ