ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদ বলেছেন, “একটি দেশকে উন্নতির পথে এগিয়ে নিতে হলে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের মধ্যে থাকতে হবে সততা, দায়িত্বশীলতা এবং দেশপ্রেম। এ তিনটি গুণ একজন মানুষের চরিত্র গঠনের মূল ভিত্তি এবং একটি জাতির অগ্রযাত্রার চালিকা শক্তি।”

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘অক্টোবর-২০২৫ এর দপ্তর প্রধানদের নিয়ে সমন্বয় সভা’য় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সিনিয়র সচিব বলেন, “স্বচ্ছ, দক্ষ, আধুনিক ও টেকসই ভূমি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ভূমির সর্বোত্তম ব্যবহার এবং ভূমি সংক্রান্ত জনবান্ধব সেবা নিশ্চিত করা। বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ভূমি ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন করা। কৃষি জমি সুরক্ষা, পরিবেশ উন্নয়ন, খাদ্য নিরাপত্তা ও দারিদ্র্য বিমোচনের মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সাধন করা। অকৃষি জমির সুপরিকল্পিত ব্যবহার, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি হ্রাস এবং ভূমি সম্পর্কিত সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ জনগোষ্ঠীর জন্য বাসোপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য সর্বোত্র নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে হবে।”

ভূমি সংস্কার বোর্ডের মহাপরিচালক জানান, মাঠ পর্যায় ভূমি সংস্কার বোর্ডে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কার্যসম্পাদনের সুবিধার্থে মোটরসাইকেল সরবরাহের নিমিত্তে ৫৩টি জেলা থেকে মোটর সাইকেলের চাহিদা পাওয়া গিয়েছে এখনও ১১টি জেলা বাকি আছে। মোটরসাইকেল সরবরাহের নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে জানান সভাপতি। সভাপতি ভূমি ভবনে অবস্থিত সব দপ্তরের সমন্বয়ে একটি সমন্বিত লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠার গুরুত্বারোপ করে প্রত্যেক দপ্তর/সংস্থার আলাদা আলাদা লাইব্রেরির পরিবর্তে একটি কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী স্থাপন করার গুরুত্বারোপ করেন। বিভিন্ন দপ্তরের লোকবল নিয়োগে স্বচ্ছতা যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রদানের জন্য সাধুবাদ জানান।

এছাড়া ভূমি ভবনের বিভিন্ন কারিগরি রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ এবং ভবনের ভিতরে ও বাহিরের সৌন্দর্য বর্ধন, নিরাপত্তা জোর দার করার নির্দেশনা দেন।

রাজউক পূর্বাচলের ১৭টি মৌজার মধ্যে ১৬টি মৌজায় এ প্রর্যন্ত ৫৭৭৬৬টি দাগের মধ্যে ৩৮৮৮১টি খতিয়ানের খানাপুরী বুঝরাত সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে ৩২৭৬৫টি খতিয়ানের তসদিক সম্পন্ন হয়েছে। পাতিয়া মৌজায় কিস্তোয়ার সমাপ্ত এবং কেন্দুয়া মৌজায় কিস্তোয়ার চলমান রয়েছে। গণপূর্ত অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাকারী সংস্থা করে ৭ টি বিভাগীয় ভূমি প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (এলএটিসি) অবকাঠামো নির্মাণের ডিপিপি প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এলএটিসি ৭ সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত ২৬০ জনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে।

সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান একেএম সালাহউদ্দিন নাগরী, ভূমি আপীল বোর্ডের চেয়ারম্যান (সচিব), ড.

মাহমুদ হাসান, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড-১), সাইদুর রহমানসহ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবরা।

ঢাকা/এএএম/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সিটি করপোরেশনের নামমাত্র সেবা কত দিন

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের যাত্রা শুরু হয়েছে সাত বছর আগে, কিন্তু আজও নগরীর নাগরিকেরা, বিশেষ করে নিম্ন আয়ের প্রায় দেড় লাখ মানুষ সুপেয় পানির মতো মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। পৌরসভা থেকে সিটি করপোরেশনে উন্নীত হলেও ওয়াসার মতো পানি সরবরাহের কোনো প্রতিষ্ঠানই গড়ে ওঠেনি। নগরবাসীর সংখ্যা বাড়তে থাকলেও পুরোনো পৌরসভার সেবাই চালু আছে। আর কত বছর পার হলে সিটি করপোরেশনের প্রকৃত সেবা পাবেন নগরবাসী? 

প্রথম আলোর প্রতিবেদন জানাচ্ছে, ময়মনসিংহ শহরে ১৩৬ বছর আগে মুক্তাগাছার জমিদার মহারাজা সূর্যকান্ত আচার্য চৌধুরী যান্ত্রিক উপায়ে ব্রহ্মপুত্রের পানি শোধন করে সরবরাহের ব্যবস্থা করেছিলেন। সেই শহরে আজ মানুষ টাকায় কিনে পাচ্ছেন দুর্গন্ধ ও ময়লাযুক্ত পানি। প্রতি মাসে সিটি করপোরেশনকে টাকা দেওয়ার পরও লাইনে যে পানি আসে, তা ময়লা, দুর্গন্ধযুক্ত এবং তাতে পোকা ও শামুক পর্যন্ত পাওয়া যায়। এই পচা পানি ব্যবহার করে অনেকের শরীরে চুলকানির মতো নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে।

সিটি করপোরেশন হওয়ার পর নগরের পরিসর বেড়েছে, নগরবাসীর সংখ্যাও বেড়েছে। কিন্তু পানির সংযোগ পৌরসভা আমলের। ফলে আয়ের চেয়ে বেশি ব্যয়ে পানি সরবরাহ করতে হচ্ছে সিটি করপোরেশনকে। চাহিদা, ঘাটতি ও সামর্থ্যহীনতার কারণে শহরটিতে পানি সরবরাহ নিয়ে চরম অব্যবস্থাপনা তৈরি হয়েছে, কোনো সন্দেহ নেই। আবার আয়ের তুলনায় ব্যয়ের যে হিসাব দেখা যাচ্ছে, তাতে কোনো অনিয়ম হচ্ছে কি না, সেটিও অনুসন্ধানের বিষয়।

ময়মনসিংহে পানির সরকারি সংযোগ আছে মাত্র সাত হাজার পরিবারের। অন্যদিকে প্রায় দেড় লাখ নিম্ন আয়ের মানুষের চাহিদা মেটাতে সিটি করপোরেশন অনুমোদনের মাধ্যমে বা গোপনে সাড়ে ২২ হাজারের বেশি সাবমারসিবল পাম্প স্থাপনকে উৎসাহ জুগিয়েছে। এই অনিয়ন্ত্রিত পাম্প স্থাপন ও ব্যবহারের ফলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর দ্রুত নিচে নেমে যাচ্ছে, যা ভবিষ্যতে আরও বড় সংকট তৈরি করবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন পরিবেশবিদেরা।

সিটি করপোরেশনের বক্তব্য, সিটি করপোরেশন হওয়ার পর জনসংখ্যা বাড়লেও পানি সরবরাহের সক্ষমতা বাড়েনি এবং রাজস্ব আয় সামান্য হওয়ায় সরকার থেকে বিশেষ প্রকল্প না পেলে বড় কোনো উদ্যোগ নেওয়ার ক্ষমতা নেই।

 জানা যাচ্ছে, সিটি করপোরেশন হলেও এর নিজস্ব জনবল কাঠামোই এখনো ঠিক হয়নি। পৌরসভার জনবল দিয়েই চলছে সিটি করপোরেশন। প্রশ্ন হচ্ছে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন কত দিন ‘নামকাওয়াস্তে’ সিটি করপোরেশন হয়ে থাকবে। নগরবাসীর জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থাসহ অন্যান্য নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধির বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে আমরা জোরালো আহ্বান জানাই।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বড়পুকুরিয়ায় সব ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ, ৮ জেলায় বিদ্যুৎ–বিভ্রাট
  • চীনের আধিপত্য মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র-অস্ট্রেলিয়ার বিরল খনিজ চুক্তি
  • সিটি করপোরেশনের নামমাত্র সেবা কত দিন
  • শেরপুরে পোস্ট অফিস থেকে জাল টাকা সরবরাহ, গ্রেপ্তার ২
  • ঠাকুরগাঁওয়ে সার সংকট নিরসনে এনসিপির স্মারকলিপি
  • বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধ 
  • বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যুৎ রপ্তানি চুক্তি নবায়নের প্রক্রিয়া শুরু করেছে ভারত
  • ৩ দিন বিদ্যুৎহীন মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
  • তেল চুরি শুরু জাহাজ থেকে