পাবনায় জামায়াতের প্রার্থীর প্রচারে হামলা, গাড়ি ভাঙচুর
Published: 27th, November 2025 GMT
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় পাবনা-৪ আসনের জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী ও জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডলের প্রচারে হামলা করা হয়েছে। বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিবের সমর্থকদের হামলা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
হামলায় আবু তালেব মন্ডলের গাড়ি, বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। কয়েকজন আহত হয়েছে।
আরো পড়ুন:
কুড়িগ্রাম-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে বিক্ষোভ
কুড়িগ্রামে বিএনপির প্রার্থী বদলের দাবিতে বিক্ষোভ
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের চর গড়াগড়ি এলাকায় হামলা করা হয়। আহতদের তাৎক্ষণিকভাবে পরিচয় পাওয়া যায়নি। তাদের ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ.
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ঈশ্বরদী উপজেলার চড় গড়গড়ি এলাকায় দুই দিন আগে স্থানীয় জামায়াতের কর্মীদের মারধর করে স্থানীয় বিএনপির কর্মী মক্কেল মৃধা ও তার লোকজন। সেই ঘটনার পর আজ বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) ওই এলাকায় প্রচার চালাতে যান পাবনা-৪ আসনের জামায়াতের প্রার্থী অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডল ও তার সমর্থকরা। তারা চর গড়গড়ি আলহাজ্ব মোড়ে পৌঁছালে মক্কেল মৃধার ছেলের নেতৃত্বে তাদের ওপর হামলা করা হয়। পরে জামায়াতের নেতাকর্মীরা ফেরার পথে মৃধাপাড়ায় আবারো হামলা চালায় মক্কেল মৃধার লোকজন। আবু তালেব মন্ডলের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। তাকে দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়। তিনি সামান্য আহত হন। জামায়াতের অনেক নেতাকর্মী আহত হন। তাদের বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।
অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডল বলেন, ‘‘আমাদের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচির আওতায় আজকে সেখানে গিয়েছিলাম কিন্তু হাবিবুর রহমান হাবিবের সমর্থক বিএনপির সন্ত্রাসীরা আমাদের ওপর অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। আমার গাড়িসহ আমাদের শতাধিক মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। অন্তত ৬০-৭০ জন আহত হয়েছেন।’’
এ বিষয়ে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও পাবনা-৪ আসনের বিএনপির প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিবের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ঢাকা/শাহীন/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ র ত কর ম উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারি সিদ্ধান্তে নাগরিক অংশগ্রহণ বাড়াতে গ্রাম–শহরের বৈষম্য কমাতে হবে
সরকারি সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নাগরিকদের অংশগ্রহণ বাড়ানো এখন অত্যন্ত প্রয়োজনীয়, তবে ডিজিটাল ডিভাইসের সীমাবদ্ধতা এবং শহর ও গ্রামের মধ্যে বিদ্যমান ডিজিটাল বৈষম্যের মতো কারণগুলোর জন্য অনেক নাগরিক এখনো এই প্রক্রিয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছেন। তাই ‘ই-পার্টিসিপেশন’ নীতিমালার বাস্তবায়ন বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে প্রস্তাবিত ‘ই-পার্টিসিপেশন’ নীতিমালা উপস্থাপন ও হস্তান্তর অনুষ্ঠানে আলোচকেরা এ কথা বলেন। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে নাগরিক অংশগ্রহণ বাড়াতে নীতিমালাটি তৈরি করেছে মিডিয়া অ্যান্ড রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (এমআরডিআই)। অনুষ্ঠানেরও আয়োজক ছিল তারা।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী। তিনি বলেন, (সরকারি সিদ্ধান্ত) নাগরিক অংশগ্রহণের জন্য যে নতুন নীতি তৈরি হচ্ছে, সেটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আইসিটি বিভাগ ‘ই-পার্টিসিপেশন’ বাস্তবায়নে গুরুত্ব সহকারে কাজ করছে, যার প্রভাব শীঘ্রই দৃশ্যমান হবে। এই প্রস্তাবিত কাঠামোর খসড়াটি আইন ও নীতি বিভাগের ভেটিংয়ে পাঠানো হবে এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ এর বাস্তবায়ন এগিয়ে নিয়ে যাবে।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, দেশের প্রায় ৪৬ শতাংশ জনগণ ফিচার ফোন ব্যবহার করেন। ফিচার ফোন ব্যবহারকারী ব্যক্তিরা সরকারি ওয়েবসাইটের সঙ্গে পরিচিত নন। যাঁরা সরকারি ওয়েবসাইট ব্যবহার করছেন, তাঁদের বেশির ভাগই শিক্ষিত ও শহরের বাসিন্দা। ফলে বড় একটি অংশ এর বাইরে থেকে যাচ্ছেন। তাঁদের কীভাবে এই সুবিধার আওতায় নিয়ে আসা যায়, সেটি নীতিমালায় থাকা জরুরি।
অনুষ্ঠানে এনজিওবিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. দাউদ মিয়া বলেন, সরকার ও এনজিও (বেসরকারি সংস্থা) দীর্ঘদিন যাবৎ পৃথকভাবে সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। এই কাজে সমন্বয় করতে একটি কেন্দ্রীয় ডিজিটাল সেবা ব্যবস্থাপনা গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটি কার্যকর হলে নাগরিকেরা এক প্ল্যাটফর্মে বহুমুখী সেবা পাবেন এবং ‘ই-পার্টিসিপেশন’ আরও গতিশীল হবে।
এ সময় প্রস্তাবিত নীতিমালাটি উপস্থাপন করেন গবেষণাপ্রতিষ্ঠান আইসোশ্যালের চেয়ারপারসন অনন্য রায়হান। কাঠামো বাস্তবায়নের পথে নাগরিক এবং সরকার উভয় পক্ষেরই বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে উল্লেখ করে তা তুলে ধরেন তিনি। উপস্থাপনায় বলা হয়, নাগরিকদের জন্য সবচেয়ে বড় বাধা হলো প্রযুক্তিতে সীমিত প্রবেশাধিকার, গ্রাম-শহরের ডিজিটাল বৈষম্য, তথ্যের নিরাপত্তা ঝুঁকি এবং ডিজিটাল সাক্ষরতার অভাব। অন্যদিকে, সরকারের দৃষ্টিকোণ থেকে চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে রয়েছে সরকারি দপ্তরগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতা, আংশিক ডিজিটাইজেশন, দক্ষ জনবলের অভাব ও বাজেট সীমাবদ্ধতা।
এমআরডিআইয়ের নির্বাহী পরিচালক হাসিবুর রহমান বলেন, ই-পার্টিসিপেশন বাড়াতে নাগরিক সমাজকে আরও কীভাবে সম্পৃক্ত করা যায়, সেসব উপায় নির্ধারণ করতে তারা তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের সহযোগিতায় দেশের সাতটি বিভাগে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা এবং বেসরকারি সংস্থার নির্বাহী পরিচালকদের সঙ্গে পরামর্শের ভিত্তিতে প্রস্তাবিত নীতিমালাটি চূড়ান্ত করা হয়েছে।
ঢাকা বিভাগের কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মামুনুর রশীদ ভুঞা।