শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে ফিরবেন, আশা শিক্ষা উপদেষ্টার
Published: 19th, October 2025 GMT
বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের ৫ শতাংশ (সর্বনিম্ন ২০০০ টাকা) নির্ধারণ করে আদেশ জারির পর শিক্ষকেরা শ্রেণিকক্ষে ফিরবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘‘শিক্ষকরা যাতে পুনরায় শ্রেণিকক্ষে ফিরে আসেন এবং শিক্ষা কার্যক্রম সচল থাকে, আমরা সেই প্রত্যাশা করি।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘শিক্ষা মন্ত্রণালয় সবসময় শিক্ষকদের অধিকার রক্ষায় সচেষ্ট। অর্থ মন্ত্রণালয় বাজেটের সীমাবদ্ধতা বিবেচনায় নিয়ে বাড়িভাড়া ভাতা ঘোষণা করেছে। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আমাদের আন্তরিক প্রচেষ্টা ছিল।’’
অধ্যাপক আবরার বলেন, ‘‘শিক্ষকদের আরো বেশি পাওয়ার অধিকার রয়েছে, তবে সীমিত সম্পদের মধ্যে যেটা সম্ভব, সেটাই করা হয়েছে। আশা করি, শিক্ষক সমাজ দায়িত্বশীলতা দেখিয়ে শ্রেণিকক্ষে ফিরে যাবেন।’’
শিক্ষক নেতারা ইতিমধ্যে জানিয়েছেন, ৫ শতাংশ হারে ভাতা ঘোষণাকে তারা প্রত্যাখ্যান করেছেন। তারা তাদের আমরণ অনশন ও অন্যান্য কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন।
এদিকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আদেশ অনুযায়ী, আগামী নভেম্বর মাস থেকে নতুন বাড়িভাড়া ভাতা কার্যকর হবে।
ঢাকা/এএএম/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে নবান্নের আয়োজনে বাংলার ঐতিহ্যের পরিচয়
অগ্রহায়ণ মাস বাঙালির গ্রামীণ জীবনে নিয়ে আসে উৎসব ও আনন্দের বিশেষ আবেশ। নতুন ধান ঘরে তোলার পর সেই চালের প্রথম ভাত, পিঠাপুলির ঘ্রাণ আর মিলেমিশে খাওয়ার সংস্কৃতি—সব মিলিয়ে নবান্ন উৎসব বাঙালির কৃষিভিত্তিক সমাজ ও সংস্কৃতির এক অনিবার্য অনুষঙ্গ। তবে আধুনিক জীবনের ব্যস্ততা ও যান্ত্রিকতায় এ উৎসব অনেকটাই হারিয়ে যাচ্ছে। তবু শিকড়ের টান ধরে রাখতে ও তরুণ প্রজন্মকে বাংলার ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েক বছর ধরে আয়োজন করা হচ্ছে নবান্ন উৎসব। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘পদাতিক’ এ আয়োজন করে আসছে।
এবারও বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চ প্রাঙ্গণে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী নবান্ন উৎসব ‘নব ছন্দে নবান্ন’। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শুরু হওয়া এ উৎসবকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসজুড়ে রঙিন পোশাকে সজ্জিত শিক্ষার্থীরা, গানবাজনার সুর, পিঠার সৌরভ আর গ্রামীণ মোটিফে সাজানো স্টল মিলিয়ে তৈরি হয় চিরায়ত গ্রামীণ উৎসবের উষ্ণ আবহ।
সন্ধ্যায় পদাতিক সদস্যদের পরিবেশনায় পঞ্চকবির গান দিয়ে উৎসবের উদ্বোধনী হয়। এরপর একে একে পরিবেশিত হতে থাকে কোরাস গান, একক সংগীত, নাচ, কবিতা আবৃত্তি ও নাট্যাংশ। গভীর রাত পর্যন্ত চলে আয়োজনের বিভিন্ন পরিবেশনা। আজ শুক্রবারও চলবে এ উৎসব।
সংগঠনটির উদ্যোগে মুক্তমঞ্চের সামনে সাজানো হয় পিঠা, ঐতিহ্যবাহী খাবার, হাতে তৈরি সামগ্রী ও গ্রামীণ জীবনধারাকে উপস্থাপন করা ১৪টি স্টল। চিতই, ভাপা, পাটিসাপটা, দুধ–চিড়াসহ নানা ধরনের শীতের পিঠায় দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। বিশেষ আকর্ষণ ছিল শিক্ষার্থীদের হাতে তৈরি চুড়ি ও বাহারি রঙের গয়না।
উৎসবের প্রথম দিনে সন্ধ্যায় পদাতিক সদস্যদের পঞ্চকবির গানের মধ্য দিয়ে সূচনা হয় অনুষ্ঠানমালার। এরপর একে একে পরিবেশিত হয় কোরাস সংগীত, একক সংগীত, নৃত্য, কবিতা আবৃত্তি ও নাট্যাংশ। শিক্ষার্থীদের শৈশবের স্মৃতিতে ফিরিয়ে নিতে মেলায় যুক্ত করা হয় নাগরদোলা ও শিশুদের ট্রেন। এসব আয়োজন শিশুদের পাশাপাশি প্রাপ্তবয়স্ক দর্শনার্থীদের মধ্যেও বাড়তি উৎসাহ তৈরি করে।
মেলায় আসা শিক্ষার্থী সুমাইয়া ইসলাম বলেন, ‘সারা বছর ক্লাস, পরীক্ষার চাপের মধ্যে এমন গ্রামীণ উৎসব আমাদের মানসিক স্বস্তি ও ভিন্ন রকম আনন্দের উপলক্ষ। তাই সারা বছর আমরা এ উৎসবের জন্য অপেক্ষায় থাকি।’
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পঞ্চকবির গানের মধ্যদিয়ে উৎসবের উদ্বোধন হয়