গাইবান্ধায় বেআইনিভাবে এক পুলিশ সদস্যের ব্যক্তিগত মোবাইল ও ল্যাপটপ আটকে রাখার অভিযোগে গাইবান্ধার পুলিশ সুপার নিশাত অ্যাঞ্জেলা ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীনুর ইসলাম তালুকদারসহ তিনজনের নামে আদালতে মামলা করেছেন ভুক্তভোগীর স্ত্রী। 

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পেশকার হাফিজুর রহমান। 

এর আগে বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকালে গাইবান্ধা অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন সদর থানার সাবেক এস আই (বর্তমানে জয়পুরহাটে কর্মরত) মনিরুজ্জামানের স্ত্রী কাজলী খাতুন (৩১)। পুলিশ সুপার ও ওসি ছাড়াও মামলার আরেক আসামি এসআই মনিরুজ্জামনের দুঃসম্পর্কের আত্মীয় তারেকুজ্জামান তুহিন (২৩)।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত মার্চ মাসে ফেসবুকে ছাত্রলীগের সাথে সংশ্লিষ্টতার ট্যাগ দিয়ে এসআই মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন তারই দুঃসম্পর্কের আত্মীয় তারেকুজ্জামান তুহিন। পরে ২৫ মার্চ বিকালে সদর থানার ওসি শাহিনুর ইসলাম তালুকদারে মাধ্যমে ওই এসআইকে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে ডেকে নেন পুলিশ সুপার নিশাত অ্যাঞ্জেলা। 

এসময় তার মোবাইল নিয়ে পর্যবেক্ষণ করার পর তার ব্যবহৃত ল্যাপটপটি থানা থেকে এনে সেটিও পর্যবেক্ষণ করা হয়। পরে ওই এসআই মনিরুজ্জামানের মোবাইল ও ল্যাপটপ পুলিশ সুপার তার নিজের জিম্মায় রেখে দেন। এ ঘটনা বাইরে প্রকাশ করলে চাকরির ক্ষতি করাসহ হত্যার হুমকি দেন আসামিরা। একপর্যায়ে মনিরুজ্জামানকে রাজশাহী রেঞ্জের জয়পুরহাটের কালাই থানায় বদলী করা হয়। 

এ বিষয়ে বাদী পক্ষের আইনজীবী জান্নাতি ফেরদৌসী লাবনী বলেন, “আমার মাধ্যমে বিকেলে ফরিয়াদী মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি আমলে নিয়ে অধিক তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন পিবিআইকে নির্দেশ দেন অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন।” 

এদিকে মামলার পরদিন বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) এসআই মনিরুজ্জামানকে জয়পুরহাটের কালাই থানা থেকে জয়পুরহাট পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়। 

এ ঘটনায় মামলার বাদি মনিরুজ্জামানের স্ত্রী কাজলী খাতুনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। 

গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর ইসলাম তালুকদার রাইজিংবিডিকে বলেন, “এস আই মনিরুজ্জামান তার নিকট আত্নীয় তারেকুজ্জামান তুহিন ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে নিয়ে কটুক্তি করে তার ফেসবুক আইডি থেকে বিভিন্ন পোস্ট করেন। বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশ সুপার তার কক্ষে ওই এসআইকে ডেকে নেন এবং পোস্টের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য তার ব্যবহৃত মোবাইল, ল্যাপটপ ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য আমার মাধ্যমে ঢাকায় পাঠান। এতেই ক্ষুদ্ধ হয়ে তার স্ত্রী মামলা করেছেন।”

এ ব্যাপারে জানতে গাইবান্ধা পুলিশ সুপার নিশাত অ্যাঞ্জেলার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

ঢাকা/মাসুম/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মন র জ জ ম ন র সদর থ ন র

এছাড়াও পড়ুন:

রাজধানীতে দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার

রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার ও আজ বুধবার বনানী ও ধানমন্ডি এলাকা থেকে দুই যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের কারোর পরিচয় পাওয়া যায়নি।

আজ ধানমন্ডি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মাহমুদুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, আজ সকালে পুলিশ ধানমন্ডি লেকের পানসি রেস্তোরাঁর পেছন থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের ভাসমান লাশ উদ্ধার করে। তাঁর বয়স ২৫ বছর হতে পারে। পরে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া গলে তাঁর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, যুবকটি সাঁতার জানেন না। তিনি হয়তো পানিতে ডুবে মারা গেছেন।

অপর ঘটনায় গতকাল পুলিশ বনানী এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে সড়কের পাশ থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে। তাঁর বয়স ২৩ বছর হতে পারে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাঁর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা বিমানবন্দর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) বজলুর রশীদ বলেন, উদ্ধার করা লাশটির মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম রয়েছে। ঢাকাগামী রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাঁর ডান হাতে ট্যাটু ছিল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এসআইয়ের মুঠোফোন ও ল্যাপটপ আটকে রাখার অভিযোগে এসপিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা
  • ধর্ষণের পর শিশুকে হত্যা, আসামিকে ধরে পুলিশে দিলেন বাদী
  • মর্গের তরুণীর লাশের সঙ্গে বিকৃত যৌনাচার, ডোম গ্রেপ্তার
  • রাজধানীতে দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার
  • বুয়েটের সেই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার করার কথা জানাল পুলিশ