স্মার্টফোনে থাকা সব ছবি গোপনে দেখবে ফেসবুক, কেন
Published: 19th, October 2025 GMT
স্মার্টফোন এখন শুধু যোগাযোগের মাধ্যম নয়, ছবি তোলার ক্ষেত্রেও হয়ে উঠেছে অন্যতম প্রধান যন্ত্র। আধুনিক স্মার্টফোনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিসহ উন্নত সেন্সর ও ম্যানুয়াল নিয়ন্ত্রণ–সুবিধা যুক্ত থাকায় সহজেই ডিএসএলআর ক্যামেরার মতো ভালো মানের ছবি তোলা যায়। তাই স্মার্টফোনে দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন স্মৃতি সংরক্ষণ করেন অনেকে। কেউ আবার পছন্দের এক বা একাধিক ছবি ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন। আর তাই এবার ব্যবহারকারীদের আপলোড করা ছবির পাশাপাশি স্মার্টফোনে থাকা সব ছবি সংগ্রহ করতে ‘ক্লাউড প্রসেসিং’ নামের নতুন সুবিধা চালু করেছে ফেসবুক। এআইনির্ভর এই সুবিধা স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্মার্টফোনে থাকা সব ছবি সংগ্রহ করে মেটার সার্ভারে জমা করবে।
ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটার তথ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার ব্যবহারকারীদের জন্য চালু হওয়া ক্লাউড প্রসেসিং সুবিধাটি ব্যবহারকারীদের অনুমতি নিয়ে ফোনের গ্যালারিতে থাকা অপ্রকাশিত ছবিগুলোও সার্ভারে জমা করবে। এরপর সার্ভারে থাকা ছবিগুলোর কোলাজ তৈরি করে নির্দিষ্ট সময়ে ব্যবহারকারীদের উপস্থাপন করা হবে। এসব ছবির মধ্যে বিভিন্ন স্ক্রিনশট ও রসিদও থাকতে পারে। এই সুবিধা চালুর উদ্দেশ্য হলো ব্যবহারকারীদের ছবি ও ভিডিওকে আরও ‘শেয়ারযোগ্য’ করে তোলা।
ব্যবহারকারীদের তথ্য সংগ্রহ করায় আগেও নানা প্রশ্নের মুখে পড়েছে মেটা। নতুন সুবিধাটি চালুর পর আবারও ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। কারণ, মেটা চাইলে ব্যবহারকারীদের অনুমতি ছাড়াই গোপনে ফেসবুক অ্যাপের প্রাইভেসি সেটিংস পরিবর্তন করে স্মার্টফোনে থাকা সব ছবি সংগ্রহ করে নিজেদের এআই মডেলকে প্রশিক্ষণ দিতে পারে। তবে এ বিষয়ে মেটা জানিয়েছে, আমরা ব্যবহারকারীদের ক্যামেরা রোলের ছবি বা ভিডিও মেটার এআই উন্নয়নের জন্য ব্যবহার করি না। তবে ব্যবহারকারীরা যদি আমাদের এআই টুল দিয়ে ছবি সম্পাদনা বা শেয়ার করেন, তবে তা ব্যবহার করা হয়।
আরও পড়ুনফেসবুক থেকে আয় করবেন কীভাবে১১ আগস্ট ২০২৫প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট দ্য ভার্জের এক প্রশ্নের জবাবে মেটার মুখপাত্র মারি মেলগুইজো জানান, এই সুবিধার মাধ্যমে আপলোড করা ছবিগুলো ব্যবহারকারীদের প্রস্তাব পাঠানোর জন্য ব্যবহার করা হবে, এআই প্রযুক্তি উন্নয়নের জন্য নয়। তবে ব্যবহারকারীরা যদি সেই প্রস্তাবিত ছবি মেটা এআই টুল দিয়ে সম্পাদনা বা প্রকাশ করেন, তখন সেগুলো এআই প্রশিক্ষণে কাজে লাগানো হতে পারে। অর্থাৎ ব্যবহারকারী কিছু না করলেও ফেসবুকের সার্ভারে তাঁর ছবির কপি সংরক্ষণ করা হবে।
আরও পড়ুনআপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট কি অন্য কেউ লুকিয়ে ব্যবহার করছে১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে মেটা স্বীকার করেছিল, ২০০৭ সাল থেকে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা ছবি ও লেখা ব্যবহার করে তারা তাদের এআই মডেলকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। এ ছাড়া ফেসবুক অ্যাপের প্রাইভেসি সেটিংস গোপনে পরিবর্তন করে ব্যবহারকারীদের স্মার্টফোনে থাকা ছবি গোপনে দেখার অভিযোগও রয়েছে মেটার বিরুদ্ধে।
সূত্র: দ্য ভার্জ
আরও পড়ুনদূর থেকে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট লগআউট করবেন যেভাবে০৭ মে ২০২৩.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবহ র কর ফ সব ক অ য র জন য র এআই
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১৫৬ শিক্ষার্থী ও ১০ শিক্ষক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের তিন বছরের (২০২১, ২০২২ ও ২০২৩ সাল) ‘ডিনস অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হয়েছে। ১৪ অক্টোবর নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের হাতে এ অ্যাওয়ার্ড তুলে দেওয়া হয়। কলা অনুষদের ১৭টি বিভাগের মোট ১৫৬ জন শিক্ষার্থী ডিনস অ্যাওয়ার্ড পান। দেশে-বিদেশে প্রকাশিত গবেষণাগ্রন্থ এবং স্বীকৃত জার্নালে প্রকাশিত মৌলিক প্রবন্ধের জন্য চারটি ক্যাটাগরিতে ১০ জন শিক্ষককে ডিনস অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।
কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাবির উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান প্রধান অতিথি এবং সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। কলা অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক দরুল আমিন ডিনস অ্যাওয়ার্ড স্পিকার হিসেবে বক্তব্য দেন। ডিনস অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত শিক্ষকদের নাম ঘোষণা করেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান। এ অনূষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, প্রাধ্যক্ষ, প্রক্টর, অনুষদের শিক্ষকেরা, রেজিস্ট্রার ও অভিভাবকেরা উপস্থিত ছিলেন।
ডিনস অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন বাংলা বিভাগের মাহফুজা মাহবুব।
ইংরেজি বিভাগের জেরিন তাসনিম রাইসা, মানতাহা কিশোয়ার, মো. সারোয়ার কামাল ভূঁইয়া, তাওসিফ এহসান, আয়শা আক্তার সুমি, মোসা. ঈশিতা হক, লাবিব রশিদ ইনান ও তাশরিফা ফাইরুজ।
আরবি বিভাগের মাসুদুর রহমান, আবদুল্লাহ মজুমদার, আতহারুল ইসলাম শহিদ, তৌহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ ইকরামুল হক, মুনতাসির আহমদ মুয়াজ, মাহমুদুল হাসান, এজাজুল হক, মো. সাজ্জাদ হোসেন খান, সামিয়া জাহান, মিজানুর রহমান, নাজমুস সাকিব, হোসাইন আহম্মদ, ইয়াসির মাহমুদ, হাসমত আলী, মাহমুদুল আহসান, মুনতাসির আহমদ, আরফাতুল ইসলাম, আবদুল্লাহ আল মাসুদ, ইমরান হোসাইন, ওমর ফারুক, জেসমিন ইসলাম তাপসী ও মোহাম্মদ আবদুর রহমান মাহদি।
ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সায়মা আক্তার, মো. খায়রুজ্জামান, মোসা. ফাহিমা সুমাইয়া, মো. ইশরেকাত হাসান ইমন, মাহমুদা আক্তার ও শান্তা আক্তার।
উর্দু বিভাগের সৈয়দা জাসিয়া আলী, মোসা. আলপনা আক্তার, মো. আবু সাজিদ, নাকিবা আজিম ও মো. হাবিবুল্লাহ মুসকান।
সংস্কৃত বিভাগের অনিক চন্দ্র বিশ্বাস, মধু কুমার রায়, উম্মে তামান্না সুলতানা কুয়াশা, সুমি রাণী দাস ও তমা রাণী সরকার।
পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের পিয়া দাস, অধিবাসী রায়, তানজিলা আক্তার ও প্রতিভা চাকমা।
ইতিহাস বিভাগের মো. হাসাইবুর রহমান, সোনিয়া আক্তার, মো. হাসিবুর রহমান, মো. মেহেদী হাসান, আবু তৈয়ব, সৌরভ মিয়া, অনন্যা আক্তার, তাসনিম মোস্তফা, পূজা দাস, ফারজানা পারভিন, সুষ্মিতা বাড়ৈ, অর্জুনা আক্তার, সুরাইয়া ইয়াসমিন সূচনা ও রূপম রোদ্দর।
দর্শন বিভাগের সানজিদা ইমু, তামান্না খাতুন, শায়লা ইসলাম নিপা ও মো. ইমরান হোসাইন।
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সাঈদ নাকিব, মো. হাসান তারেক খান, মো. মাজহারুল ইসলাম, রাকিজাতুল জান্নাত, কাজী নাঈম সিদ্দিকী, মোহাম্মদ জায়েদ, মো. মাহমুদুর রহমান, মো. আমির ফয়সাল, মো. আহমদ্দুল্লাহ, উম্মে কুলসুম, তাসলিমা আক্তার অণু, জাকিয়া খাতুন, নাসরিন আক্তার, মো. সাখাওয়াত হোসাইন সাব্বির এবং মো. নুর আলম, খায়রুন নেসা।
আরও পড়ুনএইচএসসি পরীক্ষার ফল পুনর্নিরীক্ষণে মানতে হবে ৯টি নিয়ম১৪ অক্টোবর ২০২৫২০২১, ২০২২ ও ২০২৩ সালে ডিনস অ্যাওয়ার্ড পাওয়া শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়