আলোচিত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর নুরুজ্জামান কাফিকে পরিপূর্ণ ক্ষতিপূরন পাইয়ে দিতে পুড়িয়ে দেওয়া বাড়ি পরিদর্শন করেছে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় কলাপাড়া উপজেলার রজপাড়া গ্রামের তার এ বাড়ি পরিদর্শন করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মহসিন উদ্দীন, কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার হামিদ, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইয়াসিন সাদীক, উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী হুমায়ুন সিকদার, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুসা তাওহীদ নান্নু মুন্সীসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা।

পরিদর্শন শেষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দ্রুত সময়ের মধ্যে কাফির পরিপূর্ণ ক্ষতিপূরন পাওয়ার লক্ষে সরকারের কাছে প্রতিবেদন দাখিলের আশ্বাস দেন। তবে দীর্ঘ ৮ মাসেও ক্ষতিপূরন না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কাফি।

গত ১২ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে কাফির বাড়িটি আগুনে পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। এ সময় বাড়িতে তার পিতা, মাতাসহ স্বজনরা থাকলেও তারা ঘর থেকে নিরাপদে বের হয়ে আসেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শাহাদাৎ হাওলাদার (২২) ও মাহফুজ মোল্লা (২১) নামের দুই যুবক জেলহাজতে রয়েছেন।

কন্টেন্ট ক্রিয়েটর নুরুজ্জামান কাফি বলেন, “আমি মনে করেছিলাম সরকার একটা ব্যবস্থা করবে। কিন্তু আপনি যদি না চিল্লান, না দৌড়ান, পায়ের জুতা ক্ষয় না করেন, তাহলে কিছু হয় না। আবার আমাদের দেশে একটার পর একটা ঘটনা ঘটতেই থাকে। যারা সরকারে আছেন, তারা হয়তো সবকিছু সামাল দিতে পারেন না।”

তিনি বলেন, “আমি এখনো তাদের প্রতি আস্থা রাখছি, যেহেতু আজ জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি আমার বাড়ি পরিদর্শন করেছেন। আমার বিশ্বাস দ্রুত সময়ের মধ্যে আমার ঘরের পরিপূর্ণ ক্ষতিপূরন পাব। আর যদি ক্ষতিপূরন না পাই, তাহলে বিশৃঙ্খলা করার কোনো ইচ্ছা আমার নেই। তবে একটা অভিযোগ থাকবে এবং আল্লাহর কাছে বলব।”

পটুয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মহসিন উদ্দিন বলেন, “ঘর পুড়িয়ে দেওয়ার পরপরই কাফিকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছিল। তাদের ঘরে অনেক আসবাবপত্র ছিল, অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তারা যাতে পরিপূর্ণ ক্ষতিপূরণ পায়, সে লক্ষ্যে আমরা সরকারের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করব।

ঢাকা/ইমরান/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সরক র উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশের কাছে হারের কারণ ব্যাখ্যায় যা বললেন রশিদ খান

এশিয়া কাপের পর দ্বিপক্ষীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচেও বাংলাদেশের কাছে হারল আফগানিস্তান। কাল শারজাতে বাংলাদেশের কাছে ৪ উইকেটে হেরেছে রশিদ খানের দল। এই হারে দলের ব্যাটিং ও বোলিং দুই বিভাগকেই দুষছেন আফগান অধিনায়ক রশিদ খান।

আফগানিস্তানের ১৫১ রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ উদ্বোধনী জুটি তুলেছে ১০৯ রান। তখন জয় মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার। কিন্তু আচমকাই বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে বড় ধস নামে। ১১.৪ ওভার থেকে ১৫.৪ ওভারের মধ্যে ২৪ বলে বাংলাদেশ ৯ রানে ৬ উইকেট হারালে ম্যাচে ফেরে আফগানিস্তান। কিন্তু এভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েও শেষ পর্যন্ত জিততে পারেনি তারা।

আফগানিস্তানের ঘুরে দাঁড়ানোয় সবচেয়ে বড় ভূমিকা ছিল রশিদের। ১৮ রানে ৪ উইকেট নেন এই লেগ স্পিনার। এর মধ্য দিয়ে দারুণ এক কীর্তিও গড়েন তিনি। অধিনায়ক হিসেবে এ নিয়ে পঞ্চমবার ইনিংসে ৪ উইকেট নিলেন রশিদ।

টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর অধিনায়কদের মধ্যে টি–টোয়েন্টিতে আর কোনো অধিনায়ক এতবার ইনিংসে ৪ উইকেট নিতে পারেননি। বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান ও শ্রীলঙ্কার লাসিথ মালিঙ্গা দুবার করে ইনিংসে ন্যূনতম ৪ উইকেট নিয়েছেন।

কাল ৪ উইকেট নিয়েছেন রশিদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ