মানিকগঞ্জে সবজির দাম কমেছে কেজিতে ২০ টাকা
Published: 26th, October 2025 GMT
মানিকগঞ্জের কাঁচা বাজারগুলোতে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দাম কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। ফলে ক্রেতাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।
রবিবার (২৬ অক্টোবর) সকালে মানিকগঞ্জ শহরের বাসস্ট্যান্ড কাঁচা বাজার, বেউথা ও দুধ বাজারের সবজি বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, করলা প্রতিকেজি ৮০ টাকা থেকে কমে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। টমেটো কেজিতে ২০ টাকা কমে ৬০ টাকা, পটল ১০০ থেকে কমে প্রতিকেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্চে।
আরো পড়ুন:
ইলিশে সয়লাব চাঁদপুরের বাজার, দাম আকাশচুম্বী
শেষ কার্যদিবসে পুঁজিবাজারে উত্থান, বেড়েছে লেনদেন
দাম কমেছে শশার। বাজারে দেশি শশা ১০০ থেকে কমে ৮০ টাকা এবং হাইব্রিড শশা ৭০ থেকে কমে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাউ এখন প্রতিপিস ৬০ টাকায় এবং ফুলকপি ৫০ টাকা কমে কেজিপ্রতি ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৬০ টাকাতে।
বেউথা বাজারের সবজি বিক্রেতা আব্দুল কুদ্দুস বলেন, “মাঠে এখন প্রচুর পরিমাণে আগাম জাতের সবজি উঠছে। সরবরাহ বাড়লে দাম আরো কিছুটা কমবে।”
সবজি ক্রেতা হাসিনা বেগম বলেন, “গত সপ্তাহে সবজি কিনতে হাঁসফাঁস করতে হচ্ছিল। এখন দাম কমায় একটু স্বস্তি পেয়েছি। এই ধারা অব্যাহত থাকলে শীতের শুরুতে সবজির দাম আরো কমে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকবে।”
বাসস্ট্যান্ড কাঁচা বাজারের সবজি বিক্রেতা জাকির হোসেন বলেন, “কৃষকদের ফলন ভালো হওয়ায় সবজি বাজারে আসতে শুরু করেছে। দাম কমাতে বিক্রিও বেড়েছে বেশ। বিক্রি বাড়লে মুনাফাও বাড়ে।”
মানিকগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শাজাহান সিরাজ বলেন, “এ বছর অনুকূল আবহাওয়া ও বৃষ্টি কম হওয়ায় সবজির চাষ ভালো হয়েছে। উৎপাদন বেড়ে বাজারে সরবরাহও বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি বছর মানিকগঞ্জে ১২ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আগাম শাকসবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা গত বছরের থেকে এক হাজার হেক্টর বেশি।”
ঢাকা/চন্দন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম ন কগঞ জ দ ম কম র সবজ সবজ র
এছাড়াও পড়ুন:
নিলামে ২০২ মিলিয়ন ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক
দেশের ব্যাংকগুলোতে ডলার সরবরাহ বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বাজার স্থিতিশীল রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ১৩টি ব্যাংক থেকে নিলামে ২০২ মিলিয়ন ডলার কিনেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলার কেনার কারণে বাজার পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর ) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বাজারে বর্তমানে ডলারের চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি। এ কারণেই রিজার্ভ থেকে বিক্রি না করে বাজার থেকেই ডলার কিনছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ভবিষ্যতেও এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ব্যাংকগুলো থেকে মাল্টিপল অকশন পদ্ধতিতে ২০২ মিলিয়ন ডলার কেনা হয়েছে। নিলামের বিনিময় হার ছিল ১২২ টাকা ২৯ পয়সা পর্যন্ত। এই প্রাইসে ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নিলামে ডলার কেনার ফলে বাজারে তারল্য বাড়ছে, রিজার্ভে যোগ হচ্ছে নিলামে কেনা ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২০২৫-২৬ অর্থবছরে মোট দুই হাজার ৫১৪ মিলিয়ন ডলার ক্রয় করেছে। এসব ডলার দেশের ব্যাংকগুলো থেকে মাল্টিপল অকশন পদ্ধতিতে কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ১০ দফা ডলার কিনেছে। এর মধ্যে সর্বশেষ গত ১৪ অক্টোবর ৬টি ব্যাংক থেকে ৩৮ মিলিয়ন ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, দেশে প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স) ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ বাড়ায় ডলারের বাজারে স্থিতিশীলতা এসেছে। দেশের ব্যাংকগুলোতে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে, চাহিদা কমেছে। এ কারণে ডলারের দাম কিছুটা কমেছে। ডলারের দাম আরও কমে গেলে রপ্তানিকারকরা একদিকে সমস্যায় পড়বেন, অপরদিকে রেমিট্যান্স আয় বৈধ পথে আসা কমে যাবে। এমন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলার কেনার সিদ্ধান্ত নেয়।
উল্লেখ্য, গত ১৫ মে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে আলোচনার পর ডলারের বিনিময় মূল্য নির্ধারণে নতুন পদ্ধতি চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তখন থেকে ব্যাংক ও গ্রাহক নিজেরাই ডলারের দর নির্ধারণ করছে।
ঢাকা/নাজমুল//