সুপ্রিম কোর্টের ২০২৬ সালের বর্ষপঞ্জি অনুমোদন, অবকাশকালীন ছুটি ৬৩ দিন
Published: 27th, November 2025 GMT
সুপ্রিম কোর্টের আগামী বছরের বর্ষপঞ্জি (২০২৬ সাল) অনুমোদন দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের ফুল কোর্ট সভা। সভাসংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্রমতে, সাপ্তাহিক ও সাধারণ ছুটি ছাড়াও আগামী বছরের বর্ষপঞ্জিতে ৬৩ দিন (নীল চিহ্নিত হিসেবে) সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন ছুটি থাকছে।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের সভাপতিত্বে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের অংশগ্রহণে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এই ফুল কোর্ট সভা অনুষ্ঠিত হয়। বেলা ৩টা থেকে ৪০ মিনিটের মতো সুপ্রিম কোর্টের অডিটরিয়ামে এ সভা হয় বলে সভাসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছেন।
এর আগে সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (প্রশাসন ও বিচার) মো.
এ ছাড়া ফুল কোর্ট সভার স্থান পরিবর্তন প্রসঙ্গে আজ সকালে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে সংশোধিত পত্র প্রকাশ করা হয়। সংশোধিত পত্রে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের অংশগ্রহণে আজ বেলা তিনটায় অনুষ্ঠেয় ফুল কোর্ট সভা ইতিপূর্বে নির্ধারিত স্থান জাজেস লাউঞ্জের পরিবর্তে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সহকারী শিক্ষক নিয়োগে আবেদন সাড়ে ৭ লাখ, প্রতি পদে ৭৩ প্রার্থী, পরীক্ষা কবে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে চাকরিপ্রার্থীদের সাড়া ব্যাপক। আবেদন গ্রহণের সময়সীমা শেষ হয়েছে ২১ নভেম্বর। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, এই পদে মোট আবেদনপত্র জমা পড়েছে ৭ লাখ ৪৫ হাজার ৯২৯টি। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে শূন্য পদ দেখানো হয়েছিল ১০ হাজার ২১৯টি। ফলে প্রতি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন প্রায় ৭৩ জন প্রার্থী। দীর্ঘ অপেক্ষার পর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ায় প্রাথমিক শিক্ষায় বড় পরিসরে নতুন জনবল নিয়োগের প্রক্রিয়া আবার শুরু হলো। লিখিত পরীক্ষা ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাসে হতে পারে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুনসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক হতে যা জানা জরুরি১৬ নভেম্বর ২০২৫শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, প্রথম ধাপে রাজশাহী, রংপুর, সিলেট, খুলনা, বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগের শূন্য পদের বিপরীতে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়। অন্যান্য বিভাগের শূন্য পদ পরবর্তী ধাপে অন্তর্ভুক্ত হবে। এর আগে চলতি বছরের ২৮ আগস্ট ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫’ প্রজ্ঞাপন করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তিন দিন পর গঠন করা হয় আট সদস্যের কেন্দ্রীয় নিয়োগ কমিটি, যার চেয়ারম্যান প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। কমিটিতে মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো ও সরকারি কর্ম কমিশনের প্রতিনিধিরাও যুক্ত আছেন।
তবে সংশোধিত বিধিমালায় কিছু ত্রুটি থাকার কারণে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে দেরি হয়। পরে ত্রুটি সংশোধন করে ২ নভেম্বর নতুনভাবে বিধিমালা প্রকাশ করে মন্ত্রণালয়। নতুন বিধিমালায় ‘অন্যান্য বিষয়ে’ শব্দের পরিবর্তে ‘বিজ্ঞানসহ অন্যান্য বিষয়ে অন্যূন’ শব্দ সংযোজন করা হয়েছে, যার ফলে বিজ্ঞান বিষয়ের প্রার্থীরাও অগ্রাধিকার পাবেন।
আরও পড়ুনজুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনে বিশাল নিয়োগ, পদ ১১৫২২৩ নভেম্বর ২০২৫পদোন্নতি ও সরাসরি নিয়োগের নিয়মেও কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। প্রধান শিক্ষক পদে ৮০ শতাংশ নিয়োগ হবে পদোন্নতির মাধ্যমে, বাকি ২০ শতাংশ সরাসরি। পদোন্নতির ক্ষেত্রে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কমপক্ষে ১২ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা, মৌলিক প্রশিক্ষণ ও চাকরি স্থায়ীকরণ প্রয়োজন। অন্যদিকে সহকারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষক—উভয় পদের সরাসরি নিয়োগে স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি বাধ্যতামূলক। শিক্ষাজীবনের কোনো পর্যায়ে তৃতীয় বিভাগ বা সমমানের ফল গ্রহণযোগ্য নয়। সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৩২ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের একটি সূত্র জানিয়েছে, আবেদন যাচাই-বাছাই শেষে লিখিত পরীক্ষা ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাসে হতে পারে।
আরও পড়ুনযে ১০ দেশের শিক্ষাব্যবস্থা সবচেয়ে কঠিন২৫ নভেম্বর ২০২৫