Samakal:
2025-12-05@15:51:17 GMT

দুই অঙ্কে গড় মূল্যস্ফীতি

Published: 7th, July 2025 GMT

দুই অঙ্কে গড় মূল্যস্ফীতি

গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১০ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। ১৩ বছর আগে দুই অঙ্কের ঘরে ছিল বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতি। ২০১০-১১ অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি হয় ১০ দশমিক ৯২ শতাংশ। তবে স্বস্তির বিষয় হচ্ছে, পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি গত কয়েক মাস ধরে কমছে। গত অর্থবছরের শেষ মাস জুনে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ। এটি প্রায় তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। 

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ প্রতিবেদনটি সোমবার প্রকাশ করেছে বিবিএস। প্রতি মাসে মাঠ পর্যায় হতে বিভিন্ন পণ্য ও সেবার দামের তথ্যউপাত্ত সংগ্রহ করে থাকে সংস্থাটি। প্রাপ্ত তথ্যউপাত্ত বিশ্লেষণ করে ভোক্তা মূল্যসূচক (সিপিআই) প্রণয়ন করা হয়। এ সূচক আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কতটা বাড়ল তার শতকরা হারই পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি। এটির ১২ মাসের চলন্ত গড় হিসাব হচ্ছে বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতি।

বিবিএসের তথ্য অনুসারে, গত জুন মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে হয়েছে ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ। মে মাসে এটি ছিল ৯ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। বিবিএসের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতির হার বাড়তে দেখা যায়। তবে গত ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি ধারাবাহিকভাবে কমে আসে। টানা তিন মাস কমার পর চলতি বছরের মার্চ মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে ফের বাড়ে মূল্যস্ফীতি। এপ্রিল থেকে আবারও কমার ধারার ফিরে মূল্যস্ফীতি। তবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একটি বড় অংশ জুড়ে উচ্চ মূল্যস্ফীতি থাকায় অর্থবছরটিতে বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের বেশি হয়েছে। 

প্রসঙ্গত, গত কয়েক অর্থবছর ধরেই দেশে মূল্যস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে রাখা যাচ্ছে না। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার সময় বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে রাখার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। তবে বাস্তবতার আলোকে সে লক্ষ্যমাত্রায় সংশোধন আনা হয়। গড় মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৯ শতাংশ। 
  
গত ২০২২-২৩ অর্থবছর থেকে দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি চলছে। ওই অর্থবছরে ৯ শতাংশের কিছু বেশি হয় গড় মূল্যস্ফীতি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা আরও বেড়ে হয় ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব ব এস ব ব এস বছর র দশম ক

এছাড়াও পড়ুন:

গোয়েন্দাগিরির অভিযোগে ইউক্রেনে যুক্তরাজ্যের সামরিক প্রশিক্ষক গ্রেপ্তার

রাশিয়ার হয়ে গোয়েন্দাগিরি ও গুপ্তহত্যার পরিকল্পনার অভিযোগে যুক্তরাজ্যের সামরিক প্রশিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ।

গ্রেপ্তার ৪০ বছর বয়সী রস ডেভিড কাটমোর নামের ওই ব্যক্তি স্কটল্যান্ডের ডানফার্মলাইন শহরের বাসিন্দা। ইউক্রেন কর্তৃপক্ষের দাবি, রুশ গোয়েন্দা সংস্থা এফএসবি ২০২৪ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে ‘ইউক্রেনের ভূখণ্ডে নিশানাভিত্তিক হত্যাকাণ্ড চালানোর’ জন্য কাটমোরকে নিয়োগ করেছিল।

কিয়েভ প্রসিকিউটরের দপ্তর জানিয়েছে, ‘২০২৪ সালের মে মাসে কাটমোর ইউক্রেনীয় ইউনিটগুলোর অবস্থানের কো-অর্ডিনেট, প্রশিক্ষণকেন্দ্রের ছবি এবং সামরিক সদস্যদের শনাক্ত করা যায়, এমন তথ্য পাচার করেছিলেন।’

প্রসিকিউটর দপ্তর আরও জানায়, ‘কাটমোরের যোগাযোগের বিশদ বিশ্লেষণ করে নিশ্চিত হওয়া গেছে, তিনি রুশ বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থার স্বার্থে অন্যান্য কাজও করেছিলেন।’

কাটমোর এর আগে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর হয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দায়িত্ব পালন করেন। গত বছরের শুরুতে তিনি ইউক্রেনের সেনাবাহিনী ও পরে সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে প্রশিক্ষণে সহায়তা দিতে ওই দেশে যান।

যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম ‘দ্য টাইমস’ বলছে, ইউক্রেন কর্তৃপক্ষের তদন্তে কাটমোরই প্রধান সন্দেহভাজন। তাদের দাবি, দক্ষিণ ইউক্রেনের ওডেসায় রুশ গোয়েন্দা কর্মকর্তারা তাঁকে নিয়োগ দেন। ইউক্রেনের সামরিক ইউনিটের অবস্থান–সংক্রান্ত গোপন তথ্য সরবরাহের জন্য তাঁকে ছয় হাজার ডলার দেওয়ার কথা ছিল। দোষী সাব্যস্ত হলে কাটমোরের সর্বোচ্চ ১২ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

কাটমোর বিভিন্ন রুশপন্থী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম গ্রুপে ‘সেবা দেওয়ার প্রস্তাব’ দিয়ে পোস্ট করার পর এফএসবি কর্মকর্তারা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, কাটমোরকে বিস্ফোরক তৈরির নির্দেশনা পাঠানো হয় এবং তাঁকে একটি গোপন স্থানও দেওয়া হয়, যেখান থেকে তিনি একটি পিস্তল সংগ্রহ করেন।

ইউক্রেনের গণমাধ্যম বলছে, ইউক্রেনীয় কর্মী দেমিয়ান হানুল, ইরিনা ফারিওন এবং পার্লামেন্ট সদস্য আন্দ্রি পারুবিইকে হত্যার জন্য অস্ত্র সরবরাহ করার সন্দেহভাজন ব্যক্তির তালিকায় রয়েছেন কাটমোর। এই তিনজনই আততায়ীর হাতে নিহত হয়েছেন।

২০২২ সালে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আগ্রাসন শুরুর পর থেকে হাজারো মানুষ ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীতে যোগ দিয়েছেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির আহ্বানে সাড়া দিয়ে অভিজ্ঞ বিদেশি সেনারাও দেশটিকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছেন।

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক মুখপাত্র এ বিষয়ে বলেছেন, ‘ইউক্রেনে আটক যুক্তরাজ্যের এক নাগরিককে আমরা কনস্যুলার সহায়তা দিচ্ছি। আমরা ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছি।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পণ্য রপ্তানি টানা চার মাস কী কারণে কমছে
  • বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ-মাদ্রাসায় অনার্স শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেবে অন্তর্বর্তী সরকার
  • আন্তর্জাতিক তহবিল কমায় চলতি বছর শিশুমৃত্যু বাড়তে পারে ২ লাখের বেশি: গেটস ফাউন্ডেশন
  • ডাকসুর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদকের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ ছাত্রদলের
  • গোয়েন্দাগিরির অভিযোগে ইউক্রেনে যুক্তরাজ্যের সামরিক প্রশিক্ষক গ্রেপ্তার
  • বড়পুকুরিয়ার কয়লা বিক্রি করে মুনাফা করছে খনি, কিনে লোকসানে বিদ্যুৎেকন্দ্র
  • বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে, দেশে সুফল কম