রাজনৈতিক দলগুলো এখন নির্বাচনী ট্রেনে উঠে গেছে। প্রশ্ন হলো, সেই ট্রেনে কোন দলের অবস্থান কেমন হবে? সবাই কি ট্রেনযাত্রায় সমান সুবিধা পাবে? 

এবার কতটি দল নির্বাচনে অংশ নেবে, এখনই বলা যাচ্ছে না। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে ৩০টির মতো দল অংশ নেয়। এর বাইরেও অনেক দল আছে। নিবন্ধনের জন্য নতুন করে আবেদন করেছে শতাধিক দল। এর কেউ নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পাবে, কেউ পাবে না। বাংলাদেশে নির্বাচনে যাঁরা বারবার জামানত হারান, তাঁরাও মনে করেন জয়ী হবেন।

কেবল রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনী ট্রেনে ওঠালে হবে না। নাগরিক তথা ভোটারদেরও ওঠাতে হবে। বিগত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে ভোটাররা ভোট দিতে পারেননি। এবার সব ভোটারের ভোটাধিকার নিশ্চিত করে প্রমাণ করতে হবে, এই নির্বাচন আগেরগুলোর চেয়ে আলাদা। বিশেষ করে সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী, ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সব ভোটারকে নির্বাচনী ট্রেনে তুলতে হবে। কাজটি সহজ নয়। 

প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশনা পাওয়ার আগেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা একধরনের প্রচারে ছিলেন। নির্দেশনা পাওয়ার পর তাঁদের তৎপরতা আরও বেড়েছে। বিএনপি, গণতন্ত্র মঞ্চ ও জাতীয় নাগরিক পার্টির বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, তাঁরা নিয়মিত নিজেদের নির্বাচনী এলাকায় যাচ্ছেন, জনসংযোগ করছেন।

নির্বাচনী প্রচারে পুরোনো দলগুলোর সুবিধা হলো, তাদের দলীয় প্রতীক ঠিক করা আছে। কিন্তু নতুন দলগুলো কী করবে? জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দাবি করেছিল, তাদের শাপলা প্রতীক দেওয়া হোক। জুলাই পদযাত্রায় শাপলার পক্ষে তারা ব্যাপক প্রচারও চালিয়েছে।

সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন বলেছে, শাপলা জাতীয় ফুল। নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে কাউকে এটা দেওয়া হবে না। নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এনসিপি নেতারা। তাঁরা বলেছেন, শাপলা নির্বাচনী প্রতীক না হলে ধানের শীষও থাকবে না। রাষ্ট্রীয় মনোগ্রামে দুটোর ছবিই আছে। তবে বিকল্প হিসেবে এনসিপি আরও দুটি প্রতীক দিয়েছে, কলম ও মুঠোফোন। নির্বাচন কমিশনের উচিত নিবন্ধনের আবেদনপত্রগুলোর বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া। অন্যথায় জটিলতা বাড়বে।

জুলাই অভ্যুত্থানের বার্ষিকী উপলক্ষে এনসিপি সারা দেশে পদযাত্রা করছে। ইতিমধ্যে তারা দুটি বিভাগে পদযাত্রা শেষ করে তৃতীয় বিভাগে কর্মসূচি পালন করছে। এসব কর্মসূচিতে ব্যাপকসংখ্যক মানুষের উপস্থিতিতে এনসিপি নেতারা বেশ উজ্জীবিত। এনসিপির এক নেতা আলাপকালে বললেন, তাঁরা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অভাবিত সাড়া পাচ্ছেন। এখন তাঁদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হলো এই সমর্থন নির্বাচন পর্যন্ত ধরে রাখা। 

নির্বাচন কমিশন আগেই বলেছিল, ডিসেম্বরে নির্বাচন হলেও তারা প্রস্তুত আছে। ইতিমধ্যে তারা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে বিতর্কটি বেশ পুরোনো। বর্তমান কমিশন বলেছে, তারা কোনো নির্বাচন ইভিএমে করবে না। ব্যালটেই সব ভোট হবে। এর পাশাপাশি তারা জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে পাঁচটি সমন্বয় ও তদারকি কমিটি গঠন করেছে। এর আগে সিইসি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেও সরকারের মনোভাব জানার চেষ্টা করেছে। 

এদিকে প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজের সঙ্গে বৈঠক করে সংস্কারের বিষয়ে অগ্রগতি জানতে চেয়েছেন। তিনি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বাধীনভাবে নিরপেক্ষ নিয়োগের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, ভবিষ্যতে কোনো দল চাইলেই যাতে সংবিধান পরিবর্তন করে ফেলতে না পারে, সে ধরনের বিধান এবং নারী আসনে সরাসরি নির্বাচনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার কথা বলেছেন। রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক কাঠামো মজবুত করতে এসব সংস্কার জরুরি বলে মনে করি। 

আরও পড়ুনশুধুই নির্বাচন নাকি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন?১৩ জুন ২০২৫

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে অনেকগুলো বিষয়ে সুরাহা হয়েছে। আবার অনেক বিষয় আটকে আছে মতানৈক্যের কারণে। বিশেষ করে উচ্চকক্ষ ও নারী আসনের নির্বাচনপদ্ধতি। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আশা করছে, এ দুটো বিষয়েও শিগগিরই সমঝোতায় আসা যাবে। সে ক্ষেত্রে ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করা কঠিন হবে না। 

প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনাকে ইতিবাচকভাবেই দেখছে রাজনৈতিক দলগুলো। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এবং শিগগিরই নির্বাচনের পথনকশা পাবেন বলে আশা করছেন। গণতন্ত্র মঞ্চের একজন প্রভাবশালী নেতা বলেছেন, সরকার চাপে পড়লে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়। জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপির কথায়ও নরম সুর লক্ষ করা যাচ্ছে। জামায়াত ফেব্রুয়ারির সময়সীমার ওপর আস্থা রাখার কথা বলেছে। তবে তাদের সতর্কবাণী হলো, ‘ভোট যেন আওয়ামী লীগ আমলের মতো না হয়।’

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের বিষয়ে আপত্তি নেই এনসিপিরও। দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব প্রথম আলোকে বলেছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে যদি জুলাই ঘোষণাপত্র ও জুলাই সনদ হয় এবং বিচারের দৃশ্যমান অগ্রগতি সম্ভব হয়, তাহলে নির্বাচনের বিষয়ে আমাদের কোনো আপত্তি থাকবে না।’ সাম্প্রতিক কালে এই দুটি দলই আনুপাতিক ভোটপদ্ধতি ও নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশের বিষয়ে সোচ্চার। 

আরও পড়ুনএত কিছুর পরও নির্বাচন নিয়ে ফেব্রুয়ারি-এপ্রিলের দোলাচল কেন১১ জুলাই ২০২৫

জুলাই অভ্যুত্থানের বার্ষিকী উপলক্ষে এনসিপি সারা দেশে পদযাত্রা করছে। ইতিমধ্যে তারা দুটি বিভাগে পদযাত্রা শেষ করে তৃতীয় বিভাগে কর্মসূচি পালন করছে। এসব কর্মসূচিতে ব্যাপকসংখ্যক মানুষের উপস্থিতিতে এনসিপি নেতারা বেশ উজ্জীবিত। এনসিপির এক নেতা আলাপকালে বললেন, তাঁরা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অভাবিত সাড়া পাচ্ছেন। এখন তাঁদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হলো এই সমর্থন নির্বাচন পর্যন্ত ধরে রাখা। 

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় অনেকে বিএনপির বিকল্প শক্তি হিসেবে ভাবছে নতুন প্রজন্মের এ দলটিকে। আবার তাদের অতি আত্মবিশ্বাস বিপদও ডেকে আনতে পারে। এক টিভি টক শোতে এনসিপির একজন কেন্দ্রীয় নেতা বললেন, যতই দিন যাচ্ছে, বিএনপির জনপ্রিয়তা কমছে। তাঁর দাবি, আগামী নির্বাচনে বিএনপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে না। তারা ৫০ থেকে ৬০টি আসন পেতে পারে। অভ্যন্তরীণ হানাহানির কারণে বিএনপির জনপ্রিয়তা কমতে পারে। তাই বলে ৫০–৬০টি আসন পাবে, এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। 

সাম্প্রতিক কালে যেসব সংস্থা জরিপ করছে, তার ফলাফল এনসিপি নেতার দাবির সঙ্গে মেলে না। সব জরিপেই বিএনপি এগিয়ে আছে। বিএনপির পর জামায়াতে ইসলামী এবং কোনো কোনো জরিপে কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগ। এনসিপির অবস্থান বেশ নিচে।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়ায় বিএনপি ভোটের মাঠে নিজেকে অপ্রতিদ্বন্দ্বী মনে করছে। দলের কোনো কোনো নেতার বক্তব্য হলো, ২৭০–২৮০টি আসনের নিচে তারা পাবে না। এর জবাবে মাঠে না থাকা আওয়ামী লীগ নেতাদের কথাই বিএনপিকে স্মরণ করিয়ে দেব। ১৯৯১ সালের নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের কোনো কোনো নেতা আস্ফালন করে বলেছিলেন, বিএনপি ২০টির বেশি আসন পাবে না। ওই নির্বাচনে বিএনপি জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে। পরাজিত আওয়ামী লীগকে বিরোধী দলের আসনে বসতে হয়। 

নির্বাচনী ট্রেন পুরোপুরি চালু হলে বোঝা যাবে কে কার ভোটসঙ্গী বা সহযোগী হবে। জামায়াত কিংবা এনসিপি এখনো জোটবদ্ধ নির্বাচনের কথা ভাবছে না। তবে ‘প্রবল প্রতিপক্ষকে’ রুখতে তাদের মধ্যে আসন সমঝোতা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে বিএনপিকেও নতুন কৌশল নিয়ে এগোতে হবে। ২৭০–২৮০টি আসনের ঘোরে থাকলে চলবে না। 

সোহরাব হাসান প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক ও কবি

[email protected]

* মতামত লেখকের নিজস্ব

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এনস প র ব এনপ র পদয ত র শ ষ কর বল ছ ন আওয় ম ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

রাষ্ট্র সংস্কার কি সরকারের কাছে শুধুই ফাঁকা বুলি, প্রশ্ন টিআইবির

‘বাছাই ও পর্যালোচনা কমিটি’ গঠনের মতো গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত সুপারিশ বাদ দিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন অধ্যাদেশ চূড়ান্ত অনুমোদন করায় গভীর হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) জবাবদিহির বাইরে রাখার মাধ্যমে রাষ্ট্র সংস্কার কেবলই ফাঁকা বুলি কি না, এ প্রশ্নও তুলেছে টিআইবি।

আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে টিআইবি বলেছে, ক্ষমতাসীনদের ইঙ্গিতে কেবল প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার এজেন্ডা বাস্তবায়নের হাতিয়ার হিসেবে পরিচিত দুদকের উত্তরণের লক্ষ‍্যে ‘বাছাই ও পর্যালোচনা কমিটি’ গঠনের মতো গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত সুপারিশ করা হয়েছিল। এই সুপারিশ বাদ দেওয়া শুধু হতাশাজনক নয়, সরকারের অভ্যন্তরে প্রায় সব ক্ষেত্রে সংস্কারবিরোধী মহলের ষড়যন্ত্রের কাছে রাষ্ট্র সংস্কারের অভীষ্টের জিম্মিদশারও পরিচায়ক।

জুলাই সনদে স্বাক্ষরকারী সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্য ও সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সম্মতির পরও চূড়ান্ত অধ্যাদেশে এই সুপারিশ অন্তর্ভুক্ত না হওয়ার বিষয়টি রাষ্ট্র সংস্কারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সরকারের অনাগ্রহের ইঙ্গিত বলে মনে করে টিআইবি।

দুদককে প্রকৃত অর্থে একটি জবাবদিহিমূলক, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার এই কৌশলগত সুপারিশটি অনুধাবনে সরকার ব্যর্থ হয়েছে, যা অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় বলে উল্লেখ করে টিআইবি আরও বলেছে, রাষ্ট্র সংস্কারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারের জন্য এটি স্ববিরোধী ও সংস্কারপরিপন্থী নজির।

ঐকমত্য কমিশনের প্রধান ও ১১টি সংস্কার কমিশন প্রতিষ্ঠার যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা দুদককে জবাবদিহির বাইরে রাখার মাধ্যমে রাজনৈতিক দলসহ দেশবাসীকে কি এই বার্তা দিতে চাইছেন যে রাষ্ট্র সংস্কার কেবলই ফাঁকা বুলি—এ প্রশ্নও বিবৃতিতে তুলেছে টিআইবি।

বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বিগত দুই দশকের অভিজ্ঞতা, অংশীজনদের মতামত, আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চা, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও আমলাতান্ত্রিক প্রেক্ষিত বিবেচনায় দুদক যাতে ক্ষমতাসীনদের হয়রানির হাতিয়ার হিসেবে চলমান না থাকে, সে লক্ষ‍্যে দুদক সংস্কার কমিশন ‘বাছাই ও পর্যালোচনা কমিটি’ গঠনের সুপারিশ করেছিল। জন্মলগ্ন থেকে দুদক যেভাবে জন–আস্থার সংকটে ভুগছে এবং স্বার্থান্বেষী মহলের ক্রীড়নক হিসেবে ক্ষমতাসীনদের সুরক্ষা আর প্রতিপক্ষকে হয়রানির হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে, তা থেকে উত্তরণ ঘটাতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ প্রস্তাবটি করা হয়েছিল।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন, ‘নির্ভরযোগ্য সূত্রমতে অন্তত সাতজন উপদেষ্টা এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছেন। অথচ তাঁরা জানেন যে এই প্রস্তাবে জুলাই সনদে স্বাক্ষরকারী সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে। জুলাই সনদ লঙ্ঘনের এরূপ উদাহরণ সৃষ্টি করার আগে সরকার কেন ভাবছে না যে এর মাধ‍্যমে রাজনৈতিক দলকে তারা নিজেরাই জুলাই সনদ লঙ্ঘনে উৎসাহিত করছে? তাহলে কেন এত রক্তক্ষয়ী আত্মত্যাগ? দুর্নীতির কার্যকর নিয়ন্ত্রণের উপায় রুদ্ধ করে কীসের রাষ্ট্র সংস্কার?’

অধ‍্যাদেশটির যে খসড়াটি টিআইবির দেখার সুযোগ হয়েছিল, তা অনেকাংশে বিদ্যমান আইনের তুলনায় উন্নত মানের হওয়ায় টিআইবি সরকারকে সাধুবাদ জানাচ্ছে। তবে নির্ভরযোগ্য সূত্রের তথ্যানুযায়ী, চূড়ান্ত অধ্যাদেশে উল্লিখিত বিষয়টির পাশাপাশি আরও কিছু ঐকমত্য-অর্জিত গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত সুপারিশ বাদ দেওয়া হয়েছে, যা সরকারের অভ্যন্তরে স্বার্থান্বেষী ও প্রভাবশালী মহলের দুর্নীতি-সহায়ক ও সংস্কার-পরিপন্থী অবস্থান ছাড়া আর কিছু হতে পারে না বলে উল্লেখ করেছে টিআইবি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাষ্ট্র সংস্কার কি সরকারের কাছে শুধুই ফাঁকা বুলি, প্রশ্ন টিআইবির