দাদুর স্মৃতিবিজড়িত স্কুলে ফুটবলার শমিত, রাতেই কানাডার উদ্দেশে যাত্রা
Published: 20th, November 2025 GMT
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের ফুটবলার শমিত সোম হাজির হন তাঁর পারিবারিক ঐতিহ্যের অংশ মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের ভিক্টোরিয়া উচ্চবিদ্যালয়ে। এ বিদ্যালয়েই শিক্ষকতা করেছিলেন তাঁর দাদু মানিক লাল সোম, যিনি ছিলেন স্কুল ফুটবল দলের কোচ। তাঁরই নাতির জাতীয় দলে অভিষেকের সাফল্যে যেন নতুন আলোয় ভাসে সেই শিক্ষাঙ্গন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ভিক্টোরিয়া উচ্চবিদ্যালয়ে ঢুকতেই শমিতকে ঘিরে ধরে শিক্ষার্থীরা। তারা ‘শমিত ভাই, শমিত ভাই’ স্লোগানে মুখর করে তোলে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। মুহূর্তেই ক্যাম্পাসজুড়ে তৈরি হয় উৎসবের আমেজ। এ সময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অয়ন চৌধুরী ফুল দিয়ে তাঁকে স্বাগত জানান। পরে শমিত স্কুল ভবন ও খেলার মাঠ ঘুরে দেখেন। তাঁর দাদু মানিক লাল সোমের প্রতি স্মৃতিচারণা করেন উপস্থিত শিক্ষকেরা।
ভিক্টোরিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অয়ন চৌধুরী বলেন, ‘শমিত সোমের দাদু মানিক লাল সোম এই বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন এবং ফুটবল দলের কোচ ছিলেন। তিনি খুব ভালো ফুটবল খেলতেন এবং এই অঞ্চলে তাঁর যথেষ্ট খ্যাতি ছিল। শমিতের বাবা মানস লাল সোমও এই বিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন। আজ আমরা শমিতকে এসব বিষয়ে জানিয়েছি এবং পুরো বিদ্যালয় ঘুরে দেখিয়েছি।’
শমিত সোম বলেন, ‘শুনেছি, আমার দাদু মানিক সোম খুব ভালো ফুটবলার ছিলেন। অনেকেই বলেন, যদিও তাঁকে খেলতে দেখার সুযোগ হয়নি। তারপরও ভাবতে ভালো লাগে যে আমার ফুটবলের প্রতিভা হয়তো পরিবার থেকেই এসেছে। ভিক্টোরিয়া স্কুল শুধু আমার দাদুর কর্মস্থল ছিল না, এটা আমাদের পরিবারের স্মৃতির অংশ। ছোটবেলায় দাদুর মুখে এই স্কুলের ফুটবল দলের গল্প অসংখ্যবার শুনেছি। আজ এখানে এসে মনে হচ্ছে যেন সেই গল্পগুলোর ভেতরেই হাঁটছি।’
পরে শমিত বিকেল চারটার দিকে উত্তরসুর থেকে সিলেটের উদ্দেশে রওনা হন। সিলেট থেকে ঢাকায় গিয়ে রাত দেড়টার ফ্লাইটে তিনি কানাডার উদ্দেশে দেশ ছাড়বেন। প্রথম আলোকে এ তথ্য জানিয়েছেন তাঁর কাকাতো ভাই সৌরভ প্রসাদ সোম।
এর আগে গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে শমিত সোম শ্রীমঙ্গলের দক্ষিণ উত্তরসুর গ্রামে পরিবারের কাছে বেড়াতে এসেছিলেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফ টবল দল র ফ টবল র
এছাড়াও পড়ুন:
আইডিয়াল স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তি, আসন ২,১৪১টি
আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে মতিঝিল, বনশ্রী ও মুগদা শাখার বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনে (প্রভাতি ও দিবা শাখায়) শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হবে, আসনসংখ্যা ২১৪১টি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবেদন করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে মাউশির ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে ভর্তির জন্য চূড়ান্তভাবে নির্বাচন করা হবে।
যে শ্রেণিতে ভর্তি করা হবে—
-আবেদন শুরুর সময়: ২১ নভেম্বর ২০২৫ বেলা ১১টা থেকে শুরু।
-আবেদনের শেষ সময়: ৫ ডিসেম্বর ২০২৫ বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
-আবেদন ফি: ১০০ টাকা, টেলিটক প্রিপ্রেইডের মাধ্যমে প্রদান করতে হবে।
-আবেদন করার লিংক: https://gsa.teletalk.com.bd
-লটারির তারিখ: মাউশি কর্তৃক ঘোষণা করা হবে।
যে শ্রেণিতে ভর্তি করা হবে—
১. মতিঝিল শাখা:
বাংলা মাধ্যম, প্রভাতি শাখা।
আসনসংখ্যা: প্রথম শ্রেণিতে বালক ১১০টি, বালিকা ১১০টি। দ্বিতীয় শ্রেণিতে বালক ৫৫টি, বালিকা ৫৫টি।
২. মতিঝিল শাখা:
বাংলা মাধ্যম, দিবা শাখা।
আসনসংখ্যা: চতুর্থ শ্রেণিতে বালক ৫৫টি।
# ক্যাচমেন্ট এরিয়া নির্দেশনা: মতিঝিল, শাজাহানপুর, পল্টন থানা ১০ শতাংশ, মতিঝিল এজিবি কলোনি কোটা ৪০ শতাংশ (শিক্ষা সেবা অঞ্চল নির্দেশনা মোতাবেক)।
৩. মতিঝিল শাখা:
ইংলিশ ভার্সন, প্রভাতি শাখা।
আসনসংখ্যা: প্রথম শ্রেণিতে বালক ৫৫টি, বালিকা ৫৫টি। দ্বিতীয় শ্রেণিতে বালক ৫৫টি, বালিকা ৫৫টি।
৪. মতিঝিল শাখা:
ইংলিশ ভার্সন, দিবা শাখা।
আসনসংখ্যা: চতুর্থ শ্রেণিতে বালক ১১০টি। ষষ্ঠ শ্রেণিতে বালক ৫৫টি।
# ক্যাচমেন্ট এরিয়া নির্দেশনা: মতিঝিল, শাহজাহানপুর,
পল্টন থানা ৪০ শতাংশ।
৫. বনশ্রী শাখা:
বাংলা মাধ্যম, প্রভাতি শাখা।
আসনসংখ্যা: প্রথম শ্রেণিতে বালক ১১০টি, বালিকা ১১০টি। দ্বিতীয় শ্রেণিতে বালিকা ১১০টি। নবম শ্রেণিতে ব্যবসায় শিক্ষায় বালিকা ২০টি।
৬. বনশ্রী শাখা:
বাংলা মাধ্যম, দিবা শাখা।
আসনসংখ্যা: চতুর্থ শ্রেণিতে বালক ৫৫টি।
৭. বনশ্রী শাখা:
ইংলিশ ভার্সন, প্রভাতি শাখা।
আসনসংখ্যা: প্রথম শ্রেণিতে বালক ৫৫টি, বালিকা ৫৫টি। দ্বিতীয় শ্রেণিতে বালক ৫৫টি, বালিকা ৫৫টি। তৃতীয় শ্রেণিতে বালিকা ৫৫টি।
৮. বনশ্রী শাখা:
ইংলিশ ভার্সন, দিবা শাখা।
আসনসংখ্যা: চতুর্থ শ্রেণিতে বালক ৫৫টি।
# ক্যাচমেন্ট এরিয়া নির্দেশনা: রামপুরা, খিলগাঁও, বাড্ডা থানা ৪০ শতাংশ।
৯. মুগদা শাখা:
বাংলা মাধ্যম, প্রভাতি শাখা।
আসনসংখ্যা: প্রথম শ্রেণিতে বালক ১১০টি, বালিকা ১১০টি। তৃতীয় শ্রেণিতে বালিকা ৫৫টি।
১০. মুগদা শাখা:
বাংলা মাধ্যম, দিবা শাখা।
আসনসংখ্যা: চতুর্থ শ্রেণিতে বালক ৫৫টি। পঞ্চম শ্রেণিতে বালক ১১০টি।
১১. মুগদা শাখা:
ইংলিশ ভার্সন, প্রভাতি শাখা।
আসনসংখ্যা: প্রথম শ্রেণিতে বালিকা ৫৫টি। দ্বিতীয় শ্রেণিতে বালিকা ৫টি। পঞ্চম শ্রেণিতে বালক ৬টি।
১২. মুগদা শাখা:
ইংলিশ ভার্সন, দিবা শাখা।
আসনসংখ্যা: প্রথম শ্রেণিতে বালক ৫৫টি। চতুর্থ শ্রেণিতে বালক ২০টি।
# ক্যাচমেন্ট এরিয়া নির্দেশনা: মুগদা, সবুজবাগ, যাত্রাবাড়ী থানা ৪০ শতাংশ।
আবেদনের সময়—
ভর্তির আবেদন শুধু অনলাইনের এই ঠিকানায় (https://gsa.teletalk.com.bd) পাওয়া যাবে। অনলাইনে আবেদন গ্রহণ ২১ নভেম্বর ২০২৫ হতে ৫ ডিসেম্বর ২০২৫ বিকেল ৫টা পর্যন্ত পর্যন্ত চলবে। ভর্তির আবেদন ফি ১০০ টাকা, যা শুধু টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল নম্বর থেকে এসএমএস-এর মাধ্যমে প্রদান করতে হবে।
শিক্ষার্থীর বয়স—
জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ অনুযায়ী ৬+ শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে। তবে কাঙ্ক্ষিত শিক্ষাবর্ষের ১ জানুয়ারি তারিখে শিক্ষার্থীর সর্বনিম্ন বয়স ৫ বছর এবং ৩১ ডিসেম্বর তারিখে সর্বোচ্চ ৭ বছর পর্যন্ত হবে। (যেমন: ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকালে কোনো শিক্ষার্থীর বয়সসীমা সর্বনিম্ন ৫ বছর হবে অর্থাৎ জন্মতারিখ হবে ১ জানুয়ারি ২০২১ পর্যন্ত এবং সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৭ বছর পর্যন্ত অর্থাৎ জন্মতারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত)। পরবর্তী শ্রেণিতে বয়স নির্ধারণের বিষয়টি প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে প্রযোজ্য হবে। শিক্ষার্থীর বয়স নির্ধারণের জন্য ভর্তির আবেদন ফরমের সঙ্গে অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের বয়স নির্ধারণে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়া যাবে।
শিক্ষাসেবা অঞ্চল—
-মতিঝিল বাংলা মাধ্যম: কেবল মতিঝিল এজিবি কলোনিতে বসবাসকারী ও স্থায়ী বরাদ্দপত্রধারী ব্যক্তির সন্তান ৪০ শতাংশ এবং মতিঝিল, শাহজাহানপুর ও পল্টন থানার অন্তর্ভুক্ত অঞ্চলে বসবাসকারী বাসিন্দার সন্তান ১০ শতাংশ।
-মতিঝিল ইংলিশ ভার্সন: মতিঝিল, শাহজাহানপুর ও পল্টন থানার অন্তর্ভুক্ত অঞ্চলে বসবাসকারী বাসিন্দার সন্তান ৪০ শতাংশ।
-বনশ্রী বাংলা ও ইংলিশ ভার্সন: রামপুরা, বাড্ডা ও খিলগাঁও থানার অন্তর্ভুক্ত অঞ্চলে বসবাসকারী বাসিন্দার সন্তান ৪০ শতাংশ।
-মুগদা বাংলা ও ইংলিশ ভার্সন: মুগদা, সবুজবাগ ও যাত্রাবাড়ী থানার অন্তর্ভুক্ত অঞ্চলে বসবাসকারী বাসিন্দার সন্তান ৪০ শতাংশ।
ডিজিটাল পদ্ধতিতে নির্বাচিত—
ডিজিটাল পদ্ধতিতে লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা ভর্তির সময় অনলাইনে পূরণ করা ভর্তির মূল আবেদন ফরমের সঙ্গে অনলাইনে নিবন্ধন করা জন্মনিবন্ধন সনদসহ বিভিন্ন কোটার পক্ষে মূল কাগজপত্র প্রদর্শন করতে হবে এবং এক সেট সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে।
বিভিন্ন কোটার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ জমা দিতে হবে—
১. শিক্ষাসেবা অঞ্চল: মতিঝিল, বনশ্রী ও মুগদা ব্রাঞ্চের প্রার্থীর ক্যাচমেন্ট সংশ্লিষ্ট এলাকার কমিশনার বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্তৃক স্বাক্ষরিত প্রত্যয়নপত্রের মূল কপি।
২. শিক্ষাসেবা অঞ্চল: (মতিঝিল এজিবি কলোনি): প্রার্থীর পক্ষে পিতা বা মাতার নামে ইস্যুকৃত অ্যালোটমেন্ট ও পজেশন লেটার, IBAS (আইবাস) এবং বিদ্যুৎ বিলের সত্যায়িত কপি।
৩. এজিবি কলোনি ব্যতীত পল্টন ও শাহজাহানপুর থানাসংশ্লিষ্ট এলাকার কমিশনার বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্তৃক স্বাক্ষরিত প্রত্যয়নপত্রের মূলকপি।
৪. মুক্তিযোদ্ধা কোটা: মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যার জন্য আসন সংরক্ষিত থাকবে। প্রার্থীর পক্ষে মুক্তিযোদ্ধার মুক্তিবার্তা অথবা মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের গেজেটের সত্যায়িত কপি।
৫. শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোটা: প্রার্থীর পক্ষে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক অনুবিভাগ থেকে গৃহীত প্রত্যয়নপত্রের সত্যায়িত কপি।
৬. প্রতিবন্ধী কোটা: প্রার্থীর পক্ষে প্রতিবন্ধিতার প্রমাণস্বরূপ যথাযথ কর্তৃপক্ষের প্রত্যয়নপত্রের সত্যায়িত কপি।
৭ . ভাইবোন বা সহোদর বা যমজ কোটা: নিজ নিজ ব্রাঞ্চ ও শিফটের সহকারী প্রধান শিক্ষকের প্রত্যায়িত।
দরকারি তথ্য—
১. ইংলিশ ভার্সনে ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীকে ইংরেজি পড়া ও লেখায় পারদর্শী হতে হবে।
২. নবম শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে অষ্টম শ্রেণির বোর্ড রেজিস্ট্রেশনের কপি ও ছাড়পত্র অবশ্যই জমা দিতে হবে। অন্যথায় ভর্তি বাতিল বলে গণ্য হবে।
৩. শিক্ষার্থী যে ব্রাঞ্চ ও শিফটে ভর্তি হবে, সেই ব্রাঞ্চ ও শিফটেই অধ্যয়ন করবে। স্থানান্তরের আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।
# বিস্তারিত তথ্যের জন্য ওয়েবসাইট: www.iscm.edu.bd