মুন্সীগঞ্জে আখক্ষেতে বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণ গেল কিশোরের
Published: 13th, August 2025 GMT
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় আখক্ষেতে পেতে রাখা বৈদ্যুতিক ফাঁদে শাহিন (১৪) নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (১৩ জুলাই) সকাল ৮টার দিকে গজারিয়া উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের কলসেরকান্দী গ্রামের সাইদুর রহমানের আখক্ষেত থেকে ওই কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাতের কোনো একসময়ে বিদ্যুৎস্পর্শে মারা যায় শাহিন। সে উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের ইসমানিরচর গ্রামের জহিরুল ইসলামের ছেলে।
আরো পড়ুন:
কুষ্টিয়ায় বজ্রপাতে ২ কৃষকের মৃত্যু
নৌকায় বিস্ফোরণে দগ্ধ আরো একজনের মৃত্যু
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শিয়ালসহ অন্যান্য প্রাণী থেকে আখক্ষেত রক্ষায় বৈদ্যুতিক ফাঁদ তৈরি করেন জমির মালিক সাইদুর রহমান সেন্টু। মঙ্গলবার রাতের কোনো একসময়ে শাহিন ওই ফাঁদে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আখক্ষেতে পড়ে থাকে। সকালে কয়েকজন পথচারী স্থানীয় সড়ক দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় শাহিনকে পড়ে থাকতে দেখে তার পরিবার ও পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শাহিনের মরদেহ উদ্ধার করে।
এদিকে, শাহিনের মরদেহ উদ্ধারের পর জমির মালিক সাইদুর রহমান সেন্টু বাড়ি থেকে পালিয়েছেন।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য কিরণ সরদার জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বিদ্যুৎস্পর্শে মারা গেছে শাহিন।
গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার আলম আজাদ জানিয়েছেন, ওই কিশোরের মরদেহ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। এ বিষয়ে তদন্ত করা হবে।
ঢাকা/রতন/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দূষণ শুষে নেওয়া পদ্ম ফুল কেন হারিয়ে যাচ্ছে
পদ্ম জলাভূমিতে শোভা ছড়ায়, এর ফুল মধু বিকোয়, কিছু খাদ্যমূল্যও আছে। তবে বিজ্ঞানী, উদ্ভিদবিদ ও জলবায়ুবিশেষজ্ঞরা বলছেন, বহুগুণে সমৃদ্ধ পদ্ম বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন উদ্ভিদের একটি। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য দায়ী কার্বন ডাই–অক্সাইড শোষণে অন্যান্য জলজ উদ্ভিদের তুলনায় পদ্ম অনেক বেশি সক্ষম।
শুধু কার্বন শোষণ নয়, সিসা, তামা, ফ্লোরাইড কিংবা নাইট্রেটের মতো ভারী ধাতু শোধনের ক্ষমতাও রাখে পদ্ম। পানির মান কতটা ভালো হতে পারে, তার নির্ণায়ক পদ্ম। বৈশ্বিক নানা গবেষণায় দেখা গেছে, যে জলাশয়ে পদ্মের উপস্থিতি থাকে, সেখানে দ্রবীভূত অক্সিজেন (ডিও) ভালো থাকে। খাবার, ওষুধ ও কসমেটিক–সামগ্রী হিসেবে পদ্মের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। পদ্মের বিশ্ববাজার এখন ২৫ হাজার কোটি টাকার বেশি।
কার্বনসহ ভারী ধাতু শোধনের ক্ষমতা রাখে পদ্ম। পানির মান নির্ণায়ক পদ্ম। এর বিশ্ববাজার এখন ২৫ হাজার কোটি টাকার বেশি।কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর ‘কেউ কথা রাখেনি’ কবিতায় প্রেমিকা বরুনার জন্য ‘বিশ্বসংসার তন্নতন্ন করে খুঁজে’ ১০৮টা নীলপদ্ম আনার কথা বলেছিলেন। সম্প্রতি আমরাও পদ্ম আর পদ্মবিলের খোঁজে বেরিয়েছিলাম। মাঝশরতের সকাল পেরিয়ে দুপুর। টাঙ্গাইলের নানা স্থানে পদ্মবিলের খ্যাতি আছে। একসময় কালিহাতীর বিলগুলোয় ‘পদ্ম’ ফুটত। আমাদের উদ্দেশ্য, পদ্মশোভিত বিল দেখা। তপ্ত রোদ আর গরম উপেক্ষা করে ঘুরে বেড়ালাম পাইকড়া বিল, চারাণ বিল, নকীল বিল, কুমার বিল, সিংগুলি বিলসহ আরও কত বিল। কোথাও পদ্ম ফুলের দেখা পাওয়া গেল না। কচুরিপানায় ভরা বিলগুলোর একটির নাম সাতবিল। একটি ছোট নৌকার মাঝি মজনু শাহ বলেন, এ বিলে আগে পদ্ম থাকলেও এখন নেই।
ঘুরতে ঘুরতে জানতে পারলাম, কালিহাতীর নাগবাড়ী ইউনিয়নের ধানগড়া গ্রামের নান্দাই বিলে পদ্মফুল থাকতে পারে। কচুরিপানা আর হরেক রকম জলজ উদ্ভিদ ভেদ করে মাঝ বিলে গিয়ে দেখলাম, পদ্মপাতা ভাসছে। কিন্তু ফুল খুব কম। নৌকাচালক আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘বিলে মাছে ছাষ অয়। আগে তো ম্যালা জায়গায় পদ্ম হইত। এহন এহানেই টিক্যা আছে। মাছের চাষ করতে গিয়্যা পদ্ম উডাইয়া ফেলে।’
আন্ধাশুরা বিলে ফুটে আছে পদ্ম। একসময় এ বিলে অনেক পদ্ম ফুটত। এখন তা কমে গেছে