বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ জলসীমায় অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকারের অভিযোগে ১৪ ভারতীয় জেলেসহ একটি ফিশিং ট্রলার জব্দ করেছে নৌবাহিনী। রবিবার (১৯ অক্টোবর) সকালে মোংলা থানায় মামলার পর গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

মোংলা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে বঙ্গোপসাগরের ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকা থেকে টহলরত নৌবাহিনীর জাহাজ বানৌজা শহীদ আক্তার উদ্দিন ভারতীয় ফিশিং ট্রলার ‘এফবি শুভযাত্রা’ আটক করে। ট্রলারটিতে ১৪ জন ভারতীয় জেলে ছিলেন। তারা বাংলাদেশ জলসীমায় অনুপ্রবেশ করে অবৈধভাবে মাছ শিকার করছিলেন।

আরো পড়ুন:

বাসায় ফেরার পথে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

জুলাই সনদ স্বাক্ষরের দিন সংঘর্ষের ঘটনায় এবার ধানমন্ডি থানায় মামলা

তিনি আরো জানান, আটক জেলেরা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার কাকদ্বীপ এলাকার বাসিন্দা। ট্রলারটিতে ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ১০ মণ মাছ পাওয়া গেছে। পরে নৌবাহিনীর অপর জাহাজ বানৌজা বিষখালী গতকাল শনিবার রাতে ট্রলার ও জেলেদের মোংলায় নিয়ে আসে।

মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.

আনিসুর রহমান বলেন, “গ্রেপ্তার ভারতীয় জেলেদের বিরুদ্ধে সমুদ্রসীমা লঙ্ঘন ও মৎস্য সম্পদ আহরণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। তাদেরকে বাগেরহাট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।”

ঢাকা/শহিদুল/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ফখর জামানকে শাস্তি দিল আইসিসি

ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে পাকিস্তানি ব্যাটার ফখর জামানকে ম্যাচ ফির ১০ শতাংশ জরিমানা করেছে আইসিসি।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অনুষ্ঠিত ফাইনাল ম্যাচে ফখর ‘আইসিসি কোড অব কনডাক্টের ২.৮ ধারা’ লঙ্ঘন করেছেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। এই ধারা আন্তর্জাতিক ম্যাচের সময় আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ বা প্রকাশ্য আপত্তি জানানোর সঙ্গে সম্পর্কিত।

আরো পড়ুন:

দুর্দান্ত বোলিংয়ে পাকিস্তানকে হারিয়ে সিরিজে ফিরল বাংলাদেশ

আইসিসির মাসসেরা খেলোয়াড় হওয়ার দৌড়ে তাইজুল

এ ঘটনার কারণে ফখরের শৃঙ্খলাভঙ্গের রেকর্ডে একটি ‘ডিমেরিট পয়েন্ট’ যোগ করা হয়েছে। গত ২৪ মাসে এটি ছিল তার প্রথম অপরাধ।

ঘটনাটি ঘটে পাকিস্তানের ইনিংসের ১৯তম ওভারে। সেই ওভারে আউট হওয়ার সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে মাঠের আম্পায়ারদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বিতর্কে জড়ান ফখর জামান।

এমিরেটস আইসিসি ইন্টারন্যাশনাল প্যানেলের ম্যাচ রেফারি রিয়ন কিং শাস্তির প্রস্তাব দেন। অভিযোগ তোলার দায়িত্বে ছিলেন অন-ফিল্ড আম্পায়ার আহসান রাজা ও আসিফ ইয়াকুব, থার্ড আম্পায়ার রশিদ রিয়াজ এবং ফোর্থ আম্পায়ার ফয়সাল আফ্রিদি।

ফখর নিজের অপরাধ স্বীকার করে শাস্তি মেনে নেওয়ায় আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন হয়নি।

আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, লেভেল-১ অপরাধে সর্বনিম্ন শাস্তি সতর্কবার্তা, আর সর্বোচ্চ শাস্তি খেলোয়াড়ের ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা এবং সাথে এক বা দুই ডিমেরিট পয়েন্ট।

উল্লেখ্য, সেই ম্যাচেই শ্রীলঙ্কাকে ছয় উইকেটে হারিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের শিরোপা জিতে নেয় পাকিস্তান। 

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ