লালমনিরহাটের পাটগ্রাম থানায় হামলা, ভাঙচুর ও হাজত থেকে সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনায় বিএনপির আরও দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার ভোরে পাটগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় করা মামলায় এ নিয়ে ১৪ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হলো।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন পাটগ্রাম পৌর এলাকার থানাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক রাবিউল ইসলাম এবং উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি মতিয়ার রহমান। এর আগে একই মামলায় আরও এজাহারভুক্ত ও সন্দেহভাজনসহ ১২ জনকে গ্রেপ্তার করে থানা-পুলিশ। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী বলে জানা গেছে।

আরও পড়ুনছিনিয়ে নেওয়া এক আসামিসহ পাঁচজন গ্রেপ্তার০৬ জুলাই ২০২৫

২ জুলাই রাতে পাটগ্রাম থানায় হামলা চালিয়ে সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামিকে জোর করে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় পরদিন রাতে পাটগ্রাম থানার উপপরিদর্শক হামিদুর রহমান বাদী হয়ে ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেন। মামলায় সরকারি কাজে বাধা, হত্যার উদ্দেশ্যে সরকারি কর্মচারীকে মারধর, সরকারি সম্পদের ক্ষতি, চুরি ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।

গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, থানা-পুলিশের করা মামলায় গত চার দিনে ১৪ আসামিকে করা হয়েছে। এ ছাড়া অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

আরও পড়ুনপাটগ্রামে ‘উদ্ধারে যেতে না দিতে’ হাতীবান্ধা থানাও অবরুদ্ধ করেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা০৪ জুলাই ২০২৫আরও পড়ুনহাতীবান্ধা থানা অবরুদ্ধ, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাসহ গ্রেপ্তার ২০৫ জুলাই ২০২৫আরও পড়ুনপাটগ্রাম থানায় হামলা ও আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় আরও তিনজন গ্রেপ্তার০৫ জুলাই ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর আস ম ক ঘটন য় ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

শাবনূরের সঙ্গে আমার সিনেমার সংলাপ-গান বাদ দেওয়া হয়েছিল: সোনিয়া

নব্বই দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সোনিয়া ক্যারিয়ারের শীর্ষ সময়েই পাড়ি জমান বিদেশে। সালমান শাহ থেকে শুরু করে সেই সময়ের শীর্ষ নায়কদের বিপরীতে কাজ করলেও একক নায়িকা হিসেবে খুব একটা শক্ত জায়গা তৈরি করতে পারেননি। 

তবে এই ব্যর্থতার কারণ হিসেবে সোনিয়া দাবি করেছেন—তিনি ছিলেন ‘ফিল্ম পলিটিকস’-এর শিকার। 

আরো পড়ুন:

ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কার পেলেন রায়হান রাফি-আলিমুজ্জামান

কলকাতায় একসঙ্গে চঞ্চল-ফারিণ

সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, “সে সময়ে আমার বয়স ছিল কম। আমার সঙ্গে অনেক পলিটিকস করা হয়েছে—যা তখন বুঝতে পারিনি। এখন মনে করলে বুঝি, কতটা প্রতিকূলতার ভেতর দিয়ে আমাকে এগোতে হয়েছিল।” 

খানিকটা ব্যাখ্যা করে সোনিয়া বলেন, “নায়করাজ রাজ্জাক স্যারের হাত ধরেই আমি নায়িকা হয়েছি। রিয়াজের প্রথম সিনেমা ছিল আমার সঙ্গে, দ্বিতীয় সিনেমা করেছি ওমর সানী ভাইয়ের সঙ্গে। সেই ধারাবাহিকতায় আমার অবস্থান আরো শক্ত হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু সেটা হয়নি। কারণ, নানাভাবে বাধা এসেছে।” 

ফিল্ম পলিটিকসের কয়েকটি উদাহরণ টেনে সোনিয়া বলেন, “আমার সাইন করা অনেক সিনেমায় অন্য নায়িকা কাজ করেছেন। চুক্তিবদ্ধ হওয়া সিনেমা থেকেও বাদ পড়েছি। একটা সিনেমার কথা বলি— সেখানে ওমর সানী ও মৌসুমী আপা কাজ করছিলেন। দুই দিন পর আমার শুটিং হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আগের রাতে জানতে পারি, আমাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এমনকি শাবনূরের সঙ্গে করা একটি সিনেমা থেকে আমার সংলাপ ও গান বাদ দেওয়া হয়েছিল। আরো একটি সিনেমায় আমাকে নেতিবাচক চরিত্রে দেখানো হয়। তখন এসব বুঝিনি—এখন জানি, একে-ই বলে ফিল্ম পলিটিকস।” 

মাত্র দশম শ্রেণিতে পড়াকালীন সিনেমার প্রস্তাব পান সোনিয়া। তার প্রথম সিনেমা ‘মাস্তান রাজা’। এরপর এসএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য কিছুদিন বিরতি নিয়ে আবার ফিরেন ‘প্রেম শক্তি’ সিনেমায়। ৩০ জনের মধ্যে অডিশনে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। 

সোনিয়াকে সর্বশেষ দেখা গেছে ‘বউ-শাশুড়ির যুদ্ধ’ সিনেমায়। তার উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে—‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ‘বাংলার নায়ক’, ‘শত জনমের প্রেম’, ‘প্রেম প্রতিশোধ’, ‘পরান কোকিলা’, ‘মিথ্যার মৃত্যু’, ‘অজান্তে’, ‘ভয়ংকর সাত দিন’ প্রভৃতি। 

নিজের ক্যারিয়ার ফিরে দেখে এখন তিনি বলছেন, “সব কিছুর পরও আমি কৃতজ্ঞ দর্শকদের প্রতি। তারা এখনো আমাকে মনে রেখেছেন—সেটাই সবচেয়ে বড় পুরস্কার।”

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ