আজকের জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।

সনদে স্বাক্ষর করার বিষয়েও জামায়াত ইতিবাচক বলে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল একাধিক নেতা জানিয়েছেন। এ ছাড়া জামায়াত, ইসলামী আন্দোলনসহ অভিন্ন দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সাতটি দলের বৈঠকেও সনদে স্বাক্ষরের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।

তবে জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি এবং এর বাস্তবায়ন নিয়ে জামায়াত, ইসলামী আন্দোলনসহ সাতটি দলের মধ্যে অস্বস্তি রয়ে গেছে। গতকাল রাতেও জামায়াতের নেতারা সনদের বিভিন্ন অনিষ্পন্ন বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা করছেন বলে জানা গেছে। তাঁরা যে চূড়ান্ত সনদে নিশ্চিতভাবে স্বাক্ষর করবেন, এমনটি গতকাল রাত পর্যন্ত কোনো নেতা নিশ্চিত করেননি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গতকাল রাত ১০টায় জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা (সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে) যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। স্বাক্ষর করব কি না, সেখানে উপস্থিত হয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব।’

জামায়াত সূত্র জানিয়েছে, গতকাল নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে জুলাই সনদ, সনদে স্বাক্ষর এবং গণভোট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। দলের নীতিনির্ধারণী নেতারা মনে করেন, একই দিনে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন হলে পুরো নির্বাচন এলোমেলো হয়ে যাবে। তাই গণভোট আলাদা হওয়াটা যুক্তিসংগত মনে করেন তাঁরা। সে ক্ষেত্রে নভেম্বরে গণভোট হতে পারে।

এদিকে গত রাতে জামায়াতে ইসলামীসহ সাতটি দল জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান সামনে রেখে বৈঠক করেছে। বৈঠকে দলগুলোর নেতারা সনদে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যাওয়া এবং সনদে স্বাক্ষর করার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে দলগুলো সনদে স্বাক্ষরের সিদ্ধান্ত নিলেও অভিন্ন দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ইসলামী আন্দোলনের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা শুরু থেকে সংস্কার চেয়ে আসছি, সংলাপে অংশ নিয়েছি। সনদেও স্বাক্ষর করব। না করলে ওরা বিভ্রান্তি ছড়াবে যে আমরা সংস্কার চাই না, নির্বাচন চাই না। এ সুযোগ দিতে চাই না।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জ ল ই সনদ গণভ ট গতক ল ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলন জুলাই সনদে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যাবে

আজকের জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।

সনদে স্বাক্ষর করার বিষয়েও জামায়াত ইতিবাচক বলে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল একাধিক নেতা জানিয়েছেন। এ ছাড়া জামায়াত, ইসলামী আন্দোলনসহ অভিন্ন দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সাতটি দলের বৈঠকেও সনদে স্বাক্ষরের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।

তবে জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি এবং এর বাস্তবায়ন নিয়ে জামায়াত, ইসলামী আন্দোলনসহ সাতটি দলের মধ্যে অস্বস্তি রয়ে গেছে। গতকাল রাতেও জামায়াতের নেতারা সনদের বিভিন্ন অনিষ্পন্ন বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা করছেন বলে জানা গেছে। তাঁরা যে চূড়ান্ত সনদে নিশ্চিতভাবে স্বাক্ষর করবেন, এমনটি গতকাল রাত পর্যন্ত কোনো নেতা নিশ্চিত করেননি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গতকাল রাত ১০টায় জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা (সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে) যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। স্বাক্ষর করব কি না, সেখানে উপস্থিত হয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব।’

জামায়াত সূত্র জানিয়েছে, গতকাল নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে জুলাই সনদ, সনদে স্বাক্ষর এবং গণভোট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। দলের নীতিনির্ধারণী নেতারা মনে করেন, একই দিনে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন হলে পুরো নির্বাচন এলোমেলো হয়ে যাবে। তাই গণভোট আলাদা হওয়াটা যুক্তিসংগত মনে করেন তাঁরা। সে ক্ষেত্রে নভেম্বরে গণভোট হতে পারে।

এদিকে গত রাতে জামায়াতে ইসলামীসহ সাতটি দল জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান সামনে রেখে বৈঠক করেছে। বৈঠকে দলগুলোর নেতারা সনদে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যাওয়া এবং সনদে স্বাক্ষর করার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে দলগুলো সনদে স্বাক্ষরের সিদ্ধান্ত নিলেও অভিন্ন দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ইসলামী আন্দোলনের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা শুরু থেকে সংস্কার চেয়ে আসছি, সংলাপে অংশ নিয়েছি। সনদেও স্বাক্ষর করব। না করলে ওরা বিভ্রান্তি ছড়াবে যে আমরা সংস্কার চাই না, নির্বাচন চাই না। এ সুযোগ দিতে চাই না।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ