পাকিস্তান জানিয়েছে, মে মাসে সংঘর্ষের সময় ছয়টি ভারতীয় বিমান ভূপাতিত করার ভিডিও ফুটেজ ইসলামাবাদের কাছে রয়েছে। রবিবার পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভি এ তথ্য জানিয়েছেন।

পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় পাকিস্তানের মদদ ছিল দাবি করে ৭ থেকে ১০ মে ভারত পাকিস্তানের কয়েকটি এলাকায় হামলা চালায়। ওই সময় পাকিস্তান দাবি করে, তাদের পাল্টা হামলায় ভারতের ছয়টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ফরাসি যুদ্ধবিমান রাফায়েলও রয়েছে। ভারতের সর্বোচ্চ পদস্থ জেনারেলও স্বীকার করেছেন, তাদের সেনাবাহিনী আকাশ যুদ্ধে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে, তবে ছয়টি বিমান হারানোর কথা অস্বীকার করেছেন তিনি।

পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভি রবিবার বলেছেন, “গত দেড় মাস ধরে সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী, নৌবাহিনী এবং সরকার সবাই স্বীকার করেছে, কিন্তু আমাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো পর্দার আড়ালে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছে। আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে ভারতের (পরিকল্পনা) সম্পর্কে অনেক আগেই তথ্য ছিল। আমরা জানতাম তারা (ভারত) কী পরিকল্পনা করছে, তারা কোন বিমান ব্যবহার করবে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু তারা এগিয়ে আসে না। আমাদের তা স্বীকার করতে হবে।”

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, যখন ভারতীয় বিমান ভূপাতিত করা হয়েছিল, তখন প্রমাণ ছাড়া এটি ঘোষণা না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

তিনি বলেন, “আমাদের কাছে রাডার ডেটা ছিল, কিন্তু আমাদের মাঠ পর্যায়ের প্রমাণের প্রয়োজন ছিল। কয়েক মিনিটের মধ্যেই আমরা গুলি করে ভূপাতিত করা ছয়টি বিমানের ভিডিও ফুটেজ পেয়েছি। আমাদের কাছে এই ফুটেজ আছে।”

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ব ক র কর ভ প ত ত কর আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে চলছে ‘এডুকেশন অ্যান্ড অ্যাডমিশন ফেয়ার’

উত্তরা ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্প্রিং-২০২৬ সেশনের ছাত্রছাত্রীদের জন্য গত সোমবার (১ ডিসেম্বর) শুরু হয়েছে ‘এডুকশেন অ্যান্ড অ্যাডমিশন ফেয়ার’।

সম্ভাব্য শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসের সত্যিকারের পরিবেশ সম্পর্কে জানানো এবং বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষকসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়ে সার্বিক ধারণা দেওয়াই এ আয়োজনের উদ্দেশ্য। ১৫ দিনব্যাপী এ মেলায় শিক্ষার্থীদের জন্য থাকছে বিশেষ ছাড় ও উপহার।

উত্তরা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ইয়াসমীন আরা মেলার উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘এডুকেশন অ্যান্ড অ্যাডমিশন ফেয়ার আমাদের ইউনিভার্সিটির দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতার ফসল। আমরা এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে আমাদের সম্ভাব্য শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ তৈরি করার পথ বেছে নিতে সাহায্য করি। তাদের কৌতূহল, তাদের প্রশ্ন এবং সত্যিকার অর্থে আমরা কেমন প্রতিষ্ঠান—এসব যাচাইয়ের সবচেয়ে ভালো সুযোগ এটি।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের ক্যাম্পাস, পরিবেশ এবং এর সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে সরাসরি পরখ করার জন্য ছাত্রছাত্রী, অভিভাবকসহ সবাইকে আমন্ত্রণ জানাই।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের মাল্টিপারপাস হলে আয়োজিত ফেয়ারে রয়েছে প্রতিটি বিভাগের আলাদা আলাদা স্টল। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং সম্ভাব্য শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন। দর্শনার্থীরা স্নাতক ও স্নাতকোত্তর প্রোগ্রাম, একাডেমিক সুবিধা, গবেষণা সুযোগ, সহশিক্ষা কার্যক্রম, ক্যাম্পাস–সংস্কৃতি এবং উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক শিক্ষা পরিবেশ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ