উত্তপ্ত আসাম: গায়ক জুবিনের মৃত্যু নিয়ে যা বলল সিঙ্গাপুর পুলিশ
Published: 17th, October 2025 GMT
গত ১৯ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে মারা যান ভারতের বরেণ্য সংগীতশিল্পী জুবিন গার্গ। তার মৃত্যু নিয়ে ক্রমশ ধোঁয়াশা তৈরি হচ্ছে। এ গায়কের মৃত্যু মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত ১৫ অক্টোবর, বিকালে গ্রেপ্তারকৃতদের কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে বাকসা ডিস্ট্রিক্ট জেলে নেওয়া হয়।
এসময় জেলের বাইরের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। কারণ জুবিনের ক্ষুব্ধ ভক্ত ও স্থানীয়রা অভিযুক্তদের “জনতার হাতে তুলে দেওয়ার” দাবি জানিয়ে সহিংস বিক্ষোভ করতে থাকেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফাঁকা গুলি ছুড়ে পুলিশ।
আরো পড়ুন:
‘ড্রিম গার্ল’ হেমার রোমাঞ্চকর প্রেমজীবন
ব্যক্তিগত জীবন একান্তই আমার, বাগদানের গুঞ্জনে হুমা কুরেশি
এ পরিস্থিতিতে সিঙ্গাপুর পুলিশ অফিসিয়ালি একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “মিস্টার জুবিন গার্গের মৃত্যু নিয়ে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া জল্পনা-কল্পনা ও ভুয়া তথ্য সম্পর্কে অবগত সিঙ্গাপুর পুলিশ ফোর্স। বর্তমানে এই মামলা সিঙ্গাপুরের ‘করোনার্স অ্যাক্ট ২০১০’-এর অধীনে তদন্তাধীন। প্রাথমিক তদন্তে, পুলিশ অপরাধমূলক কোনো কিছুই পায়নি।”
তদন্ত শেষ হতে আরো ৯০ দিন সময় লাগতে পারে। এ তথ্য উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “এ মামলার তদন্ত সম্পূর্ণ করতে আরো তিন মাস বা আরো কিছুটা সময় বেশি লাগবে। তারপর তদন্ত রিপোর্ট সিঙ্গাপুরের স্টেট করোনারের কাছে জমা দেওয়া হবে।”
পেশাদারভাবে তদন্ত সম্পূর্ণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, “এই মামলা সম্পূর্ণ ও পেশাদার তদন্ত পরিচালনায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এসপিএফ। আর এটি সম্পূর্ণ করতে আরো সময় প্রয়োজন। আমরা সংশ্লিষ্ট সবার ধৈর্য ও সহযোগিতা কামনা করছি। পাশপাশি জনগণকে অনুরোধ করছি, যাচাই ছাড়া আপনারা কোনো তথ্য ছড়াবেন না।”
জুবিনের গার্গের মৃত্যুতে গভীরভাবে মর্মাহত আসামবাসী। তারা সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লরেন্স ওয়ং- এর ফেসবুক পোস্টে ব্যাপকভাবে মন্তব্য করে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। আসাম ট্রিবিউন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ‘#JusticeForZubeenGarg’ হ্যাশট্যাগে অতিরিক্ত মন্তব্যের কারণে লরেন্স ওয়ং-এর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট কিছু সময়ের জন্য ডি-অ্যাক্টিভেট হয়ে যায়।
তথ্যসূত্র: দ্য ফ্রি প্রেস জার্নাল
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র তদন ত
এছাড়াও পড়ুন:
২৫ রাজনৈতিক দলের যেসব নেতারা অংশ নিলেন
জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা যোগ দেন। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আয়োজিত এই স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগ দেন তারা।
অনুষ্ঠানে ২৫টি রাজনৈতিক দলের নিম্নোক্ত প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
১। লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি
ড. রেদোয়ান আহমেদ, মহাসচিব
ড. নেয়ামূল বশির, প্রেসিডিয়াম সদস্য।
আরো পড়ুন:
জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেনি যেসব দল
জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করলেন প্রধান উপদেষ্টা ও রাজনীতিবিদেরা
২। খেলাফত মজলিস
মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ, আমীর, খেলাফত মজলিস
ড. আহমদ আবদুল কাদের, মহাসচিব, খেলাফত মজলিস।
৩। রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন
হাসনাত কাইয়ুম, প্রধান সমন্বয়ক
সৈয়দ হাসিবউদ্দীন হোসেন, মিডিয়া সমন্বয়ক।
৪। আমার বাংলাদেশ পাটি (এবি পার্টি)
মোহাম্মদ মজিবুর রহমান ভূঁইয়া মঞ্জু, চেয়ারম্যান
ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, সাধারণ সম্পাদক।
৫। নাগরিক ঐক্য
মাহমুদুর রহমান মান্না, সভাপতি
শহীদুল্লাহ কায়সার, সাধারণ সম্পাদক।
৬। জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম)
ববি হাজ্জাজ, চেয়ারম্যান
মোমিনুল আমিন, মহাসচিব।
৭। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মহাসচিব
সালাহউদ্দিন আহমেদ, সদস্য, জাতীয় স্থায়ী কমিটি।
৮। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস
মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, সিনিয়র নায়েবে আমীর
মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, মহাসচিব।
৯। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী
ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের, কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির
মিয়া গোলাম পরওয়ার, সেক্রেটারী জেনারেল।
১০। গণসংহতি আন্দোলন
জোনায়েদ সাকি, প্রধান সমন্বয়কারী
আবুল হাসান রুবেল, নির্বাহী সমন্বয়কারী।
১১। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)
শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, সাধারণ সম্পাদক
মিসেস তানিয়া রব, সিনিয়র সহ-সভাপতি।
১২। গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি)
নুরুল হক নুর, সভাপতি
মো. রাশেদ খাঁন, সাধারণ সম্পাদক।
১৩। বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি
সাইফুল হক, সাধারণ সম্পাদক
বহ্নিশিখা জামালী, রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য।
১৪। জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট
ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, সমন্বয়ক, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ও চেয়ারম্যান, এনপিপি
বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান, সভাপতি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা।
১৫। ১২ দলীয় জোট
শাহাদাত হোসেন সেলিম, মুখপাত্র, ১২ দলীয় জোট ও চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ এলডিপি।
১৬। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, প্রেসিডিয়াম সদস্য
মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।
১৭। গণফোরাম
বীর মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ অ্যাডভোকেট, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি
ডা. মো. মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক।
১৮। জাকের পাটি
আলহাজ্ব শহীদুল ইসলাম ভুইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান
জহিরুল হাসান শেখ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, গাজীপুর জেলা ছাত্রফ্রন্ট।
১৯। জাতীয় গণফ্রন্ট
আমিনুল হক টিপু বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়ক
মঞ্জুরুল আরেফিন লিটু বিশ্বাস, সদস্য কেন্দ্রীয় কমিটি।
২০। বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি
মাওলানা আবদুল মাজেদ আতহারী, সিনিয়র নায়েবে আমির
মাওলানা মুসা বিন ইযহার, মহাসচিব।
২১। বাংলাদেশ লেবার পার্টি
ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, চেয়্যারম্যান
খন্দকার মিরাজুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব।
২২। ভাসানী জনশক্তি পার্টি
বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম (বাবলু), চেয়ারম্যান
ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ (সেলিম), মহাসচিব।
২৩। জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ
মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, সহ-সভাপতি
মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, মহাসচিব।
২৪। ইসলামী ঐক্যজোট
মাওলানা আব্দুল কাদের, চেয়ারম্যান
মুফতী সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, মহাসচিব।
২৫। আমজনতার দল
কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান, সভাপতি
মো. তারেক রহমান, সাধারণ সম্পাদক।
এছাড়াও শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর বাবা মীর মোস্তাফিজুর রহমান এবং শহীদ তাহির জামান প্রিয়র মা শামসী আরা বেগম জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/আসাদ/নঈমুদ্দীন/সাইফ