দাবি না মানলে আগামীকাল থেকে আমরণ অনশন করবেন আন্দোলনরত শিক্ষক–কর্মচারীরা
Published: 16th, October 2025 GMT
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক–কর্মচারীরা তাঁদের ‘মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি স্থগিত করেছেন। তবে তাঁরা শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি দাবি আদায় না হলে আগামীকাল শুক্রবার থেকে আমরণ অনশন শুরু করার ঘোষণা দিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব দেলোয়ার হোসেন আজিজী এ কথা বলেন। তিনি জানান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অনুরোধে তাঁরা ‘মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি স্থগিত করেছেন।
দেলোয়ার হোসেন আজিজী বলেন, ‘আমাদের ২৪ ঘণ্টা লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালনের পাশাপাশি আগামীকাল বেলা দুইটা থেকে আমরা আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করব। এরপরও যদি সরকারের বোধোদয় না হয়, আমরণ অনশন করতে করতে আমরা শিক্ষকেরা এখানেই মৃত্যুবরণ করব।’
মূল বেতনের ২০ শতাংশ (ন্যূনতম তিন হাজার টাকা) বাড়িভাড়াসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষক–কর্মচারীদের একটি প্রতিনিধিদল আজ দুপুরের পর সচিবালয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। এরপর উপদেষ্টা সাংবাদিকদের জানান, শিক্ষক–কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ৫ শতাংশ (ন্যূনতম দুই হাজার টাকা) দিতে রাজি সরকার। তবে শিক্ষক–কর্মচারীরা বলছেন, এটি তাঁরা মানবেন না।
বিএনপিপন্থী দুই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগদেলোয়ার হোসেন আজিজী অভিযোগ করেন, শিক্ষা উপদেষ্টা বিএনপির এই দুই নেতাকে (শিক্ষক–কর্মচারী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া ও ঐক্যবদ্ধ শিক্ষক–কর্মচারী প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক মো.
এই দুই শিক্ষকনেতাকে বিএনপির সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি জানান দেলোয়ার হোসেন আজিজী।শিক্ষকদের পাশে এনসিপি
শিক্ষকদের আন্দোলনে সমর্থন জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উপস্থিত হন এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব (শিক্ষা ও গবেষণা) ফয়সাল মাহমুদ শান্ত। তিনি বলেন, সরকারের ভেতরের একটি পক্ষ সরকারের সঙ্গে শিক্ষকদের মুখোমুখি দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে। তাই রাষ্ট্রকে স্থিতিশীল রাখতে হলে অবিলম্বে শিক্ষকদের দাবি পূরণ করতে হবে। শিক্ষকদের দাবি আদায়ে এনসিপি পাশে থাকবে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দ ল য় র হ স ন আজ জ আমরণ অনশন শ ক ষকদ র সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
সালাউদ্দিনের অনুরোধে ১৩৪ ঘণ্টার অনশন ভেঙে হাসপাতালে তারেক
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের অনুরোধে ১৩৪ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন আমজনতার দলের সাধারণ সম্পাদক ও তরুণ নেতা তারেক রহমান।
রবিবার (৯ নভেম্বর) রাতে তিনি অনশন ভাঙেন।
নিবন্ধনের দাবিতে তারেক রহমান টানা অনশন চালিয়ে যান। তার দল নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন না পাওয়ায় তিনি অনশন শুরু করেছিলেন।
মঙ্গলবার বিকাল থেকে তিনি ইসি ভবনের সামনে এ অনশন চালিয়ে যান। নিবন্ধন না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
তবে তিনি এখন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। রবিবার রাতে তাকে দেখতে ছুটে যান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তার অনুরোধে ১৩৪ ঘণ্টা পরে অনশন ভাঙেন তারেক। এরপর তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
সন্ধ্যায় বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক ছবিতে দেখা যায়, রবিবার সন্ধ্যায় তারেক রহমানকে দেখতে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সামনে যান সালাহউদ্দিন আহমেদ। পরবর্তী আপিলে নির্বাচন কমিশনকে সহানুভূতি দেখানোর আহবান জানান তিনি।
এর আগে দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে তাকে দেখতে ছুটে যান বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। বৃহস্পতিবার আমজনতা দলের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে অনশনস্থলে উপস্থিত হন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
ওইদিন সন্ধ্যায় বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, রিজভী আমজনতা দলের নিবন্ধন দাবিতে অনশনরত মো. তারেক রহমানের পাশে অবস্থান করছেন এবং তাকে বিএনপির পক্ষ থেকে সংহতি জানাচ্ছেন।
এ সময় বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, “তারেকের আমজনতার দল নিবন্ধিত হয়নি। আমি দেখিছি কিছু গুরুত্বহীন দলও নিবন্ধিত হয়েছে। কিন্তু তারেকের দলকে নিবন্ধন দেওয়া হলো না কেন আমি বুঝতে পারলাম না। তারেক এ দেশের স্বার্থে, আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কথা বলেছন, দেশের সার্বভৌমত্বের পক্ষে কথা বলেছেন।”
তিনি আরো বলেন, “তারেক একটি রাজনৈতিক দল গঠন এবং সেটির নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছেন। তিনি তো কোনো গোপন রাজনৈতিক দল করতে চাননি। তিনি আইনসম্মতভাবে রাজনীতি করতে চেয়েছেন। তিনি স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করেছেন। আজকে তার দলের নিবন্ধন দেবেন না, তাহলে আপনারা কাদের নিবন্ধন দেবেন?”
গত ৪ নভেম্বর চূড়ান্ত পর্যালোচনা শেষে নির্বাচন কমিশন তিনটি দল—জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী) এবং বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টিকে প্রাথমিকভাবে নিবন্ধনের অনুমোদন দেয়। এরপর গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তির পর চূড়ান্ত নিবন্ধন দেওয়ার কথা জানানো হয়।
তবে তালিকা থেকে বাদ পড়ে যায় তারেক রহমানের ‘আমজনতার দল’। সেই দিন বিকাল থেকেই নির্বাচন ভবনের প্রধান ফটকে অনশন শুরু করেন তিনি।
ঢাকা/রায়হান/সাইফ