বদরুদ্দীন উমর আমৃত্যু জনগণের স্বার্থে রাজনীতি করে গেছেন
Published: 7th, September 2025 GMT
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “বদরুদ্দীন উমর আমৃত্যু জনগণের স্বার্থে রাজনীতি করে গেছেন।”
রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) এক শোক বার্তায় বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।
আরো পড়ুন:
খুলনায় মহররমের নামে শেখ মুজিবের মৃত্যুবার্ষিকী পালনের চেষ্টা
বিমান বিধ্বস্তে নিহতদের স্মরণে দুবাইয়ে শোক ও দোয়া মাহফিল
তিনি বলেন, “আমৃত্যু তিনি (বদরুদ্দীন উমর) জনগণের স্বার্থে রাজনীতি করেছেন ও কলম ধরেছেন।রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন এক জলন্ত প্রতিবাদ।বিদ্যমান রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে তার মতো নির্ভিক মুক্তচিন্তার বুদ্ধিজীবীর বেঁচে থাকা খুব জরুরি ছিল।”
বদরুদ্দীন উমরের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “লেখক, গবেষক, বামধারার বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক বদরুদ্দীন উমরের মৃত্যুতে আমি বেদনাহত। কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষের শোষণ-মুক্তি সংগ্রামে তার লেখনী প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে। ইতিহাসের পরিক্রমায় নানা উত্থান-পতনের ঘটনা নিয়ে তিনি রচনা করেছেন অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ। আজীবন বাম প্রগতিশীল রাজনীতিতে সংশ্লিষ্ট মরহুম উমর সহজ, সরল, অনাড়ম্বর জীবনযাপন করেছেন নিজ আদর্শে অবিচল থেকে।”
মির্জা ফখরুল বলেন, “কখনোই স্বৈরশাসকের ধমকে নীরব দর্শক হয়ে থাকেননি বরং তিনি তার কথা ও লেখনিতে অন্যায় ও অবিচারের মূলে প্রচণ্ড শক্তিতে কুঠারাঘাত করেছেন।”
বিএনপি মহাসচিব শোক বার্তায় প্রয়াত বদরুদ্দীন উমরের শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
বদরুদ্দীন উমর রবিবার সকালে ঢাকার বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে মারা যান। তার বয়স হয়েছিলে ৯৪ বছর। দীর্ঘদিন ধরে তিনি বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।
ঢাকা/রায়হান/সাইফ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম র জ ফখর ল ইসল ম আলমগ র বদর দ দ ন উমর র র জন ত কর ছ ন ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদের বাস্তবায়নে দেরি হলে জনগণ আবারও রাস্তায় নামবে: জামায়াত নেতা রফিকুল
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি এখন দেশের ১৮ কোটি মানুষের দাবি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, ‘এই সনদ নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে জারি করা হোক এবং প্রয়োজনে গণভোটের আয়োজন করা হোক। তবে এই গণভোট অবশ্যই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই হতে হবে, নির্বাচনের পরে নয়।’
আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে জুলাই সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে তৃতীয় ধাপে তৃতীয় দিনের আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন রফিকুল ইসলাম খান। এ সময় উপস্থিত ছিলে জামায়াতের আরেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ।
জুলাই সনদের বাস্তবায়নে দেরি হলে জনগণ স্বাভাবিকভাবেই আবারও রাস্তায় নেমে আসবে বলে মন্তব্য করেন রফিকুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, ১৯৯০ সালের গণ-অভ্যুত্থানের পর সে সময়কার দলগুলোর ঐকমত্য থাকা সত্ত্বেও ক্ষমতায় থাকা দলগুলো সেটি (তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা) যথাসময়ে বাস্তবায়ন করেনি। পরে আন্দোলনের মাধ্যমেই তা সংবিধানে যুক্ত হয়।
জামায়াতের এই নেতা আরও বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল হয়েছিল বিচারপতি খায়রুল হকের রায়ের মাধ্যমে। আদালতের ওপর প্রভাব বিস্তার করে এ রায় দেওয়ানো হয়েছিল। তাই বিচার বিভাগকে আবার বিতর্কের মুখে না ফেলে সংবিধানিক আদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পক্ষে জামায়াত।
জামায়াতের আরেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ঐকমত্য কমিশন একটি বিশেষজ্ঞ কমিটির মাধ্যমে চারটি বিকল্প নিয়ে কাজ করেছে, যার মধ্যে কমিশন সংবিধানিক আদেশের প্রস্তাবটি সমর্থন করেছে। এই আদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদের ২২টি আর্টিকেল বাস্তবায়িত হতে পারে। এটি আইনিভাবে সবচেয়ে শক্তিশালী ভিত্তি।
এক প্রশ্নের জবাবে হামিদুর রহমান বলেন, সংবিধানের মৌলিক কাঠামো পরিবর্তন করার এখতিয়ার সংসদের নেই, এবং এ ধরনের পরিবর্তন করতে হলে অবশ্যই গণভোটের প্রয়োজন হয়।
জামায়াতে ইসলামী জনগণের অভিপ্রায়কে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয় উল্লেখ করে জামায়াতের এ সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, জনগণের ইচ্ছা ও আকাঙ্ক্ষাই হচ্ছে দেশের সর্বোচ্চ আইন।
জুলাই সনদের যে আদর্শ ও চেতনা, তা বাস্তবায়ন হওয়া উচিত এবং যারা এই আদর্শের পথে হাঁটবে না, জনগণ তাদের ব্যাপারে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে বলে মনে করেন হামিদুর রহমান আযাদ। উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ডাকসু নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ এটি প্রমাণ করে যে এ দেশের তরুণসমাজ ও জনগণ নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থা চায় এবং জুলাই বিপ্লবের যোদ্ধাদের পক্ষেই রয়েছে।