উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামানের মুঠোফোন ও ল্যাপটপ আটক রাখার অভিযোগে পুলিশ সুপারসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গাইবান্ধা আমলি আদালতে (সদর) মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার মনিরুজ্জামানের স্ত্রী কাজলী খাতুন মামলাটি করেন।

মামলায় তিনজনের নাম উল্লেখসহ দুই থেকে তিনজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। আসামিরা হলেন গাইবান্ধার পুলিশ সুপার (এসপি) নিশাত এ্যাঞ্জেলা, গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর ইসলাম তালুকদার ও লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী-ইসলামপুর এলাকার বাসিন্দা তারেকুজ্জামান (২৩)। তিনি (তারেকুজ্জামান) এসআই মনিরুজ্জামানের আত্মীয়।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, আমলি আদালতের বিচারক মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মামলার আরজিতে বলা হয়, এসআই মনিরুজ্জামান গাইবান্ধা সদর থানায় কর্মরত ছিলেন। আসামি তারেকুজ্জামান পারিবারিক পূর্বশত্রুতার জেরে এসআই মনিরুজ্জামানের ছাত্রলীগে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ এনে ফেসবুকে ছবি প্রকাশ করেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে গাইবান্ধা পুলিশ সুপারের কাছে মৌখিক অভিযোগ দেন। অভিযোগের ভিত্তিতে চলতি বছরের ২৫ মার্চ পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামানকে তাঁর কার্যালয়ে ডাকেন। তিনি কার্যালয়ে প্রবেশ করামাত্র তাঁর কাছ থেকে মুঠোফোন, ল্যাপটপ ও ১৩ হাজার টাকা জোরপূর্বক কেড়ে নেওয়া হয়। পরে মুঠোফোন ও ল্যাপটপ যাচাই-বাছাই শেষে সদর থানার ওসির কাছে রাখা হয়। এ সময় বিষয়টি বাইরে প্রকাশ করলে তাঁর চাকরির ক্ষতি হবে বলে ভয় দেখানো হয়। একপর্যায়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে তাঁকে গাইবান্ধা থেকে রাজশাহী রেঞ্জে বদলি করা হয়। পরে তিনি ঊর্ধ্বতন কতৃর্পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে মুঠোফোন ও ল্যাপটপ উদ্ধারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। বিষয়টি তিনি তাঁর পরিবারকে জানান। পরে তাঁর স্ত্রী কাজলী খাতুন আদালতে মামলা করেন।

এ বিষয়ে জানতে পুলিশ সুপার (এসপি) নিশাত এ্যাঞ্জেলার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

গাইবান্ধা সদর থানার ওসি শাহিনুর ইসলাম তালুকদার মুঠোফোনে বলেন, মনিরুজ্জামানের এক আত্মীয় ফেসবুকে পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালান। বিষয়টি শোনার পর পুলিশ সুপার তাঁকে নিজের কার্যালয়ে ডেকে পাঠান। মনিরুজ্জামান অপপ্রচারের বিষয়টি অস্বীকার করেন। পরে তাঁর মুঠোফোন ও ল্যাপটপ পরীক্ষার জন্য সিআইডি পুলিশের কাছে পাঠানো হয়। সিআইডির রিপোর্ট পাওয়ার পর এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম ঠ ফ ন ও ল য পটপ মন র জ জ ম ন র সদর থ ন ব ষয়ট

এছাড়াও পড়ুন:

রাজধানীতে দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার

রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার ও আজ বুধবার বনানী ও ধানমন্ডি এলাকা থেকে দুই যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের কারোর পরিচয় পাওয়া যায়নি।

আজ ধানমন্ডি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মাহমুদুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, আজ সকালে পুলিশ ধানমন্ডি লেকের পানসি রেস্তোরাঁর পেছন থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের ভাসমান লাশ উদ্ধার করে। তাঁর বয়স ২৫ বছর হতে পারে। পরে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া গলে তাঁর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, যুবকটি সাঁতার জানেন না। তিনি হয়তো পানিতে ডুবে মারা গেছেন।

অপর ঘটনায় গতকাল পুলিশ বনানী এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে সড়কের পাশ থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে। তাঁর বয়স ২৩ বছর হতে পারে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাঁর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা বিমানবন্দর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) বজলুর রশীদ বলেন, উদ্ধার করা লাশটির মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম রয়েছে। ঢাকাগামী রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাঁর ডান হাতে ট্যাটু ছিল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাইবান্ধার এসপি-ওসিসহ ৩ জনের নামে মামলা
  • ধর্ষণের পর শিশুকে হত্যা, আসামিকে ধরে পুলিশে দিলেন বাদী
  • মর্গের তরুণীর লাশের সঙ্গে বিকৃত যৌনাচার, ডোম গ্রেপ্তার
  • রাজধানীতে দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার
  • বুয়েটের সেই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার করার কথা জানাল পুলিশ