জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী বলেছেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে অনেক ইসলামী দলের প্রার্থী জান্নাতের টিকেট দেয়, কেউ কেউ আবার রোজা ও পুজা এক করে ফেলে।

কেউ কেউ গিয়ে মন্দিরে গীতা পাঠও করে। পাল্লা ন্যায় ও ইনসাফের প্রতীক। কিন্তু সেই পাল্লাতেই আবার নিচ দিয়ে একটা বাটখারা দিয়ে ১ কেজির স্থলে ৮০০ গ্রাম ফল দেয় অসাধু ব্যবসায়ীরা। 

পাল্লা আমরা পছন্দ করি, কিন্তু ৮০০ গ্রামের পাল্লাকে সাপোর্ট করি না। আমরা ইসলামকে সাপোর্ট করি, ইসলাম আমার প্রাণের স্পন্দন,ইসলামের জন্য মরতে পারি। কিন্তু সেই ইসলাম হতে হবে মদীনার ইসলাম। সেটা জামায়াতে ইসলাম না। আমরা ৮০০ গ্রামের জামায়াতে ইসলামীকে পছন্দ করি না। তাদের ভোট দেয়াও জায়েজ না। 

শুক্রবার বিকেলে কাসেমী পরিষদের উদ্যোগে কুতুবপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের লামাপাড়া এলাকায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সহকারী মহাসচিব মুফতি বশির উল্লাহ, নারায়ণগঞ্জ জেলা জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান, মহানগর জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সভাপতি মাওলানা কামাল উদ্দিন দায়েমী, ফতুল্লা থানা শাখার সভাপতি মাওলানা মোফাজ্জল বিন মাহফুজ প্রমুখ। 

মনির কাসেমী আরো বলেন, যে আওয়ামী লীগের কর্মীরা চাঁদাবাজি, জবর-দখল, সন্ত্রাসী কাজ করেনি, তাদের গাঁয়ে কোন আচঁর লাগতে দেবো না। তবে অপরাধী যদি হয়ে থাকে তাহলে তাকে বাঁচতে দেবো না। সে যে দলেরই হোক তাকে ছাড় দেয়া হবে না। শুধুমাত্র দলীয় পরিচয়ের কারনে কোন নিরিহ মানুষকে হয়রানি যেনো না হতে হয়।

গডফাদার শামীম ওসমানের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আগের এমপি আমাদের ফতুল্লায় থাকতেন না। তাই সমস্যা সমাধান করেননি। বড় বড় কথা বলেছেন, কিন্তু কাজ করেননি। তাই অল্প বৃষ্টিতেই পুরো ফতুল্লা আজ পানিতে তলিয়ে যায়।

আমি যদি আপনাদের ভোটে জিততে পারি তাহলে আগামি ৫ বছরে জলাবদ্ধতা, গ্যাস, বিদ্যুৎ এর সমাধান করবো। সমাধান করতে না পারলে এখানেই থাকবো। 

তিনি ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা ৫৫ বছর দেখেছেন, কোন সময়েই এভাবে আলেম ওলামারা আসেনি। একটিবারের জন্য আলেমদের বিশ্বাস করে দেখেন, দেখবেন আগামি ৫ বছরে ৫৫ বছরে যা হয়নি তা হবে। আগামি ৫ বছরে এ এলাকার নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। 

জমিয়িতে উলামায়ে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি বশির উল্লাহ বলেন, নারায়ণগঞ্জে একজন খেলোয়াড় ছিলেন, যিনি দলবল নিয়ে পালিয়েছেন। আমরা যাকে প্রার্থী দিয়েছি তিনি পালাবেন না৷ তিনি উন্নয়ন করবেন। 

মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান বলেন, মনির কাসেমী যদি জিততে পারেন তাহলে এই অঞ্চলে সমস্যা থাকবে না। নাগরিক সমস্যা থাকবে না। 

কামাল উদ্দিন দায়েমী বলেন, আগামি নির্বাচনে আমরা সৎ এবং যোগ্য ব্যাক্তিকে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে এমপি হিসেবে দেখতে চাই। তিনি নির্বাচিত হন তাহলে ফতুল্লার উন্নয়ন হবে।

যারা আগে গলা ফাঁটিয়ে বক্তব্য দিয়েছিল, খেলা হবে বলেছিল তারা পালিয়ে গেছে। আসল খেলা আমরা মনির কাসেমীকে নিয়ে খেলতে চাই। তিনি নির্বাচিত হলে আগামি ৫ বছরে ২০ বছরের কাজ হবে। 

মুফতি হারুন বলেন, আমরা ইসলামিক দলগুলোর এমন কিছু প্রার্থী দেখি যারা রোজা আর পূজা এক পাল্লায় মাপে। তারা ইসলামের অপব্যাখ্যা দিচ্ছে। আমরা তেমন ইসলামিক দলের প্রার্থী কে দেখতে চাই না। আমরা কালোকে কালো আর সাদা কে সাদা বলতে চাই।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব ল দ শ জ ম য ত ইসল ম ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ইসল ম র উল ম য় ৫ বছর

এছাড়াও পড়ুন:

নারায়ণগঞ্জে শান্তিপূর্ণভাবে শ্যামা পূজার বিসর্জন সম্পন্ন

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব শ্রী শ্রী শ্যামা পূজা প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে নারায়ণগঞ্জে শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হলো চারদিন ব্যাপী শ্রী শ্রী শ্যামা পূজার আনুষ্ঠানিকতা।

বৃহস্পতিবার ( ২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকে শহরের বিআইডব্লিউটিএর ৩নং ঘাটে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে প্রতিমা বিসর্জনের আয়োজন করা হয়। পূজা উদযাপন পরিষদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিমা বিসর্জন ঘাটে প্রতিমা বিসর্জন সম্পন্ন শুরু করা হয়।

পরে একে একে শহরের বিভিন্ন পূজা মন্ডপগুলো অন্তত সু-শৃঙ্খলা ভাবে তাদের প্রতিমা বিসর্জন সম্পন্ন করেন। শ্রীশ্রী শ্যামা উপলক্ষে প্রশাসনের পক্ষ থেকেও নেয়া হয় যথেষ্ট পরিমান নিরাপত্তা ব্যবস্থা। কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই এবার অনুষ্ঠিত হয়েছে কালী পূজার বিসর্জন।

বিসর্জন মঞ্চে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিখণ সরকার শিপন বলেন, নারায়ণগঞ্জে আনন্দঘন পরিবেশের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে শারদীয় দুর্গোৎসবের পর কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই চারদিন ব্যাপী শ্যামা মায়ের পূজার বিসর্জন সমাপ্তি হয়েছে।

এটাই হলো নারায়ণগঞ্জের সম্প্রীতির বন্ধন। তার জন্য আমরা নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে নারায়ণগঞ্জ বিএনপিসহ সকল রাজনৈতিক দল ও প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

প্রতিমা বিসর্জন ঘাটে এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শংকর কুমার দে, সাধারণ সম্পাদক শিখণ সরকার শিপন, সহ- সভাপতি তিলোত্তমা দাস, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিষ্ণু পদক সাহা, সাধারণ সম্পাদক সম্পাদক সুশীল দাস, সহ- সভাপতি সাংবাদিক উত্তম কুমার সাহা, সহ- সভাপতি হিমাদ্রি সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষ্ণ আচার্য, বন্দর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল বিশ্বাস, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পূজা উদযাপন সভাপতি শিশির ঘোষ অমরসহ জেলা ও মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সোনারগাঁয়ে হামেশা ফুডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গ্রেপ্তার
  • আওয়ামী লীগ দেশের রাষ্ট্র কাঠমোকে ধ্বংস করে দিয়েছে : সাখাওয়াত
  • ২৭নং ওয়ার্ড বিএনপির কর্মীসভা ও ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ
  • অর্থ আত্মসাতের মামলায় হামেশা ফুডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গ্রেপ্তার
  • জামায়াত নেতা মাও. জব্বারের আলীরটেক ইউনিয়নে গণসংযোগ 
  • বিএনপি নেতা কবির হোসেনের মায়ের মৃত্যুতে মামুন মাহমুদের শোক 
  • সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপি নেতা কবির হোসেনের মায়ের জানাযা নামাজ অনুষ্ঠিত
  • সরকারী প্রাইমারি স্কুলের ২২ গুণী প্রধান শিক্ষককে সম্মাননা প্রদান
  • নারায়ণগঞ্জে শান্তিপূর্ণভাবে শ্যামা পূজার বিসর্জন সম্পন্ন