দেশের শিক্ষাব্যবস্থা বিগত ১৫ বছরে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।

আফসোস প্রকাশ করে এই নেতা বলেন, “গত ১৫ বছরে যেভাবে শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে; আমি জানি না, সেখান থেকে বের হয়ে আসতে আমাদের কত সময় লাগবে।”

আরো পড়ুন:

জবি সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ‘শিক্ষার্থীদের দাবি সপ্তাহ’ শুরু

খুবিতে নানা অভিযোগে ১৯ শিক্ষার্থীকে শাস্তি

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় বক্তৃতা করার সময় এমন মন্তব্য করেন মঈন খান।

সভার আয়োজনে ছিল নাগরিক ঐক্য, যার সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। 

বিগত ১৫ বছর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার একটি নীতিমালা নিয়েছিল জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, “সেটি হচ্ছে, তারা ভেবেছিল এই দেশ থেকে যদি শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেওয়া যায়, তাহলে এই জাতিকে ধ্বংস করে দেওয়া যাবে। মানুষ যুক্তিতর্ক দিয়ে কথা বলতে পারবে না। মানুষ ন্যায়-অন্যায়ের বিভেদ করতে পারবে না। মানুষ প্রতিবাদ করতে পারবে না। বাংলাদেশের মানুষের টুটি চেপে ধরে রাখা যাবে।”

দেশের শিক্ষকদের লাঠিচার্জ করে অথবা টিয়ারগ্যাস মেরে ছত্রভঙ্গ করতে হবে- এর চেয়ে কলঙ্কজনক ঘটনা নেই বলে মন্তব্য করে মঈন খান বলেন, “বাংলাদেশ থেকে শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে। এটি ধ্বংস করার জন্য যে চাবিকাঠিটি ব্যবহার করা হয়েছে, সেটি হচ্ছে শিক্ষকদের যে শ্রদ্ধা, সম্মান, অবস্থা- সেটাকে শেষ করে দাও। পাঠ্যপুস্তক শেষ করে দাও। কোর্সগুলোকে ধ্বংস করে দাও। এসবের ফলেই আজকে আমরা এই অবস্থায় এসেছি।”

ধান্দাবাজদের নমিনেশন না দিতে আহ্বান মান্নার
আগামী নির্বাচনে ধান্দাবাজদের নমিনেশন দেওয়া হলে দেশের কল্যাণ হবে না বলে মন্তব্য করে নাগরিক ঐক্যের মান্না বলেন, “সামনে যে নির্বাচন, সেই নির্বাচনের সময় যদি নমিনেশন ধান্দাবাজদের দেওয়া হয়, তাহলে তারা দেশের কল্যাণ করতে পারবে না। ভালো দেশ চাইতে হলে ভালো সরকার আসতে হবে। ভালো সরকার আসতে হলে, ভালো দলকে ভোট দিতে হবে।”

বর্তমানে বেশিরভাগ ছাত্রই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত- এমন মন্তব্য করে মান্না বলেন, “আগে মানুষ বলতো ভালো লোকেরা রাজনীতি করে নাকি? কিন্তু এখন দেখা যায় বেশিরভাগ ছাত্রই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। মাত্র এক বছর আগেও ফেসবুকে সবাই ‘আই হেট পলিটিক্স’ হ্যাশট্যাগ লিখে পোস্ট করেছে। কিন্তু সেই জায়গা থেকে বেরিয়ে ব্যাপকভাবে ছাত্ররা এখন রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছে।”

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ শ ক ষ ব যবস থ ধ ব স কর মঈন খ ন ১৫ বছর র জন ত

এছাড়াও পড়ুন:

প্লট না নিলেও টিউলিপের সাজা যে কারণে

শেখ হাসিনার পরিবারের বিরুদ্ধে পূর্বাচলের ছয়টি প্লট নিয়ে ছয়টি মামলা হয়েছে; এর একটি প্লটও তাঁর ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিকের নামে নেই। কিন্তু তিনটি মামলায় তিনি আসামি, এর একটিতে তাঁর কারাদণ্ড হলো।

আজ সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪–এর বিচারক মো. রবিউল আলমের দেওয়া রায়ে টিউলিপকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে তাঁকে। অর্থ দিতে ব্যর্থ হলে তাঁকে আরও ছয় মাস কারাভোগ করতে হবে।

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট সদস্য, সাবেক মন্ত্রী টিউলিপকে সাজা দেওয়ার কারণ হলো, তিনি তাঁর মা শেখ রেহানার নামে রাজউকের পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠার একটি প্লট বরাদ্দে তাঁর রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়েছিলেন।

টিউলিপকে ‘প্রিভেনশন অব করাপশন অ্যাক্ট ১৯৪৭’–এর ৫(২) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করেছেন আদালত। রায়ে আদালত বলেছেন, আসামি টিউলিপ সিদ্দিক তাঁর খালা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত সচিব সালাহ উদ্দিনকে মোবাইল, ইন্টারনেটের বিভিন্ন অ্যাপসহ সরাসরি যোগাযোগ করে প্রভাবিত করেছেন বলে সাক্ষীদের জবানবন্দির মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে।

শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে পূর্বাচলে ১০ কাঠার ছয়টি প্লট তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়। শেখ হাসিনা নিজের নামে একটি প্লট নেওয়ার পাশাপাশি তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, বোন শেখ রেহানা, ভাগনি আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তী, ভাগনে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের নামেও প্লট বরাদ্দ হয়। ২০২২ সালে তাঁরা প্লটগুলো গ্রহণ করেন।

জুলাই অভ্যুত্থানে গত বছর শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দুর্নীতি দমন কমিশন এই প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ অনুসন্ধানে নামে। তারপর গত জানুয়ারিতে ছয়টি প্লট নিয়ে ছয়টি মামলা করে। তাতে অভিযোগ করা হয়, আবেদনের সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর এই প্লটগুলো বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। তা ছাড়া তাদের নামে রাজউকের আওতাধীন এলাকায় বাড়ি থাকায় তাঁরা আইনত নতুন করে প্লট বা ফ্ল্যাট পেতে পারেন না।

আরও পড়ুনটিউলিপের ২, রেহানার ৭ ও হাসিনার ৫ বছর কারাদণ্ড৫ ঘণ্টা আগেশেখ রেহানার প্লট দুর্নীতির মামলার রায়কে কেন্দ্র করে আজ সোমবার ঢাকার আদালতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছিল

সম্পর্কিত নিবন্ধ