পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার দানিশ কানেরিয়া ভারতের নাগরিকত্ব নিতে চান কি না—এমন আলোচনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছুদিন পরপরই দেখা যায়।

ভারত সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রমের প্রশংসা আর পাকিস্তান সরকারের সমালোচনামূলক মন্তব্য করে কানেরিয়াই এমন আলোচনা বারবার উসকে দেন। তিন দিন আগে ভারতের হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠন আরএসএসের প্রশংসা করে পোস্ট দেওয়ার পর যা নিয়ে কৌতূহল আরও বেড়েছে।

এবার নিজের ভারতীয় নাগরিকত্ব নেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেছেন কানেরিয়া। পাকিস্তানের করাচিতে জন্ম নেওয়া এই ক্রিকেটার বলেছেন, পাকিস্তান তাঁর জন্মভূমি, ভারত মাতৃভূমি। তবে আপাতত ভারতীয় নাগরিকত্ব নেওয়ার পরিকল্পনা নেই তাঁর।

শনিবার এক্সে কানেরিয়া লিখেছেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে অনেক মানুষ আমাকে প্রশ্ন করেছেন কেন আমি পাকিস্তান নিয়ে কথা বলি না, কেন আমি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করি। এমনকি কেউ কেউ অভিযোগ করছে যে আমি এসব করছি ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য। আমি মনে করি, এখন বিষয়টি স্পষ্ট করে বলা জরুরি।’

আজীবন নিষিদ্ধ হওয়ার আগে পাকিস্তানের হয়ে ৬১ টেস্ট ও ১৮ ওয়ানডে খেলেছেন দানিশ কানেরিয়া.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

প্লট না নিলেও টিউলিপের সাজা যে কারণে

শেখ হাসিনার পরিবারের বিরুদ্ধে পূর্বাচলের ছয়টি প্লট নিয়ে ছয়টি মামলা হয়েছে; এর একটি প্লটও তাঁর ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিকের নামে নেই। কিন্তু তিনটি মামলায় তিনি আসামি, এর একটিতে তাঁর কারাদণ্ড হলো।

আজ সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪–এর বিচারক মো. রবিউল আলমের দেওয়া রায়ে টিউলিপকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে তাঁকে। অর্থ দিতে ব্যর্থ হলে তাঁকে আরও ছয় মাস কারাভোগ করতে হবে।

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট সদস্য, সাবেক মন্ত্রী টিউলিপকে সাজা দেওয়ার কারণ হলো, তিনি তাঁর মা শেখ রেহানার নামে রাজউকের পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠার একটি প্লট বরাদ্দে তাঁর রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়েছিলেন।

টিউলিপকে ‘প্রিভেনশন অব করাপশন অ্যাক্ট ১৯৪৭’–এর ৫(২) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করেছেন আদালত। রায়ে আদালত বলেছেন, আসামি টিউলিপ সিদ্দিক তাঁর খালা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত সচিব সালাহ উদ্দিনকে মোবাইল, ইন্টারনেটের বিভিন্ন অ্যাপসহ সরাসরি যোগাযোগ করে প্রভাবিত করেছেন বলে সাক্ষীদের জবানবন্দির মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে।

শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে পূর্বাচলে ১০ কাঠার ছয়টি প্লট তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়। শেখ হাসিনা নিজের নামে একটি প্লট নেওয়ার পাশাপাশি তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, বোন শেখ রেহানা, ভাগনি আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তী, ভাগনে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের নামেও প্লট বরাদ্দ হয়। ২০২২ সালে তাঁরা প্লটগুলো গ্রহণ করেন।

জুলাই অভ্যুত্থানে গত বছর শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দুর্নীতি দমন কমিশন এই প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ অনুসন্ধানে নামে। তারপর গত জানুয়ারিতে ছয়টি প্লট নিয়ে ছয়টি মামলা করে। তাতে অভিযোগ করা হয়, আবেদনের সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর এই প্লটগুলো বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। তা ছাড়া তাদের নামে রাজউকের আওতাধীন এলাকায় বাড়ি থাকায় তাঁরা আইনত নতুন করে প্লট বা ফ্ল্যাট পেতে পারেন না।

আরও পড়ুনটিউলিপের ২, রেহানার ৭ ও হাসিনার ৫ বছর কারাদণ্ড৫ ঘণ্টা আগেশেখ রেহানার প্লট দুর্নীতির মামলার রায়কে কেন্দ্র করে আজ সোমবার ঢাকার আদালতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছিল

সম্পর্কিত নিবন্ধ