শীত নিয়ে আসে ত্বকের কিছু সমস্যা। এসব সমস্যার মধ্যে অন্যতম ঠোঁট ফাটা। তাপমাত্রা কমতে থাকার সঙ্গে সঙ্গে বাতাসের আর্দ্রতা কমতে থাকে। তাই শীতে আমাদের ঠোঁট ফেটে যায়। ঠোঁটে মরা চামড়া সৃষ্টি হয়, ঠোঁট দেখায় নিষ্প্রাণ।
ঠোঁটে কোনো তেলগ্রন্থি নেই। ঠান্ডা বাতাসে, এমনকি ঘরের তাপমাত্রায়ও ঠোঁট পানিশূন্য হয়ে যায়। জিব দিয়ে ঠোঁট ভেজালে, পর্যাপ্ত পানি না খেলে এসব সমস্যা আরও বাড়ে। ভয়ের কিছু নেই।
সঠিকভাবে সঠিক উপকরণ ব্যবহার করে ঠোঁটের যত্ন নিতে হবে। মেনে চলতে হবে কিছু অভ্যাস। তাহলে শীতজুড়েই আপনার ঠোঁট থাকবে কোমল ও উজ্জ্বল।
মরা চামড়া এক্সফলিয়েট করুনকোমল ঠোঁটের জন্য আপনাকে অবশ্যই নিয়মিত এক্সফলিয়েশন করতে হবে। এক্সফলিয়েটর হিসেবে ব্যবহার করতে হবে একটি ভালো মানের লিপ স্ক্রাব। ঘরোয়াভাবেই লিপ স্ক্রাব তৈরি করা যায়। মধু ও চিনি মিশিয়ে লিপ স্ক্রাব তৈরি করতে পারেন।
এ ক্ষেত্রে চিনি ও মধুর অনুপাত হতে হবে ১: ১। চাইলে অলিভ অয়েলও মেশাতে পারেন। সে ক্ষেত্রে চিনির পরিমাণ দ্বিগুণ করতে হবে। এই লিপ স্ক্রাব সপ্তাহে অন্তত এক দিন ব্যবহার করা প্রয়োজন।
প্রতিবার এক মিনিট ধরে লিপ স্ক্রাব দিয়ে ঘষে ঘষে ঠোঁটের মরা চামড়া তুলে ফেলতে হবে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
অনৈতিক কাজে শুধু পুরুষরাই জড়িত, তা ঠিক নয়: মমতা
ভারতীয় সিনেমার বরেণ্য অভিনেত্রী, নৃত্যশিল্পী মমতা শঙ্কর। তার অভিনয় ও নাচের জাদুতে মুগ্ধ অসংখ্য অনুরাগী। পাঁচ দশকের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তিক্ত-মধুর অসংখ্য অভিজ্ঞতা সঙ্গে নিয়ে এগিয়েছেন তিনি। তার পথ কখনো মসৃণ ছিল না, বাধা ও চ্যালেঞ্জই ছিল নিত্যসঙ্গী। তবু ৭০ বছর বয়সি মমতার বিশ্বাস, একজন নারী সর্বপ্রথম নিজের সম্মানের রক্ষক। কাজের সুযোগ বা সুবিধার লোভে কাউকে নিজের উপর কর্তৃত্ব বিস্তার করতে না দেওয়াই তার মতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মমতা শঙ্কর বলেন, “খুব অল্প বয়স থেকে নাচ করি, সিনেমা করেছি। কিন্তু কেউ কোনো দিন আমাকে খারাপ প্রস্তাব দেয়নি। আমি যদি বুঝি, কেউ আমাকে চালাকি করে কিছু একটা বলার চেষ্টা করছে, আমি এমন ভান করি যেন কিছু বুঝতেই পারিনি। আমি এত ভালোভাবে কাটিয়ে গিয়েছি বিষয়টা যে, তার সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এই ধরনের কথা সে আর আমাকে বলতে পারেনি।”
আরো পড়ুন:
দেবের সঙ্গে বিয়ে নিয়ে যা বললেন রুক্মীণী
শরীরি হিল্লোলে দর্শক মাত, দর্শনাকে সত্যি নায়িকা ভাবা হয় না?
অনৈতিক কাজে শুধু পুরুষরাই জড়িত—এ কথা ঠিক নয়। সব ক্ষেত্রে না হলেও, অনেক সময় নারীরাও অতিরিক্ত সুবিধা পাওয়ার আশায় তাদের প্রশ্রয় দেন বলে মনে করেন মমতা। তার ভাষায়, “কিছু কিছু ক্ষেত্রে মেয়েদের দিক থেকে ভুল হয়। কিছু একটা পাওয়ার জন্য আমরা (নারীরা) হয়তো নিজেকে ছেড়ে দিলাম। উল্টো দিকের মানুষটাকে কিছুটা এগোতে দিলাম। কিন্তু তারপর হয়তো কাজটা হলো না। তখন তার নামে ‘মি টু’ হয়ে গেল। এই জিনিসগুলো একদম পারি নিতে পারি না। কেউ কাউকে শারীরিক হেনস্তা করলে, সেটা আলাদা বিষয়। কিন্তু আমার মনে হয়, বুদ্ধি দিয়ে যেকোনো খারাপ প্রস্তাব কাটিয়ে যাওয়া যায়।”
গত বছর বর্তমান প্রজন্মের সাজ-পোশাক নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে কটাক্ষের মুখে পড়েছিলেন মমতা। তারপরও নিজের মতামত পরিষ্কারভাবে জানাতে দ্বিধা নেই তার।
ঢাকা/শান্ত