ফেসবুকে তারেক রহমানকে নিয়ে ‘কটূক্তি’র অভিযোগে মামলার আবেদন খারিজ
Published: 20th, November 2025 GMT
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে ফেসবুকে ‘কটূক্তি’র অভিযোগে শাহিন মাহমুদ নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে করা মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাইদুর রহমান গাজী আজ বৃহস্পতিবার এ আবেদনটি খারিজ করে দেন।
গতকাল বুধবার আদালতে মামলাটি করেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সহসাধারণ সম্পাদক ইলতুৎমিশ সওদাগর। আদালত বাদীর জবানবন্দি নিয়ে আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য রাখেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, মামলাটির অভিযোগ সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশে কাভার না করায় আদালত তা খারিজ করে দিয়েছেন।
মামলার আবেদনের অভিযোগে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ১২ নভেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলীয় সমাবেশে ভার্চ্যুয়াল বক্তব্যে বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে, গণভোটের চাইতে আলুর ন্যায্যমূল্য পাওয়া অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’ আসামি শাহিন মাহমুদ ১৫ নভেম্বর তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে তারেক রহমানের উদ্দেশে পোস্ট দেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘৮৮ কোটি টাকা দিয়ে বুলেটপ্রুফ গাড়ি না কিনে ওই টাকা কৃষকদের দিলে পেঁয়াজ, আলুর ন্যায্য দাম পেত।’
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, আসামি কাণ্ডজ্ঞানহীন ও মিথ্যা পোস্ট দিয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের গৌরব, সম্মান, দেশপ্রেম, রাজনৈতিক দূরদর্শিতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার হীন প্রয়াসকে প্রস্ফুটিত করেছে। তারেক রহমানের রাজনৈতিক ও সামাজিক গৌরবকে কলুষিত করে আসামি উদ্দেশ্যমূলকভাবে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করেছেন। আসামির দাবি করা ৮৮ কোটি টাকার বিনিময়ে কোনো বিলাসবহুল বুলেটপ্রুফ গাড়ি কেনা হয়নি। এ ধরনের বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করায় সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫–এর ২৩ (২), ২৫(১), ২৭ (১) ও ২৭ (২) ধারায় অপরাধ হয়েছে।
আরও পড়ুনফেসবুকে তারেক রহমানকে ‘কটূক্তি’র অভিযোগে মামলার আবেদন১৬ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ত র ক রহম ন ফ সব ক
এছাড়াও পড়ুন:
এই রায়ে কষ্ট পেয়েছি: শেখ হাসিনার আইনজীবী
জুলাই গণঅভ্যুত্থান দমানোর চেষ্টায় মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রাণদণ্ড দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এই রায়ে কষ্ট পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রনিযুক্ত শেখ হাসিনার আইনজীবী আমির হোসেন।
রায়ের পর এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, “এই রায়ে আমি কষ্ট পেয়েছি।”
আরো পড়ুন:
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডে সন্তুষ্ট আইন উপদেষ্টা
শহীদরা ন্যায়বিচার পেয়েছেন: অ্যাটর্নি জেনারেল
এর আগে সোমবার (১৭ নভেম্বর) ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় করা মামলার রায় ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায়ে ২ নম্বর অভিযোগে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড আদেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া মামলার অন্য আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড এবং দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়ে ট্রাইব্যুনালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার পর ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায় পড়া শুরু হয়। দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে এ রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল।
বিচারিক প্যানেলের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
গণ-অভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ডসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় করা এটিই প্রথম মামলা, যার রায় ঘোষণা হলো আজ।
ঢাকা/রায়হান/সাইফ