অসুস্থ হয়ে কয়েক দিন ধরে ঢাকার মহাখালীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন লালনসংগীতের বরেণ্য শিল্পী ফরিদা পারভীন। শারীরিক অবস্থা ভালো না হওয়ায় শুরুতে তাঁকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করানো হয়। শারীরিক অবস্থা ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় তাঁকে এখনো আইসিইউতে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল সোমবার রাত থেকে খবর ছড়িয়েছে, ফরিদা পারভীন মারা গেছেন। ফেসবুকে বিভিন্ন মানুষ তাঁর ছবি পোস্ট করে মৃত্যুর খবর ছড়াচ্ছে। পুরো বিষয়টি নিয়ে বিব্রত শিল্পীর পরিবার।
শিল্পীর স্বামী যন্ত্রসংগীতশিল্পী গাজী আবদুল হাকিম আজ মঙ্গলবার দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, ‘এটা ভুয়া খবর। আমরা আছি অসুস্থ মানুষটাকে নিয়ে চিন্তার মধ্যে। কোথায় সবাই দোয়া করবেন, সেখানে হুট করে কে বা কারা ছড়িয়েছে মৃত্যুর খবর! মানুষের এসব কোন ধরনের মানসিকতা!’

মঞ্চে শিল্পী ফরিদা পারভীন.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টি ফেনীতে, মুহুরী নদীর ৭ স্থানে বাঁধে ভাঙন

টানা বৃষ্টিতে ফেনী শহরের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। গত ২৪ ঘণ্টায় (৭ জুলাই সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৮ জুলাই সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত) জেলায় ৪৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। এটি চলতি বছর দেশের একদিনে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড। ফেনী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বৃষ্টিতে শহরের এসএসকে সড়ক, রামপুর শাহীন একাডেমি, পাঠানবাড়ি, নাজির রোড, পেট্রোবাংলোসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। কোমর সমান পানি জমেছে অনেক সড়কে। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন।

এদিকে, পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির কারণে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে। আজ রাত ৮টা ২০ মিনিটে মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। 

আরো পড়ুন:

লক্ষ্মীপুরে মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টি, জলাবদ্ধতা

খাগড়াছড়িতে পাহাড়ে বসবাসকারীদের সরে যাওয়ার আহ্বান

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ফেনী বিভাগীয় নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আকতার হোসেন মজুমদার জানান, ফুলগাজী, পরশুরাম ও ছাগলনাইয়া উপজেলার নিম্নাঞ্চলের অনেক জায়গা ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়েছে। মুহুরী নদীর বাঁধের অন্তত সাতটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

ভাঙন কবলিত এলাকাগুলো হলো- পরশুরাম উপজেলার জঙ্গলঘোনা (দুইটি স্থান), সাহেবনগর, দেড়পাড়া ও গদানগরসহ মোট সাতটি স্থান। 

ফেনীর জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‍“মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সবাইকে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকার অনুরোধ করছি। যেকোনো জরুরি সহায়তার জন্য জেলা প্রশাসকের হেল্প ডেস্কে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।”

ঢাকা/সাহাব/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ