মিরপুরের শিয়ালবাড়ি এলাকায় কারখানাগুলো মানসম্মত নয়, স্থানান্তর জরুরি: বিসিআইসির বিশেষজ্ঞ দল
Published: 16th, October 2025 GMT
মিরপুরের শিয়ালবাড়ি শিল্প এলাকায় গড়ে ওঠা কারখানাগুলো মানসম্মত নয়। ঘনবসতিপূর্ণ আবাসিক এলাকার পাশে এমন শিল্পাঞ্চল থাকা ঝুঁকিপূর্ণ। এগুলো অন্যত্র স্থানান্তর করা প্রয়োজন।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি করপোরেশনের (বিসিআইসি) চার সদস্যের বিশেষজ্ঞ দল শিয়ালবাড়ি শিল্প এলাকায় আগুনে পুড়ে যাওয়া রাসায়নিক গুদাম ও গার্মেন্টস কারখানা পরিদর্শন করে। দলের নেতৃত্ব দেন বিসিআইসির জ্যেষ্ঠ জিএম মনজুর রেজা। এতে পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সৈয়দ আহমেদ কবীরও ছিলেন।
পরিদর্শনের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ বিজ্ঞান ও জলবায়ু সহনশীলতা বিভাগের অধ্যাপক জিল্লুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, এটা মানবসৃষ্ট দুর্যোগ। চারপাশে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। এর মাঝে কিছু শিল্পাঞ্চল। এখানে যেসব ভবনে শিল্পকারখানা গড়ে উঠেছে, তা এখানে থাকারই কথা নয়। কারখানাগুলোর কোনো ছাড়পত্র আছে বলে মনে হয় না। এমন আবাসিক এলাকায় শিল্পকারখানা না রেখে দূরে সরিয়ে নিলে ভালো।
রাসায়নিক গুদামের বিষয়ে তিনি বলেন, গার্মেন্টস রাসায়নিকে সাধারণত হাইড্রোজেন পার–অক্সাইড ও অন্য ডায়িং রাসায়নিক থাকে। এগুলো অতটা বিষাক্ত না। যেহেতু আগুন লেগেছে, ফলে বিষাক্ত হয়ে গেছে। মনে হয় সালফার ডাই–অক্সাইড আছে। গুদামের দোতলা প্রায় পরিষ্কার। নিচতলায় কিছু রাসায়নিক আছে, যেখান থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। তবে ধোঁয়ার পরিমাণ কমে আসছে।
অধ্যাপক জিল্লুর বলেন, রাসায়নিক গুদামে প্রথম আগুনটা লেগেছে। পরে তা কারখানায় ছড়িয়েছে। যেহেতু কারখানার জানালা সামনের দিকে ছিল। জানালা দিয়ে আগুনের ফুলকি ও ধোঁয়া কারখানার ভেতরে ঢুকে যায়। রাসায়নিকের ধোঁয়া ছিল বিষাক্ত। এতে কারখানার শ্রমিকদের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুনইপিজেডে কারখানার আগুন চার ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি, কাজ করছে ১৯টি ইউনিট৩ ঘণ্টা আগেপরে ফায়ার সার্ভিসের সারা দিনের কার্যক্রম নিয়ে ব্রিফ করেন ফায়ার সার্ভিস ঢাকার উপপরিচালক ছালেহ উদ্দীন। তিনি বলেন, গুদামে পানি ছিটানো হচ্ছে। এই পানির সঙ্গে মিশে ভেতরে থাকা রাসায়নিক বের করার চেষ্টা চলছে। তিনি আরও বলেন, রাসায়নিকের আগুন পানি দিয়ে বা সাধারণ আগুন যেভাবে নেভানো হয়, সেভাবে করা যায় না। রাসায়নিকের আগুন নেভানোর একটা পদ্ধতি আছে, সেটা মেনেই কাজটা করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
গুদামের ভেতরে ঝুঁকির বিষয়ে ছালেহ উদ্দীন বলেন, ভেতরে বিস্ফোরণের ঝুঁকি নেই। আমরা ভেতরে গিয়েছি। রাসায়নিকের যে অবশিষ্টাংশ আছে, সেখান থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। সেই ধোঁয়া বিষাক্ত। এটা নিশ্বাসের সঙ্গে বেশি পরিমাণে নিলে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই দুর্ঘটনাস্থল থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলা উচিত।
আরও পড়ুনমিরপুরে আগুন লাগা রাসায়নিকের গুদাম থেকে এখনো ধোঁয়া বের হচ্ছে৯ ঘণ্টা আগেগত মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাসায়নিক গুদামে আগুন লাগে। গুদামে আগুন ধরে বিস্ফোরিত হয়ে পাশের চারতলা ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। পরে চারতলা ভবনের দোতলা ও তিনতলার বিভিন্ন স্থান থেকে ১৬টি লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় রাসায়নিক গুদামের মালিক শাহ আলম ও ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে নিহত একজনের পরিবারের পক্ষ থেকে এ মামলা করা হয়। মামলায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরও পড়ুনমিরপুরে আগুন: ১০ জনের লাশ শনাক্তের দাবি স্বজনদের১৫ অক্টোবর ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এল ক য়
এছাড়াও পড়ুন:
না’গঞ্জ সদরে কৃষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন
২০২৫-২৬ অর্থ বছরে অনাবাদি পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙ্গিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন প্রকল্প (২য় সংশোধিত) এর আওতায় "বসতবাড়িতে পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন ও নিরাপদ সবজি উৎপাদন কৌশল" শীর্ষক প্রযুক্তি ভিত্তক ২ দিনব্যাপী কৃষক-কৃষাণী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকালে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কর্মশালার উদ্বোধন করেন জেলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর'র উপপরিচালক আ.জা. মু. আহসান শহীদ সরকার।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর'র অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্ভিদ সংরক্ষণ) মোহাম্মদ জহিরুল হক ও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর'র অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্যান) অনন্ত সরকার।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাহমুদা হাসনাত, সদর উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা মোছা. রুপালী খাতুন ও সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শান্তা ইসলাম নওরীন প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারি কৃষক-কৃষাণীদের মাঝে আর্থিক সহায়তা ও বিনামূল্যে সার, বীজ এবং বিভিন্ন গাছের চারা বিতরণ করা হয়।