চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু
Published: 20th, November 2025 GMT
ডেঙ্গুতে আক্রন্ত হয়ে চট্টগ্রামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। নিহত ব্যক্তির নাম মো. সালাউদ্দিন (৩১)। আজ দুপুরে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহত সালাউদ্দিন নগরের কালামিয়া বাজার এলাকার বাসিন্দা৷ গতকাল বুধবার তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। ডেঙ্গুর পাশাপাশি তাঁর কিডনি জটিলতাও ছিল। এ নিয়ে চট্টগ্রামে এ বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা ২৩ জন।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের হিসাব অনুযায়ী, আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২৯ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে পুরো বছরে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার ২৩৮ জন। গড় হিসেবে প্রতিদিন ৩৭ জন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
যুবদল নেতা হত্যায় বড় অংকের অর্থ লেনদেন হয়েছে: র্যাব
রাজধানীর পল্লবী থানা যুবদলের সদস্য সচিব গোলাম কিবরিয়াকে হত্যা মামলার এজাহার নামীয় আসামিসহ দুই জন শীর্ষ সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৪।
বুধবার (১৯ নভেম্বর দুপুরে র্যাব সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
আরো পড়ুন:
মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনার রায় ঘিরে দেশজুড়ে কড়া নিরাপত্তা
চট্টগ্রামে পাওনা টাকা নিয়ে যুবক হত্যা: ৩ আসামি গ্রেপ্তার
র্যাব জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতরা মিরপুর কেন্দ্রিক গড়ে উঠা সন্ত্রাসীগ্রুপ ‘ফোর স্টার’ এর সক্রিয় সদস্য। এটি পরিকল্পিত একটি হত্যাকাণ্ড, যাতে বড় অংকের অর্থের লেনদেন হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ১৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকা মহানগরীর পল্লবী থানাধীন মিরপুর-১২, ব্লক-বি, বিক্রমপুর সেনিটারী ও হার্ডওয়্যার দোকানে ৬ জন অজ্ঞাত সন্ত্রাসী প্রকাশ্য দিবালোকে পিস্তল দিয়ে বুকে ও পিঠে অতর্কিত গুলি করে পল্লবী থানা যুবদলের সদস্য সচিব গোলাম কিবরিয়াকে (৫০) হত্যা করে। পরে ওই স্থান থেকে পালানোর সময় স্থানীয় জনতার ওপর অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা গুলি করে এবং এতে একজন রিকশাচালক গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর জখম হয়। পরবর্তীতে ছাত্র জনতা তাদেরকে ধাওয়া করে জনি ভূইয়া (২৫) নামে একজন সন্ত্রাসীকে আটক করে পল্লবী থানা পুলিশের কাছে দেয়। এ বিষয়ে ভিকটিমের পরিবার পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা করে।
র্যাব জানিয়েছে, ঘটনার পরপরই র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সিসিটিভি ফুটেজ এবং আনুষঙ্গিক তথ্যাদি বিশ্লেষণ করে ঘটনার রহস্য উদঘাটন এবং জড়িত আসামিদের আইনের আওতায় আনতে ছায়া তদন্ত শুরু করে।
এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) রাতে সাভার থানাধীন বিরোলিয়া এলাকা হতে গোলাম কিবরিয়া হত্যা মামলার এজাহার নামীয় আসামি এবং হত্যাকাণ্ডের নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারী মো. মনির হোসেন ওরফে সোহেল ওরফে পাতা সোহেল (৩০) এবং জিএমপির টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন মাজার বস্তি এলাকা হতে ১৮টি মামলার শীর্ষ ও পলাতক সন্ত্রাসী মো. সুজন ওরফে বুকপোড়া সুজনকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৪ এর আভিযানিক দল।
গ্রেপ্তারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র্যাব জানিয়েছে, রাজনৈতিক কোন্দল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়েছে। এছাড়াও তারা জানায় যে, এটি একটি সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড, যাতে বড় অংকের অর্থের লেনদেন হয়। আসামিরা পেশাদার হত্যাকারী এবং তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
ঢাকা/এমআর/এসবি