ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মীরা বাসুদেবন। কয়েক দিন আগে তৃতীয় সংসার ভাঙার ঘোষণা দিয়ে আলোচনায় রয়েছেন। ২০০৫ সালে মালায়ালাম ভাষার ‘থানমাথরা’ চলচ্চিত্রে মোহনলালের বিপরীতে অভিনয় করে বিশেষভাবে নজর কাড়েন মীরা।

‘থানমাথরা’ চলচ্চিত্রে রামেসান নাইয়ের ও লেখা চরিত্র রূপায়ন করেন মোহনলাল ও মীরা। সিনেমার গল্পে তারা স্বামী-স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেন। আর এ চরিত্র রূপায়ন করতে গিয়ে একটি দৃশ্যে মোহনলালকে নগ্ন হতে হয়েছিল। এ দৃশ্যে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন মীরা। 

আরো পড়ুন:

আলিয়া-কাজল-রাশমিকাকে টপকে শীর্ষে সামান্থা

৬ দিনে অজয়-রাকুলের সিনেমা কত টাকা আয় করেছে?

অমৃতা টিভির রেড কার্পেট চ্যাট শোয়ে মীরা বলেছিলেন, “আমি তাকে একটা প্রশ্ন করেছিলাম—‘এই দৃশ্যটা কেন দরকার? এর উদ্দেশ্য কী?’ তিনি বলেছিলেন, এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সিনেমার একেবারে শুরু থেকেই এই দুই চরিত্রকে খুব ঘনিষ্ঠ হিসেবে দেখানো হয়েছে। অন্তরঙ্গ একটি পরিবারও বটে। স্বামী–স্ত্রী সবসময় খুব কাছাকাছি থাকে, খুব টাচি–ফিলি। আর এই দৃশ্যটিতে দেখা যায়, হঠাৎ মনোযোগ হারান তিনি। স্ত্রীকে ফেলে টিকটিকি খুঁজতে যান। এই ব্যাপারটি তাকে (স্ত্রীকে) ভেঙে দেয়। তখন সে বুঝতে পারে তার স্বামীর মাঝে কোনো একটা সমস্যা আছে।” 

দৃশ্যটির শট দেওয়া মোহনলাল ও মীরার জন্য ভীষণ চ্যালেঞ্জিং ছিল। মোহনলাল এ নিয়ে মীরার কাছে ক্ষমাও চেয়েছিলেন। তা জানিয়ে মীরা বলেন, “মোহনলাল স্যারের জন্য এটা আরো বেশি কঠিন ছিল। কারণ তাকে দৃশ্যটিতে সম্পূর্ণ নগ্ন হতে হয়েছিল। তার জন্য এটা বেশি চ্যালেঞ্জিং ছিল। স্যারকে নিয়ে যেমন ভাবতে হয়েছিল, তেমনই নিজেকে নিয়েও ভাবতে হয়েছিল। তাছাড়া আমার সততা, আমার সম্মান নিয়ে ভাবতে হচ্ছিল। তিনি খুবই পেশাদার একজন মানুষ। শট নেওয়ার আগে মোহনলাল স্যার এসে আমার কাছে ক্ষমা চেয়ে বলেছিলেন, ‘আমি খুব দুঃখিত। আমি যদি কোনোভাবে আপনাকে লজ্জায় ফেলি, তার জন্য দুঃখিত।” 

পরের ঘটনা বর্ণনা করে মীরা বলেন, “শুটিংয়ের আগে তিনি একটি পেটিকোট পরে ছিলেন এবং দৃশ্যের ঠিক আগ মুহূর্তে তা খুলে ফেলেন। আমি ব্লেসি স্যারকে অনুরোধ করেছিলাম যেন, খুব ছোট একটা দল নিয়ে এই শুটটি করা হয়। তারাও সেই সম্মান করেছে। আমরা সবাই মিলে দৃশ্যটি খুব আন্তরিকতা আর সততা দিয়ে করেছি।” 

ব্লেসি পরিচালিত ‘থানমাথরা’ চলচ্চিত্র মুক্তির পর ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে। তাছাড়া একাধিক কেরালা স্টেট ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডও জিতে নেয়, যার মধ্যে ছিল সেরা চলচ্চিত্র এবং সেরা পরিচালক। এই সিনেমার জন্য মোহনলাল পঞ্চমবারের মতো সেরা অভিনেতা বিভাগে রাজ্য পুরস্কারও অর্জন করেন। 

২০০৩ সালে তেলেগু ভাষার ‘গোলমাল’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় পা রাখেন মীরা বাসুদেবন। একই বছর বলিউডে অভিষেক ঘটে তার। একই বছরে তামিল ভাষার ‘আন্নি সরনাদান্দেন’ সিনেমায় অভিনয় করেন মীরা। এ সিনেমার মাধ্যমে নজর কাড়েন এই অভিনেত্রী। কেবল তাই নয়, ‘তামিল নাড়ু স্টেট ফিল্ম স্পেশাল অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করেন মীরা।  

তবে মীরা বাসুদেবন প্রথম বড় পরিসরে প্রশংসা কুড়ান মোহনলালের বিপরীতে মালায়ালাম ভাষার ‘থানমাথরা’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে। এরপর ‘ওরুভান’, ‘একান্তম’, ‘কাক্কি’, ‘পাচমারাথানালিল’ প্রভৃতি সিনেমায় অভিনয় করেন। পরবর্তীতে ‘দেবী’, ‘পেন’, ‘পানালপুভু’ প্রভৃতি টিভি ধারাবাহিক অভিনয় করেও ঘরে ঘরে পরিচিতি লাভ করেন মীরা। 

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র চলচ চ ত র ম হনল ল র জন য কর ন ম হয় ছ ল

এছাড়াও পড়ুন:

টিএইচই ইন্টারডিসিপ্লিনারি সায়েন্স র‍্যাংকিংয়ে দেশ সেরা ঢাবি

টাইমস হায়ার এডুকেশন (টিএইচই) ইন্টারডিসিপ্লিনারি সায়েন্স র‍্যাংকিং ২০২৬-এ দেশ সেরা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। একইসঙ্গে গ্লোবাল র‍্যাংকিংয়ে ঢাবি ৫২তম অবস্থান নিশ্চিত করেছে।

বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) এ র‌্যাংকিং প্রকাশ করে টিএইচই। র‍্যাংকিংয়ে দেশের সেরা ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে তিনটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। 

আরো পড়ুন:

গবেষণায় অনুদান পেলেন নোবিপ্রবির ১৮ শিক্ষক

নোবিপ্রবির আওয়ামীপন্থি কর্মকর্তা স্থায়ী বহিষ্কার 

দেশ সেরা ১০ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রয়েছে যথাক্রমে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (বিশ্বে ৩০১–৩৫০),  ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (বিশ্বে ৩৫১–৪০০), মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (বিশ্বে ৪০১–৫০০), ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি (বিশ্বে ৪০১–৫০০), যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বিশ্বে ৪০১–৫০০), নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বিশ্বে ৫০১–৬০০), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (বিশ্বে ৫০১–৬০০), খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (বিশ্বে ৬০১–৮০০) এবং শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বিশ্বে ৬০১–৮০০)।

বিশ্বব্যাপী শীর্ষ ১০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে রয়েছে যথাক্রমে ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি, স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, ক্যালিফোর্নিয়া ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি, ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, নানইয়াং টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি, ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়, জর্জিয়া ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর, ওয়াখেনিনগেন ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড রিসার্চ (নেদারল্যান্ডস) ও পার্ডিউ ইউনিভার্সিটি।, ওয়েস্ট লাফায়েত রয়েছে।

দ্বিতীয়বারের মতো প্রকাশিত এই র‍্যাংকিং শুরু হয় ২০২৪ সালের নভেম্বরে। এটি চালু করে যুক্তরাজ্যভিত্তিক খ্যাতনামা শিক্ষা সাময়িকী টাইমস হায়ার এডুকেশন, যা শিমিড সায়েন্স ফেলোস এর সহযোগিতায় পরিচালিত হয়।

এবারের র‍্যাংকিংয়ে বিশ্বের ৯৪টি দেশের ৯১১টি বিশ্ববিদ্যালয় অংশ নিয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় অংশগ্রহণে প্রায় ২২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

র‍্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ইনপুট (অর্থায়ন ও সুবিধা), প্রক্রিয়া (সফলতা, প্রশাসনিক সহায়তা) ও আউটপুট (গবেষণা প্রকাশনা, মান ও খ্যাতি)-এই তিনটি মূল দিক বিবেচনা করা হয়েছে। এছাড়া এবার ইন্টারডিসিপ্লিনারি পরিধি সম্প্রসারিত করা হয়েছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গবেষণা কার্যক্রমের বিস্তৃততা প্রতিফলিত করে।

ঢাকা/শফিউল্লাহ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ