চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে ব্র্যাক ব্যাংকের শাখা নেটওয়ার্কে সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকার প্রকৃত আমানত প্রবৃদ্ধি হয়েছে। ব্যাংকটির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আমানতের যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, সেটি আমানত সংগ্রহে ব্যাংকটির টেকসই অগ্রযাত্রার প্রতিফলন। কয়েক বছর ধরে ব্র্যাক ব্যাংকের শাখা নেটওয়ার্কের লক্ষণীয় আমানত প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ব্যাংকটির শাখা নেটওয়ার্কের এমন মাইলফলক ব্যাংক খাতে আমানত সংগ্রহে নতুন বেঞ্চমার্ক তৈরি করে চলেছে। আমানতের প্রবৃদ্ধির এই সাফল্য উদ্যাপনে ১৩ অক্টোবর ঢাকায় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

ব্র্যাক ব্যাংক জানিয়েছে, শাখা নেটওয়ার্কের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) তারেক রেফাত উল্লাহ খান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মোহাম্মদ আশফাক।

এ ছাড়া অনুষ্ঠানে ব্যাংকটির শাখা নেটওয়ার্কের আঞ্চলিক প্রধান, ক্লাস্টার হেড, শাখা ব্যবস্থাপকসহ উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ আঞ্চলিক প্রধান (উত্তর) এ কে এম তারেক, জ্যেষ্ঠ আঞ্চলিক প্রধান (দক্ষিণ) তাহের হাসান আল মামুন প্রমুখ।

ব্যাংকের এমন সাফল্যে গ্রাহক আস্থা এবং গ্রাহকদের সঙ্গে সুসম্পর্কের বিষয়টির ওপর জোর দিয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি তারেক রেফাত উল্লাহ খান বলেন, ‘গ্রাহকের সঙ্গে আস্থার সম্পর্ককে আমরা আমানত সংগ্রহে সবচেয়ে বড় দক্ষতা হিসেবে দেখি। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, চলতি বছরের বাকি সময়ে এবং সামনের বছরগুলোতেও আমানত প্রবৃদ্ধিতে আমাদের এমন সাফল্য অব্যাহত থাকবে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন টওয় র ক র প রব দ ধ

এছাড়াও পড়ুন:

প্লট না নিলেও টিউলিপের সাজা যে কারণে

শেখ হাসিনার পরিবারের বিরুদ্ধে পূর্বাচলের ছয়টি প্লট নিয়ে ছয়টি মামলা হয়েছে; এর একটি প্লটও তাঁর ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিকের নামে নেই। কিন্তু তিনটি মামলায় তিনি আসামি, এর একটিতে তাঁর কারাদণ্ড হলো।

আজ সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪–এর বিচারক মো. রবিউল আলমের দেওয়া রায়ে টিউলিপকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে তাঁকে। অর্থ দিতে ব্যর্থ হলে তাঁকে আরও ছয় মাস কারাভোগ করতে হবে।

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট সদস্য, সাবেক মন্ত্রী টিউলিপকে সাজা দেওয়ার কারণ হলো, তিনি তাঁর মা শেখ রেহানার নামে রাজউকের পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠার একটি প্লট বরাদ্দে তাঁর রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়েছিলেন।

টিউলিপকে ‘প্রিভেনশন অব করাপশন অ্যাক্ট ১৯৪৭’–এর ৫(২) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করেছেন আদালত। রায়ে আদালত বলেছেন, আসামি টিউলিপ সিদ্দিক তাঁর খালা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত সচিব সালাহ উদ্দিনকে মোবাইল, ইন্টারনেটের বিভিন্ন অ্যাপসহ সরাসরি যোগাযোগ করে প্রভাবিত করেছেন বলে সাক্ষীদের জবানবন্দির মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে।

শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে পূর্বাচলে ১০ কাঠার ছয়টি প্লট তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়। শেখ হাসিনা নিজের নামে একটি প্লট নেওয়ার পাশাপাশি তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, বোন শেখ রেহানা, ভাগনি আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তী, ভাগনে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের নামেও প্লট বরাদ্দ হয়। ২০২২ সালে তাঁরা প্লটগুলো গ্রহণ করেন।

জুলাই অভ্যুত্থানে গত বছর শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দুর্নীতি দমন কমিশন এই প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ অনুসন্ধানে নামে। তারপর গত জানুয়ারিতে ছয়টি প্লট নিয়ে ছয়টি মামলা করে। তাতে অভিযোগ করা হয়, আবেদনের সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর এই প্লটগুলো বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। তা ছাড়া তাদের নামে রাজউকের আওতাধীন এলাকায় বাড়ি থাকায় তাঁরা আইনত নতুন করে প্লট বা ফ্ল্যাট পেতে পারেন না।

আরও পড়ুনটিউলিপের ২, রেহানার ৭ ও হাসিনার ৫ বছর কারাদণ্ড৫ ঘণ্টা আগেশেখ রেহানার প্লট দুর্নীতির মামলার রায়কে কেন্দ্র করে আজ সোমবার ঢাকার আদালতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছিল

সম্পর্কিত নিবন্ধ