রোহিতের সেঞ্চুরি আর কোহলির ব্যাটে ভারতের দাপুটে জয়
Published: 25th, October 2025 GMT
প্রথম দুই ম্যাচ হেরে আগেই সিরিজ হাতছাড়া হয়েছিল ভারতের। আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) নিয়মরক্ষার তৃতীয় ম্যাচে সিডনিতে মুখোমুখি হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া ও ভারত। শেষ ম্যাচে রোহিত শর্মার সেঞ্চুরি ও বিরাট কোহলির ব্যাটে দাপুটে এক জয় পেয়েছে ভারত। যা তাদের জন্য সিরিজ হারের পর স্বান্ত্বনা হিসেবে কাজ করবে।
অস্ট্রেলিয়া আগে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরুর পরও ৪৬.
আরো পড়ুন:
রোহিতের সেঞ্চুরির ‘হাফ-সেঞ্চুরি’, ঢুকলেন এলিট ক্লাব
মঙ্গলবার গোলাপি জার্সি পরে মাঠে নামবে পাকিস্তান
রান তাড়া করতে নেমে রোহিত ও গিল উদ্বোধনী জুটিতে ৬৯ রান তোলেন ১০.১ ওভারে। এরপর গিল ফিরেন ব্যক্তিগত ২৪ রানে। উইকেটের পেছনে ক্যারির হাতে তাকে তালুবন্দি করান জশ হ্যাজডলউড। সেখান থেকে রোহিত ও কোহলি অবিচ্ছিন্ন ১৬৮ রানের জুটি গড়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।
রোহিত ১২৫ বলে ১৩টি চার ও ৩ ছক্কায় অপরাজিত ১২১ রানের ইনিংস খেলেন। যা ওয়ানডেতে তার ৩৩তম সেঞ্চুরি এবং আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ৫০তম। এই সেঞ্চুরির মাধ্যমে পঞ্চাশটি সেঞ্চুরি করা এলিট ব্যাটসম্যানদের তালিকায় দশ নম্বর হিসেবে প্রবেশ করেন তিনি। কোহলি ৮১ বলে ৭টি চারে অপরাজিত থাকেন ৭৪ রানে।
তার আগে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে ম্যাট রেনশো কেবল ফিফটি করতে পারেন। তিনি ২ চারে করেন ৫৬ রান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন মিচেল মার্শ। এছাড়া ম্যাথিউ শর্ট ৩০, ট্র্যাভিস হেড ২৯, আলেক্স ক্যারি ২৪ ও কুপার কনোলি করেন ২৩ রান।
বল হাতে ভারতের হরষিত রানা ৮.৪ ওভারে ৩৯ রানে ৪টি উইকেট নেন। ওয়াশিংটন সুন্দর ১০ ওভারে ৪৪ রানে নেন ২টি উইকেট।
শেষ ম্যাচে অপরাজিত সেঞ্চুরি করে ম্যাচসেরা হন রোহিত। শুধু তাই নয়, মোট ২০২ রান করে সিরিজ সেরাও হন তিনি।
২৯ তারিখ থেকে শুরু হবে অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের মধ্যকার পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজি।
ঢাকা/আমিনুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
এএমএল আবারো স্পটলাইটে
ক্যাম্পেইন এজেন্সি অব দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ডস ২০২৫-এ দু’টি অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে এএমএল আবারো দক্ষিণ এশিয়ার বিজ্ঞাপনী বাজারে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছে। এ বছর এএমএল ‘রেস্ট অব সাউথ এশিয়া ডিজিটাল ইনোভেশন এজেন্সি অব দ্য ইয়ার’ ক্যাটেগরিতে এবং ‘রেস্ট অব সাউথ এশিয়া মিডিয়া এজেন্সি অব দ্য ইয়ার’ ক্যাটেগরিতে দু’টি ব্রোঞ্জ অর্জন করেছে।
নব্বই দশকের শুরু থেকে ক্যাম্পেইন এজেন্সি অব দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ডস এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের অ্যাডভার্টাইজিং, কমিউনিকেশন, মিডিয়া এবং ডিজিটাল ইনোভেশনের সেরা সাফল্যগুলোকে স্বীকৃতি দিয়ে আসছে। শুধু সৃজনশীল কাজই নয়—দূরদর্শী নেতৃত্ব, অপারেশনাল দক্ষতা এবং শক্তিশালী ব্যবসায়িক পারফর্ম্যান্সও এই পুরস্কারের বিবেচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
এই বছরের স্বীকৃতিগুলো এএমএল-এর ডিজিটাল ট্রান্সফর্মেশন এবং মিডিয়া এফেক্টিভনেস—উভয় ক্ষেত্রেই ধারাবাহিক অগ্রযাত্রার প্রমাণ। ডাটা-ভিত্তিক স্ট্র্যাটেজি, ভবিষ্যত-উপযোগী সমাধান এবং ক্রমবর্ধমান ভোক্তা আচরণের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এএমএল তাদের ক্লায়েন্টদের জন্য বাস্তবধর্মী সাফল্য নিশ্চিত করে আসছে।
বিগত বছরগুলোর পারফর্ম্যান্সের ভিত্তিতে এএমএল তাদের সাবমিশন প্রস্তুত করে—যেখানে এজেন্সির ভিশন, ইন্ডাস্ট্রিতে অবদান, সাসটেইনেবল বিজনেস ডেভেলপমেন্ট এবং ক্লায়েন্টদের জন্য অর্জিত সাফল্যগুলোকে বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়। বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক অর্থনীতির পরিবর্তিত বাস্তবতায় ব্র্যান্ডগুলোর দ্রুত ট্রান্সফর্মেশন সহজ করতে এএমএল-এর স্ট্র্যাটেজিক দৃষ্টিভঙ্গি ও সহযোগিতামূলক কাজ বিশেষ ভূমিকা রেখেছে।
যদিও এটা এএমএল-এর প্রথম আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নয়, তবু প্রতিটি অর্জনই পুরো দলের জন্য বিশেষ গর্বের। এই পুরস্কারগুলো প্রতিষ্ঠানটির সকল সদস্যের নিষ্ঠা ও পরিশ্রমের প্রতিফলন, পাশাপাশি অংশীদার ও ক্লায়েন্টদের অবিচল আস্থার ফল।
এএমএল তাদের সকল ক্লায়েন্ট, সহযোগী এবং অংশীদারদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছে—যাদের বিশ্বাস ও সমর্থনই প্রতিষ্ঠানটিকে প্রতি বছর নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতে অনুপ্রেরণা জোগায়।
ঢাকা/ইভা