ডাকসু: শারিরীক শিক্ষা কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৮৩.১৯ শতাংশ
Published: 9th, September 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের আটটি কেন্দ্রের মধ্যে শারিরীক শিক্ষা কেন্দ্রের ভোটের ফলাফল প্রকাশ হয়েছে। এ কেন্দ্রে প্রায় ৮৩.১৯ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শারিরীক শিক্ষা কেন্দ্রের রিটানিং কর্মকর্তা ও কেন্দ্র প্রধান ড. কাজী মোস্তাক গাউসুল হক এ কথা জানান।
আরো পড়ুন:
ডাকসু নির্বাচন: এলইডি স্ক্রিন চালু, ভোট গণনা দেখছেন শিক্ষার্থীরা
ডাকসু নির্বাচনে এলইডি স্ক্রিনে সরাসরি দেখানো হবে ভোট গণনা
শারিরীক শিক্ষা কেন্দ্রের রিটানিং কর্মকর্তা ও কেন্দ্র প্রধান ড.
তিনি বলেন, “সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের মোট ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ৯৬৩ জন। এর মধ্যে কাস্ট হয়েছে ১ হাজার ৬৬০টি এবং অনুপস্থিত ছিলেন ৩০৩ জন। শতকরা হিসেবে কাস্টিং ভোটের হার ৮৪ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
“স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের মোট ভোটার সংখ্যা ৬৬৯ জন। এর মধ্যে কাস্ট হয়েছে ৫৫৩টি এবং অনুপস্থিত ছিলেন ১১৬ জন্য। শতকরা হিসেবে কাস্টিং ভোটের হার ৮২ দশমিক ৮৩ শতাংশ,” যুক্ত করেন ড. গাউসুল হক।
ড. গাউসুল হক বলেন, “সবমিলে শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে তিন হলের মোট ভোট সংখ্যা ৪ হাজার ৮৬১টি।এর মধ্যে মোট ৪ হাজার ৪৪টি ভোট কাস্ট হয়েছে, যা শতকরা হিসেবে ৮৩.১৯ শতাংশ।”
ঢাকা/রায়হান/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচনের দিন অমোচনীয় কালি সরবরাহ না হলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে: ছাত্রদল
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে অমোচনীয় কালি সরবরাহ না করলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতারা। এ ছাড়া এমফিল কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ছাত্রদলকে ভোট প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
রোববার উপাচার্যের সভাকক্ষে রাজনৈতিক ও সক্রিয় সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫–এর আচরণবিধিবিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় ছাত্রদলের নেতারা এমন মন্তব্য করেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘নির্বাচনে যদি কোনো ধরনের অনিয়মের ঘটনা ঘটে, তাহলে আমরা একচুল ছাড় দেব না। আমি প্রতিজ্ঞা করছি, যদি কোনো ধরনের অনিয়ম হয়— কোনো ছাড় হবে না। নির্বাচনের সময় অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে হবে। যদি নির্বাচন কমিশন অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে।’
ভোটের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ‘ম্যানুয়ালি’ ভোট গণনার দাবি জানিয়ে শামসুল আরেফিন বলেন, ‘কত ব্যালট ছাপানো হলো, কত ভোট গণনা হলো, কত ব্যালট নষ্ট হলো—এসব তথ্য স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রকাশ করতে হবে। কারণ, আমরা ডাকসুতে ব্যালট কেলেঙ্কারির অভিযোগ সম্পর্কে জানি।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ বিধিমালায় এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ছাত্রদলকে ‘মাইনাস’ করার একটি মাস্টারপ্ল্যান করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘জকসু গঠন ও পরিচালনা বিধিমালায় বলা হয়েছে, তফসিল ঘোষণার পর নিয়মিত শিক্ষার্থী ভোটার কিংবা প্রার্থী ছাড়া কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। অন্যদিকে এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থীর যোগ্যতা না দিয়ে আমাদের মাইনাস করা ছিল মাস্টারপ্ল্যান—আর সেই মাস্টারপ্ল্যান সফল হয়েছে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসানের সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য রেজাউল করিম, প্রক্টর, সিন্ডিকেটের সদস্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন ২০২৫-এর নির্বাচন কমিশনার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।