জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মামলার রায়কে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ‘শাটডাউন’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে জেলাজুড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার মো.

মিজানুর রহমান বলেন, জেলায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশের রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্স (আরআরএফ) ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) ৭০০ সদস্য, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ১০০ সদস্য এবং অতিরিক্ত আরও ৬০ সদস্য মাঠে কাজ করবেন। আগামীকাল রায় ঘিরে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে আছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আগামীকাল সোমবার শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ঘোষণা করবেন। রায়কে কেন্দ্র করে অনলাইনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আবার কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়ায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

আওয়ামী লীগের ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচি ঘিরে গোপালগঞ্জে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে চারটি মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে সদরে দুটি, কোটালীপাড়ায় একটি ও কাশিয়ানীতে একটি মামলা করা হয়েছে। চার মামলায় ১৯৯ জনের নাম উল্লেখ করে মোট ৯০৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। আজ রোববার দুপুর পর্যন্ত এসব মামলায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ প লগঞ জ দ র কর সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

শেখ হাসিনার রায়কে কেন্দ্র করে মাঠে থাকবে জামায়াতসহ ৮ দল

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে নাশকতা ঠেকাতে আগামীকাল সোমবার মাঠে থাকবে জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা আট দলের নেতা-কর্মীরা।

আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর মগবাজারের আল ফালাহ মিলনায়তনে আট দলের যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার এ কথা জানিয়েছেন।

১৩ নভেম্বর এ মামলার রায় ঘোষণার তারিখ জানানো হয়। শেখ হাসিনার পাশাপাশি এ মামলার অপর দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। এর মধ্যে সাবেক আইজিপি মামুন নিজের দোষ স্বীকার করে ‘অ্যাপ্রুভার’ (রাজসাক্ষী নামে পরিচিত) হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন।

রায়কে কেন্দ্র করে যাতে কেউ নাশকতা করতে না পারে, সে জন্য আট দলের নেতা-কর্মীরা মাঠে থাকবেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি বলেন, ‘আমরা অতীতের কর্মসূচিতেও মাঠে ছিলাম, এবারও এই ফ্যাসিবাদের আন্দোলনের কর্মসূচিতে নাশকতার কোনো সুযোগ এ জাতি দেবে না। আগের দিনও দেয়নি। এটা (নাশকতা) কোনো স্থানই পাবে না, ইনশা আল্লাহ। তারা এটার সুযোগ পাবে না। আমরা আট দল মাঠে থাকব।’

এদিকে বিএনপি সরাসরি মাঠে থাকার ঘোষণা না দিলেও দলটির একটি সূত্র জানিয়েছে, আগামীকাল ঢাকায় বিএনপির নির্বাচনী প্রার্থীরা বাড়তি গণসংযোগ করে মাঠে থাকবে। দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও সতর্ক অবস্থানে থাকবে।

গত মাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে (আইসিটি) জানিয়েছিলেন, ১৩ নভেম্বর জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময়কার মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণা হবে। গত সপ্তাহে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ অনলাইনে ১৩ নভেম্বর ‘লকডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করে। এর পর থেকে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন স্থানে চোরাগোপ্তা ককটেল বিস্ফোরণ ও বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা শুরু হয়। নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়ে সেদিন ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ আট দল ও এনসিপির নেতা-কর্মীরা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ