উত্তরের শুরুতে ফিল সিমন্স বললেন, ‘খুব খুশি হলাম প্রসঙ্গটা আপনি তুলেছেন’ বলে। প্রশ্নটা ছিল সাম্প্রতিক সময়ে ক্রিকেটারদের ঘিরে তৈরি হওয়া সমালোচনা নিয়ে। যার আঁচ লেগেছে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড় থেকে টিম ম্যানেজমেন্টেও। গত পরশু রাতে আফগানিস্তান সিরিজ শেষ করে খেলোয়াড়েরা দেশে ফেরার পর তাঁদের লক্ষ্য করে বিমানবন্দরে ‘ভুয়া’, ‘ভুয়া’ স্লোগান দেন একদল লোক।

পরে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ‘ঘৃণা নয়, ভালোবাসা চাই’ বলে পোস্ট দেন জাতীয় দলের ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ নাঈম। তাঁর এ পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় বিরূপ মন্তব্য আসে প্রচুর। এসব নিয়ে ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা হয়েছে কি না, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আজ সিরিজ–পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে জানতে চাওয়া হয়েছিল বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ সিমন্সের কাছে।

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে সিমন্স জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের প্রতি বলেছেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খেলোয়াড়দের কিছু লেখার সঙ্গে আমি একমত নই। ব্যক্তি হিসেবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করা এবং সেখানে কিছু বলাটা আপনার অধিকার। কিন্তু বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলা একজন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার হিসেবে, আমার খেলোয়াড়দের ওখানে কিছু লেখা উচিত না।’

তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্রিকেটারদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্যেরও পক্ষে নন সিমন্স। তিনি নিজেই টানলেন আরও একটি প্রসঙ্গও। স্বাভাবিক সমালোচনা তো আছেই, ক্রিকেটারদের প্রতি বর্ণবাদী মন্তব্যেও বিরক্ত সিমন্স।  

সিমন্স সংবাদ সম্মেলনে জাকের আলীকে নিয়ে বর্ণবাদী মন্তব্যের প্রসঙ্গও টেনেছেন.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স মন স

এছাড়াও পড়ুন:

চাঁপাইনবাবগঞ্জে দুর্বৃত্তের হামলায় পুলিশের এসআই আহত

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় দায়িত্ব পালনকালে দুর্বৃত্তদের হামলায় পুলিশের এক উপপরিদর্শক (এসআই) আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার আমনুরা-মুণ্ডুমালা সড়কের জুমারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত ওই পুলিশ কর্মকর্তার নাম মো. নুরুল ইসলাম (৪৭)। তিনি আমনুরা পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ এন এম ওয়াসিম ফিরোজ জানান, গতকাল রাত ১১টার দিকে জুমারপাড়ায় দুর্বৃত্তরা জড়ো হয়ে আমনুরা-মুণ্ডুমালা রাস্তায় গাছ ফেলে রাখে। জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ কল পেয়ে পুলিশের কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে মোটরসাইকেলে সেখানে যান নুরুল ইসলাম। কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুর্বৃত্তরা তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এতে তিনি আহত হন। পরে আরও পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে গেলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। তারা ডাকাতির উদ্দেশ্যে জড়ো হয়েছিল, নাকি অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

কয়েকজন পুলিশ সদস্য বলেন, তাঁরা নুরুল ইসলামকে উদ্ধার করে প্রথমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তিনি বর্তমানে শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মুখপাত্র ও জরুরি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ইনচার্জ) শংকর কে বিশ্বাস আজ বুধবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, ওই পুলিশ কর্মকর্তার বাঁ হাত ও ডান হাঁটুতে জখম আছে। তাঁকে হাসপাতালের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ