ভাইরাল সেই ‘বাগানের মালি’, আরও অনেক গল্প বললেন সুমি
Published: 26th, October 2025 GMT
বাবা ছোটবেলা থেকেই গান করতেন, তাই বাড়িতে গানের একটা পরিবেশ ছিল। তবে দেড় বছর আগে সুমি জানতে পারেন, তাঁর দাদাও বয়াতি ছিলেন। ভালো বেহালা বাজাতেন। সংগীত তাই তাঁর পরিবারেই ছিল। সুমি বলেন, ‘দাদাকে নিয়ে যতই জানছি, অবাক হচ্ছি। পরিবারের সংগীতের বীজ দাদার হাতেই হয়তো বোনা। শুনেছি, উনি বাড়ি থেকে বিভিন্ন অঞ্চলে চলে যেতেন। দাদাকে যখন খুঁজে পাওয়া যেত না, তখন দাদি বেহালার দিকে তাকিয়ে দেখতেন—যদি বেহালা না থাকত, তবে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়েছেন। আর যদি বেহালা থাকত, তবে দাদা আশপাশেই আছেন।’
সুমির শুরুটা শাস্ত্রীয় সংগীত দিয়ে, খুলনায় আলী আহমেদের কাছে কিছুদিন ক্ল্যাসিক্যাল শেখেন। তারপর নজরুল। তবে তাঁর লোকসংগীতের আগ্রহ ছিল বেশি, তাই অনেক ওস্তাদ ঘুরে অসীম দেবনাথের কাছে শিখতে শুরু করেন।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বংশালে তরুণের মরদেহ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যা
ঢাকার বংশালের আগামসিলেন এলাকার একটি বাসা থেকে মোহাম্মদ সজিব (১৯) নামে এক তরুণের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে এক পরিচিত তরুণীর ডাকে সজিব ওই বাসায় যান। সেখানে মারধরে তার মৃত্যু হয়।
বংশাল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ দুলাল হক জানান, বিকেলে ৯৯৯ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে ওই বাসার চতুর্থ তলার সিঁড়ি থেকে গলায় জিআই তার প্যাঁচানো অবস্থায় সজিবের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে রাত সাড়ে ১০টার দিকে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
এসআই দুলাল হক বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, সজিব ও ওই পরিবারের এক মেয়ের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। তবে উভয় পরিবারের কেউই সম্পর্কটি মেনে নেয়নি। এ নিয়ে সম্প্রতি তাদের মধ্যে বিরোধও তৈরি হয়।
নিহতের বাবা মোহাম্মদ তাজউদ্দীন বলেন, “আমার ছেলে এসএসসি পাস করেছে। শিগগিরই বিদেশে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। শনিবার বিকেলে সে পরিচিত এক মেয়ের ডাকে আগামসিলেনে যায়। পরে খবর পাই, তাকে বেঁধে মারধর করা হয়েছে। পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।”
তিনি আরো বলেন, “আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তি চাই।”
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে।
ঢাকা/বুলবুল/ইভা