দেশে পরপর কয়েকটি অগ্নিকাণ্ড ঘটার পর সেগুলো নিয়ে আলোচনার মধ্যে ঢাকার সদরঘাটে বুড়িগঙ্গা নদীতে একটি লঞ্চে আগুনের ভিডিও ছড়াচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

ভিডিওটির ক্যাপশনে দাবি করা হচ্ছে, ‘এবার ঢাকা সদরঘাটে লঞ্চে ভয়াবহ আগুন, দেশে যেন আগুনের খেলা শুরু হয়েছে।’

গত কয়েক দিনে দেশে কয়েকটি বড় অগ্নিকাণ্ড ঘটে। গত বুধবার ঢাকার মিরপুরের শিয়ালবাড়িতে একটি পোশাক কারখানা এবং একটি রাসায়নিকের গুদামে আগুন লেগে ১৬ জনের মৃত্যু ঘটে। এরপর গত শুক্রবার আগুন লাগে চট্টগ্রাম ইপিজেডের একটি কারখানায়। শনিবার ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।

এর পরপরই রোববার সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, নদীতে একটি লঞ্চে আগুন লেগেছে। ‘ঢাকা সদরঘাটে লঞ্চে ভয়াবহ আগুন লেগেছে’ শিরোনামে ছড়াচ্ছে এটি।

লিংক: এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে

তবে যাচাই করে দেখা গেছে, ভিডিওটি নতুন নয়। ইনভিড টুলে কি-ফ্রেম বিশ্লেষণ করে রিভার্স সার্চে পাওয়া যায়, এটি ২০২৩ সালের ৩০ জুন রাজধানীর সদরঘাটে ‘ময়ূর-৭’ নামের একটি লঞ্চে আগুন লাগার সময় ধারণ করা ভিডিও।

সে সময় মূলধারার সংবাদমাধ্যমগুলো এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালের ৩০ জুন বেলা ১১টার দিকে লালকুঠি ঘাটের ২২ নম্বর পন্টুনে দাঁড়ানো ঢাকা-চাঁদপুরগামী ‘ময়ূর-৭’ লঞ্চে আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট কাজ করে।

সংবাদের লিংক: এখানে, এখানে, এখানে, এখানে

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানিয়েছিলেন, লঞ্চটি তখন ঘাটে দাঁড়ানো অবস্থায় ছিল এবং এতে কোনো যাত্রী ছিল না। আগুন লঞ্চের দ্বিতীয় তলায় লেগেছিল।

গত কয়েক দিনে সদরঘাটে কোনো লঞ্চে আগুন লাগার খবর কোনো সংবাদমাধ্যমে পাওয়া যায়নি।

সুতরাং সম্প্রতি সদরঘাটে লঞ্চে আগুন লাগার দাবিটি ঠিক নয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো ভিডিওটি ২০২৩ সালের পুরোনো ঘটনার।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ২০২৩ স ল র আগ ন ল গ সদরঘ ট

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১৫৬ শিক্ষার্থী ও ১০ শিক্ষক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের তিন বছরের (২০২১, ২০২২ ও ২০২৩ সাল) ‘ডিনস অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হয়েছে। ১৪ অক্টোবর নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের হাতে এ অ্যাওয়ার্ড তুলে দেওয়া হয়। কলা অনুষদের ১৭টি বিভাগের মোট ১৫৬ জন শিক্ষার্থী ডিনস অ্যাওয়ার্ড পান। দেশে-বিদেশে প্রকাশিত গবেষণাগ্রন্থ এবং স্বীকৃত জার্নালে প্রকাশিত মৌলিক প্রবন্ধের জন্য চারটি ক্যাটাগরিতে ১০ জন শিক্ষককে ডিনস অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।

কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাবির উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান প্রধান অতিথি এবং সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। কলা অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক দরুল আমিন ডিনস অ্যাওয়ার্ড স্পিকার হিসেবে বক্তব্য দেন। ডিনস অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত শিক্ষকদের নাম ঘোষণা করেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান। এ অনূষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, প্রাধ্যক্ষ, প্রক্টর, অনুষদের শিক্ষকেরা, রেজিস্ট্রার ও অভিভাবকেরা উপস্থিত ছিলেন।

ডিনস অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন বাংলা বিভাগের মাহফুজা মাহবুব।

ইংরেজি বিভাগের জেরিন তাসনিম রাইসা, মানতাহা কিশোয়ার, মো. সারোয়ার কামাল ভূঁইয়া, তাওসিফ এহসান, আয়শা আক্তার সুমি, মোসা. ঈশিতা হক, লাবিব রশিদ ইনান ও তাশরিফা ফাইরুজ।

আরবি বিভাগের মাসুদুর রহমান, আবদুল্লাহ মজুমদার, আতহারুল ইসলাম শহিদ, তৌহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ ইকরামুল হক, মুনতাসির আহমদ মুয়াজ, মাহমুদুল হাসান, এজাজুল হক, মো. সাজ্জাদ হোসেন খান, সামিয়া জাহান, মিজানুর রহমান, নাজমুস সাকিব, হোসাইন আহম্মদ, ইয়াসির মাহমুদ, হাসমত আলী, মাহমুদুল আহসান, মুনতাসির আহমদ, আরফাতুল ইসলাম, আবদুল্লাহ আল মাসুদ, ইমরান হোসাইন, ওমর ফারুক, জেসমিন ইসলাম তাপসী ও মোহাম্মদ আবদুর রহমান মাহদি।

ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সায়মা আক্তার, মো. খায়রুজ্জামান, মোসা. ফাহিমা সুমাইয়া, মো. ইশরেকাত হাসান ইমন, মাহমুদা আক্তার ও শান্তা আক্তার।

উর্দু বিভাগের সৈয়দা জাসিয়া আলী, মোসা. আলপনা আক্তার, মো. আবু সাজিদ, নাকিবা আজিম ও মো. হাবিবুল্লাহ মুসকান।

সংস্কৃত বিভাগের অনিক চন্দ্র বিশ্বাস, মধু কুমার রায়, উম্মে তামান্না সুলতানা কুয়াশা, সুমি রাণী দাস ও তমা রাণী সরকার।

পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের পিয়া দাস, অধিবাসী রায়, তানজিলা আক্তার ও প্রতিভা চাকমা।

ইতিহাস বিভাগের মো. হাসাইবুর রহমান, সোনিয়া আক্তার, মো. হাসিবুর রহমান, মো. মেহেদী হাসান, আবু তৈয়ব, সৌরভ মিয়া, অনন্যা আক্তার, তাসনিম মোস্তফা, পূজা দাস, ফারজানা পারভিন, সুষ্মিতা বাড়ৈ, অর্জুনা আক্তার, সুরাইয়া ইয়াসমিন সূচনা ও রূপম রোদ্দর।

দর্শন বিভাগের সানজিদা ইমু, তামান্না খাতুন, শায়লা ইসলাম নিপা ও মো. ইমরান হোসাইন।

ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সাঈদ নাকিব, মো. হাসান তারেক খান, মো. মাজহারুল ইসলাম, রাকিজাতুল জান্নাত, কাজী নাঈম সিদ্দিকী, মোহাম্মদ জায়েদ, মো. মাহমুদুর রহমান, মো. আমির ফয়সাল, মো. আহমদ্দুল্লাহ, উম্মে কুলসুম, তাসলিমা আক্তার অণু, জাকিয়া খাতুন, নাসরিন আক্তার, মো. সাখাওয়াত হোসাইন সাব্বির এবং মো. নুর আলম, খায়রুন নেসা।

আরও পড়ুনএইচএসসি পরীক্ষার ফল পুনর্নিরীক্ষণে মানতে হবে ৯টি নিয়ম১৪ অক্টোবর ২০২৫২০২১, ২০২২ ও ২০২৩ সালে ডিনস অ্যাওয়ার্ড পাওয়া শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মা হলেন পরিণীতি চোপড়া
  • স্মার্টফোনে থাকা সব ছবি গোপনে দেখবে ফেসবুক, কেন
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১৫৬ শিক্ষার্থী ও ১০ শিক্ষক
  • দেশে পাঁচ বছরে এসইউভির বিক্রি বেড়ে দ্বিগুণ
  • ৭ মাসের গর্ভবতী অ্যাথলেট ১০ কিলোমিটার দৌড়িয়ে আলোচনায়