মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণ, আহত ৬
Published: 5th, August 2025 GMT
রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গ্যাসভর্তি বেলুন বিস্ফোরণে ৬ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, দুপুরে অনুষ্ঠানস্থলে ‘হেলিকপ্টার বেলুন’ উড়ানো হচ্ছিল। আয়োজকদের দাবি, গত বছরের এই দিনে দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগের প্রস্তুতিকালে ছিলেন এই ঘটনাকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রতীকীভাবে হেলিকপ্টার বেলুনটি উড়ানো হয়। গ্যাসভর্তি বেলুনটি বিস্ফোরণে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আরো পড়ুন:
আব্দুল কাদের শিবিরের সাথী ছিলেন, দাবি ঢাবি শিবিরের সাবেক সভাপতির
ঐতিহাসিক জুলাইয়ের কারণে আমরা একটি ঐতিহ্যের উত্তরাধিকারী: ঢাবি উপাচার্য
আহতদের তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও। তারা তাৎক্ষণিকভাবে এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলে এবং বিস্ফোরণের কারণ অনুসন্ধানে কাজ শুরু করে।
ঘটনার পর আহতদের দ্রুত জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়। সেখানকার আবাসিক সার্জন ডা.
পুলিশ জানিয়েছে, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিত রয়েছে।
ঢাকা/রায়হান/সাইফ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদের দ্রুত আইনি ভিত্তি দিতে হবে: মাওলানা ইমতিয়াজ
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দ্রুত দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মাদ ইমতিয়াজ আলম।
তিনি বলেছেন, “আইনী ভিত্তি না থাকলে অচিরেই কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল এই অভ্যুত্থানকে ষড়যন্ত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে।”
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
জুলাই সনদের ভিত্তি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে ইমতিয়াজ আলম বলেন, “দেশের পরিস্থিতি এবং কতিপয় নামধারী বুদ্ধিজীবীর কথাবার্তা দিনদিন অবনতি হচ্ছে। জুলাই সনদের আইনি কোনো ভিত্তি না থাকায়, জুলাই অভ্যুত্থানকে মুছে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। তাই, দ্রুত জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদান করতে হবে।”
বিভিন্ন সময় বিভিন্ন চেতনার ব্যবসা করে দেশকে গোল্লায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “জুলাই বিপ্লব নিয়ে কোনো ধরনের চেতনা ব্যবসা এদেশের মানুষ মেনে নেবে না।” অন্তর্বর্তীকালীন সরকার থাকা অবস্থায় রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় জুলাইয়ের সঠিক ইতিহাস লেখার আহ্বান জানান তিনি।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এই নেতা বলেন, “জুলাইয়ে শহীদ এবং আহতরা হলো এই আন্দোলনের মূল মাস্টারমাইন্ড। তাদেরকে দেখেই সাধারণ জনতা আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি না থাকলে সহস্রাধিক শহীদ এবং লক্ষাধিক আহতদের কোনো একসময় দেশদ্রোহী, বিশ্বাসঘাতক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করলেও কিছু করার থাকবে না। আহতদের পরিপূর্ণ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অনেকটাই ব্যর্থ হয়েছে।” আহতদের পরিপূর্ণ পুনর্বাসন জরুরি বলে মনে করেন তিনি।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/মাসুদ