রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গ্যাসভর্তি বেলুন বিস্ফোরণে ৬ জন আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, দুপুরে অনুষ্ঠানস্থলে ‘হেলিকপ্টার বেলুন’ উড়ানো হচ্ছিল। আয়োজকদের দাবি, গত বছরের এই দিনে দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগের প্রস্তুতিকালে ছিলেন এই ঘটনাকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রতীকীভাবে হেলিকপ্টার বেলুনটি উড়ানো হয়। গ্যাসভর্তি বেলুনটি বিস্ফোরণে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

আরো পড়ুন:

আব্দুল কাদের শিবিরের সাথী ছিলেন, দাবি ঢাবি শিবিরের সাবেক সভাপতির

ঐতিহাসিক জুলাইয়ের কারণে আমরা একটি ঐতিহ্যের উত্তরাধিকারী: ঢাবি উপাচার্য

আহতদের তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও। তারা তাৎক্ষণিকভাবে এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলে এবং বিস্ফোরণের কারণ অনুসন্ধানে কাজ শুরু করে।

ঘটনার পর আহতদের দ্রুত জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়। সেখানকার আবাসিক সার্জন ডা.

শাওন বিন রহমান গণমাধ্যমকে জানান, আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন। তাদের কারো অবস্থা গুরুতর নয়। 

পুলিশ জানিয়েছে, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিত রয়েছে।

ঢাকা/রায়হান/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মধুপুরে ৮৮টি বন মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত

টাঙ্গাইল বন বিভাগের মধুপুর অঞ্চলে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও স্থানীয় বাঙালিদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ৮৮টি বন মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে মোট ১৩৬টি মামলার অবশিষ্ট ৪৮টির অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা আগামী এক বছর পর শর্তসাপেক্ষে প্রত্যাহার করা হবে।

বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। টাঙ্গাইল বন বিভাগের আওতায় মধুপুর বনে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও স্থানীয় বাঙালিসহ ৫০৩ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলো পর্যালোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় আরো সিদ্ধান্ত হয়- মধুপুর বনের চারটি রেঞ্জের ১০টি বনবিটে বিট কর্মকর্তার নেতৃত্বে চার সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হবে। এসব কমিটিতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর দুইজন এবং স্থানীয় সহব্যবস্থাপনা কমিটির দুইজন সদস্য থাকবেন। বন অপরাধ কমানো এবং বিরোধ নিষ্পত্তিতে এসব কমিটি কার্যকর ভূমিকা রাখবে। এছাড়া সভায় বন বিভাগকে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর গো-চারণ, পানি ও ভূমি ব্যবহারের অধিকার নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ড. ফাহমিদা খানম, প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীসহ আইন মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, বন অধিদপ্তরের প্রতিনিধি এবং মধুপুরের জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন)-কে আহ্বায়ক করে গঠিত ৮ (আট) সদস্য বিশিষ্ট কমিটি সুপারিশ মোতাবেক মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। মোট ১৩৬টি মামলায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অভিযুক্ত সংখ্যা ৩১৫ জন এবং স্থানীয় বাঙালি অভিযুক্তের সংখ্যা ১৮৮ জন, সর্বমোট ৫০৩ জন।

ঢাকা/এএএম/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ