৪৮তম বিসিএস: সংরক্ষিত সহকারী সার্জন পদের ফলাফল প্রকাশ
Published: 16th, October 2025 GMT
৪৮তম বিশেষ বিসিএসের আওতাধীন সহকারী সার্জনের ৩৮০টি পদ সংরক্ষিত পদের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের ওয়েবসাইটে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়। দাখিলকৃত কাগজপত্রে ঘাটতি থাকায় বাতিল করা দুজন প্রার্থীর স্থানে নতুন প্রার্থীদের রোল প্রকাশ করা হয়েছে। এ ছাড়া বিএমডিসির সনদ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ঘাটতি–সংক্রান্ত কারণে অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ৩২ জন প্রার্থীর মনোনয়ন স্থগিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন২১ বছরে এইচএসসিতে সর্বনিম্ন পাস: শিক্ষায় ‘গলদ’ না অন্য কিছু৪ ঘণ্টা আগেপ্রার্থীদের জন্য নির্দেশনা দিয়েছে পিএসসি। এগুলো হলো—
১.
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস বিধিমালা-২০১৪ অনুযায়ী গঠিত মেডিকেল বোর্ডে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় যোগ্য ঘোষণা ও যথাযথ এজেন্সির মাধ্যমে জীবনবৃত্তান্ত যাচাইয়ের পর সরকার কর্তৃক নিয়োগ দেওয়া হবে।
২.
স্থগিতকৃত প্রার্থীদের কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত তারিখের মধ্যে সংশ্লিষ্ট সনদ/তথ্য/ডকুমেন্টস উপস্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের যথাসময়ে নির্দেশনা দেওয়া হবে।
৩.
সাময়িকভাবে মনোনয়নকৃত প্রার্থীদের মধ্যে কোনো প্রার্থী আবেদনপত্রে জ্ঞাতসারে কোনো ভুল বা মিথ্যা তথ্য প্রদান বা প্রয়োজনীয় তথ্য গোপন বা টেম্পারিং বা কোনো জাল সার্টিফিকেট জমা বা বয়স ও শিক্ষাগত যোগ্যতা–সংক্রান্ত সার্টিফিকেটের কোনো অংশ বা প্রবেশপত্র টেম্পারিং বা প্রতারণার আশ্রয় গ্রহণ করলে বা কোনো গুরুতর অসম্পূর্ণতা ধরা পড়লে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হবে।
ফলাফল ও বিস্তারিত তথ্য কমিশনের এবং টেলিটকের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুনঢাকা মেট্রোরেলে বড় পদে চাকরি, আবেদনের সুযোগ অবসরপ্রাপ্তদেরও২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রক শ
এছাড়াও পড়ুন:
ঋণ নিয়ে গাড়ি কেনার আগে যা দেখতে হবে
একটি গাড়ির স্বপ্ন দেশের প্রায় সব মধ্যবিত্ত পরিবারের। কিন্তু স্বপ্ন ও সাধ্যের যোগসূত্র ঘটে না। এই যোগসূত্র ঘটাতে অনেকেই গাড়ি কেনার জন্য ঋণ নেন।
ঋণ নিয়ে গাড়ি কিনলে হিসাবটা ঠিকমতো না করলে বিপদের আশঙ্কাও থাকে। বাজারদর, গাড়ির অবস্থান, কাগজপত্র—সব মিলিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কিছু বিষয় ভালোভাবে দেখা জরুরি।
ঋণ নিয়ে গাড়ি কেনা ভুল সিদ্ধান্ত নয়। তবে সিদ্ধান্তটা হতে হবে বুঝেশুনে। আর্থিক ঝুঁকি কমাতে সময় নিন, যাচাই করুন, তারপরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
এ নিয়ে কিছু পরামর্শ দেওয়া হলো—
১. বাজেট ঠিক করুন
নতুন ও রিকন্ডিশন্ড—দুই ধরনের গাড়ির ঋণ পাওয়া যায়। শুরুতেই আপনি যে ধরনের গাড়ি কিনতে চান, সেসব গাড়ির দাম কত টাকা তা জেনে নিন। এরপর একটি বাজেট ঠিক করুন। সেই বাজেটের কত অংশ আপনি দিতে পারবেন, বাকি কত অংশ ঋণ নিতে হবে, তা নির্ধারণ করতে হবে। সম্ভব হলে মোট দামের ২০ থেকে ৩০ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিন। এতে ঋণের চাপ কমবে।
২. ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণ দেয়
বর্তমানে বেশ কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বেশ কম সুদে গাড়ির ঋণ দিচ্ছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এগিয়ে আছে আইপিডিসি, আইডিএলসি ও লংকাবাংলা। এ ছাড়া ব্যাংকগুলোর মধ্যে ব্র্যাক, সিটি, ডাচ্-বাংলা ও ইস্টার্ন গাড়ি ঋণের শীর্ষে আছে। কিছু ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এখন নিজেরাই গাড়ি বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হচ্ছে। সহজ শর্তে ঋণ দেওয়া ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গাড়ি ঋণের বিস্তারিত জেনে নিন।
৩. সুদের হার তুলনা করে দেখুন
ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সুদের হার, সার্ভিস চার্জ ও মেয়াদ—সবকিছু তুলনা করুন। অনেক সময় কম ইএমআই দেখে আমরা খুশি হই, কিন্তু মোট ঋণ ব্যয় বেশি পড়ে যায়। তাই মোট কত টাকা পরিশোধ করতে হবে—সেটা জানাটা জরুরি।
৪. ঋণের কিস্তি সাধ্যের মধ্যে রাখতে হবে
ঋণের মাসিক কিস্তি আয় অনুযায়ী হওয়াই নিরাপদ। সাধারণভাবে আয়ের ২০-২৫ শতাংশের বেশি ইএমআই রাখা ঠিক নয়। এর বেশি হলে মাসিক খরচে চাপ পড়ে।
৫. গাড়ির বাজারদর যাচাই করুন
বাজারে গাড়ির দাম যাচাই–বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। একই মডেলের একেকজন একেক দামে বিক্রি করেন। তাই একই মডেলের গাড়ি কত দামে বিক্রি হচ্ছে, তা বিক্রয়ডটকমের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের গাড়ি বেচাকেনাসংক্রান্ত বিভিন্ন পেজে যাচাই–বাছাই করা যেতে পারে। তাহলে গাড়ির দাম নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে।
৬. যান্ত্রিক পরীক্ষা করুন
গাড়ির বাইরের দিক দেখে সিদ্ধান্ত নেবেন না। একজন বিশ্বস্ত মেকানিক দিয়ে ইঞ্জিনের শব্দ, স্মোক, সাসপেনশনের অবস্থা, ব্রেক ও গিয়ার পরীক্ষা করান। নতুন গাড়িতে তেমন একটা সমস্যা থাকে না, কিন্তু রিকন্ডিশন্ড বা পুরোনো গাড়িতে এসব সমস্যা থাকতে পারে। গাড়িতে এসব জায়গায় সমস্যা থাকলে পরে বড় অঙ্কের মেরামত খরচ আসে।
৭. কাগজপত্র মিলিয়ে নিন
গাড়ির সব কাগজপত্র ঠিক আছে কি না, তা দেখতে হবে। যেমন রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ট্যাক্স টোকেন ও ফিটনেস, ইঞ্জিন ও চেসিস নম্বর, ইনস্যুরেন্স ইত্যাদি। কাগজে গরমিল থাকলে গাড়ি কিনতে যাওয়া উচিত নয়।