জুলাই জাতীয় সনদের আইনি ভিত্তি এবং আদেশের ব্যাপারে নিশ্চয়তা ছাড়া সনদে সই করবে না এনসিপি। বৃহস্পতিবার সকালে দলটির এমন ঘোষণার পর শুক্রবার বিকেলের অনুষ্ঠানে সব দলের অংশগ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তা আরও জোরালো হয়েছে। তবে এনসিপিকে রাজি করাতে বৃহস্পতিবার দিনভর সরকারের দিক থেকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নানা চেষ্টা ও তৎপরতা চলেছে। সর্বশেষ রাতেও এনসিপির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে সরকারের একাধিক উপদেষ্টার আলোচনা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এনস প

এছাড়াও পড়ুন:

পাবনায় সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মবিরতি

সহকারী শিক্ষক পদকে ৯ম গ্রেডের বিসিএস ক্যাডারভুক্ত করা এবং নিয়মিত পদোন্নতিসহ চার দফা দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে কর্মবিরতি পালন করছেন পাবনার সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির ঘোষণা অনুযায়ী সোমবার (১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে এ কর্মসূচি পালন শুরু করছেন তারা। ফলে বার্ষিক পরীক্ষা হচ্ছে না। তবে দাবি মানা হলে, শুক্র ও শনিবার অতিরিক্ত ক্লাস-পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন শিক্ষকরা। 

আরো পড়ুন:

পাবনায় প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি, পরীক্ষা নিচ্ছেন প্রধান শিক্ষকরা

কুয়েটে শিক্ষার্থীকে অস্ত্রাঘাত, অপর শিক্ষার্থী বহিষ্কার

সকাল ১১টার দিকে সরেজমিন পাবনা জিলা স্কুল ও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিদ্যালয় ঘুরে দেখা যায়, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যথাসময়ে বিদ্যালয়ে আসলেও বসে সময় কাটাচ্ছেন। কেউ গল্প আবার কেউবা আড্ডায় মেতে থাকলেও শ্রেণিকক্ষে যাচ্ছেন না শিক্ষকরা। ক্লাসরুম তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। ফলে নির্ধারিত পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। এতে অনেক শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে বিদ্যালয়ে আসলেও ফিরে যেতে হচ্ছে। এ নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের।

পাবনা জিলা স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক মো. কামরুজ্জামান, আসাদুজ্জামান খান, সহকারী শিক্ষক মো. আরিফুল ইসলাম, নাজিয়া হাসান বলেন, ‘‘আমাদের সন্তানদের লেখাপড়া বিঘ্ন হোক, আমরাও চাই না। কিন্তু আমরা এখন অসহায়। দীর্ঘদিন ধরে আমাদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে। নিয়মিত পদোন্নতি ও পদায়ন দেওয়া হয় না। আদালতের রায় পক্ষে থাকলেও বকেয়া টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেডের মঞ্জুরি আদেশ দেওয়া হয় না। বিভিন্ন সময় শিক্ষকরা এসব দাবি উত্থাপন করলেও কোনোভাবেই তাদের যৌক্তিক দাবি মূল্যায়ন করা হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে এমন কর্মবিরতি পালন করছি। আমরা চাই, সরকার আমাদের দাবি মেনে নিক, আমরাও দ্রুত ক্লাসে ফিরতে চাই। আমাদের দাবি মানা হলে শুক্র ও শনিবার অতিরিক্ত পাঠদানের মাধ্যমে তাদের ক্ষতি পুষিয়ে দেবো।’’ 

আন্দোলরত শিক্ষকদের চার দফা দাবিগুলো হলো- (১) সহকারী শিক্ষক পদকে বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক‍্যাডারভুক্ত করে ‘মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের’ গেজেট প্রকাশ। (২) বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখায় কর্মরত শিক্ষকদের বিভিন্ন শূন্য পদে নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদায়ন দ্রুত কার্যকর করা। (৩) সুপ্রিম কোর্টের রায়ের আলোকে বকেয়া টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেডের মঞ্জুরি আদেশ দেওয়া এবং (৪) ২০১৫ সালের আগের মতো সহকারী শিক্ষকদের দুই থেকে তিনটি ইনক্রিমেন্টসহ অগ্রিম বর্ধিত বেতন-সুবিধা বহাল করে গেজেট প্রকাশ।

ঢাকা/শাহীন/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ