খাগড়াছড়িতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উত্তরণে কাজ করছে বিজিবি
Published: 30th, September 2025 GMT
বিজিবির খাগড়াছড়ি সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. আব্দুল মোত্তাকিম বলেছেন, “খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উত্তরণে বিজিবি বেসামরিক প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করছে। উদ্ভুত অবস্থা যাতে অবনতি না ঘটে সেজন্য ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।”
তিনি বলেন, “দ্রুত পদক্ষেপের কারণে কেউ বড় ধরণের নাশকতার সুযোগ পায়নি। সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য বাহিনীর সদস্য ও প্রশাসনের চেষ্টায় পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”
আরো পড়ুন:
যশোরে মদ-ফেনসিডিলসহ আটক ২
দুর্গাপূজা উপলক্ষে সাতক্ষীরা সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে খাগড়াছড়ি সদরের স্বনির্ভর এলাকায় সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে কর্নেল মো.
বিজিবির এই কর্মকর্তা বলেন, “সীমান্তে কঠোর নজরদারি রাখা হয়েছে, যাতে ওপাশ থেকে অবৈধ অস্ত্র ঢুকতে না পারে। পাহাড়ে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে।”
এসময় খাগড়াছড়ি ব্যাটালিয়নের (৩২ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কামরান কবির উদ্দিন, সহকারী পরিচালক মো. হাসানুজ্জামান ও ইউছুপ আলী উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/রূপায়ন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বুড়িগঙ্গায় প্রতিমা বিসর্জন, সদরঘাটে ভক্তদের ঢল
আনন্দ আর অশ্রু মিশ্রিত আবেগে রাজধানীর সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বিদায় জানালেন দেবী দুর্গাকে। বুড়িগঙ্গার বুকে প্রতিমা বিসর্জন দেখতে হাজারো ভক্ত ও পুণ্যার্থীর ঢল নামে।
এদিকে, ভক্তদের এই মিলনমেলা নির্বিঘ্ন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে রয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ও সর্বাত্মক সহযোগিতা।
আরো পড়ুন:
প্রতিমা বিসর্জন ঘিরে সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
ছুটোছুটির মধ্যে কাটছে মিমের পূজা
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দুপুর থেকে পুরান ঢাকার সদরঘাটের ওয়াইজ ঘাট পরিণত হয় ভক্ত-অনুরাগীর মিলনমেলায়।
ঢাক-ঢোল, কাঁসর-ঘণ্টা ও নাচ-গানের মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গা, গণেশ, কার্তিক, লক্ষ্মী, সরস্বতী ও কলা বৌকে একে একে নামানো হয় পিকআপ ভ্যান থেকে। এরপর প্রতিমাগুলো নৌকায় তুলে নিয়ে বুড়িগঙ্গার বুকে নিরঞ্জনের মাধ্যমে করা হয় বিসর্জন।
প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষে ঢাকা মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির পক্ষ থেকে সদরঘাট টার্মিনালের কাছে বিনা স্মৃতি স্নান ঘাটে নির্মাণ করা হয় অস্থায়ী বিসর্জন মঞ্চ। সার্বিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছিল সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা।
প্রতিমা বিসর্জন দেখতে লক্ষ্মীবাজার থেকে আসা ভক্ত পায়েল সরকার বলেন, “মা দুর্গা শান্তির বার্তা নিয়ে কৈলাস ছেড়ে মর্ত্যে আসেন। আজ তাকে বিদায় দিতে কষ্ট হচ্ছে, তবে এ অপেক্ষাটাও মধুর যে, আগামী বছর তিনি আবার আসবেন।”
কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন কমিটির কোতোয়ালি থানার আহ্বায়ক শ্রীকান্ত দত্ত বলেন, “খুব সুন্দরভাবে এবারের পূজা উদযাপন সম্পন্ন হয়েছে। মানুষের জীবনে শান্তি ফিরে আসুক, এই কামনা করি। নিরাপত্তা ব্যবস্থাও এবার ছিল প্রশংসনীয়।”
কোতোয়ালি থানার সহকারী কমিশনার ফজলুল হক বলেন, “শুধু স্থলেই নয়, নদীপথেও বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক ট্রলার ও স্পিডবোটে নদীতে টহল দিচ্ছে।”
বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা ইসমাইল হোসেন বলেন, “প্রতিমা বিসর্জন যাতে নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে সম্পন্ন হয়, সেজন্য আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সব ধরনের সহযোগিতা করছে।”
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার মো. ফারুক হোসেন বলেন, “বিসর্জন কার্যক্রম নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে ওয়াইজ ঘাটে সুশৃঙ্খল পুলিশি ব্যবস্থাপনা রাখা হয়েছে। প্রতিমাগুলো নিরাপদে ঘাটে পৌঁছাতে নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত কর্মকর্তা কাজ করছেন। সন্ধ্যার মধ্যে বাকি প্রতিমাগুলো বিসর্জন দেওয়া হবে।”
ঢাকা/লিমন/মেহেদী