বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের স্বতন্ত্র বেতনকাঠামোর দাবিতে পে কমিশনে ইউট্যাবের স্মারকলিপি
Published: 26th, October 2025 GMT
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনকাঠামো, গবেষণা ভাতা বৃদ্ধিসহ পাঁচ দফা দাবিতে জাতীয় পে কমিশনে স্মারকলিপি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)। আজ রোববার দুপুরে জাতীয় পে কমিশনের সভাপতির কাছে এ স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
ইউট্যাবের সভাপতি এ বি এম ওবায়দুল ইসলামের নেতৃত্বে সংগঠনের একটি প্রতিনিধিদল পে কমিশনের কার্যালয়ে যায়। তারা পে কমিশনের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান, সদস্য মো.
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ইউট্যাবের কেন্দ্রীয় নেতা আবুল কালাম সরকার, আবদুল করিম, গোলাম রব্বানী, এস এম হাফিজুর রহমান, মো. আলী জিন্নাহ, আসলাম হোসেন, মো. নুরুল আমিন, সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য একটি স্বতন্ত্র উচ্চতর বেতনকাঠামোর দাবিতে স্মারকলিপিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা দেশের উচ্চশিক্ষা, গবেষণা, উদ্ভাবন ও জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি গঠনের মূল ভিত্তি। তাঁদের কঠোর পরিশ্রম ও মেধার দ্বারা আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা ও গবেষণা পরিচালনা সম্ভব হচ্ছে। কিন্তু বর্তমান বেতনকাঠামোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মর্যাদা ও অবদান যথাযথভাবে প্রতিফলিত হয়নি। এর ফলে মেধাবী তরুণেরা শিক্ষকতা পেশায় আসতে অনাগ্রহী হচ্ছেন এবং অনেক অভিজ্ঞ শিক্ষক বিকল্প কর্মক্ষেত্রে যোগদানের চেষ্টা করছেন।
ইউট্যাবের অন্য দাবিগুলো হলো গবেষণালব্ধ জ্ঞান জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিতরণে সম্মেলন বা সেমিনারে ভ্রমণের ও অন্যান্য ভাতা প্রদান; গবেষণা ও প্রকাশনার কাজে উৎসাহিত করতে বিশেষ গবেষণা প্রকাশনা প্রণোদনা ভাতা প্রদান এবং শিক্ষকতা পেশায় দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা আনতে ও শিক্ষকদের সামাজিক মর্যাদা সমুন্নত রাখতে পর্যাপ্ত আর্থিক ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র শ ক ষকদ র ব শ বব দ য ব তনক ঠ ম স ম রকল প ইউট য ব র
এছাড়াও পড়ুন:
ভুটানের পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রতিনিধিদের ডিএসই পরিদর্শন
ভুটানের পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা রয়েল সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ অব ভুটানের (আরএসইবি) চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন। তিন দিনব্যাপী সফরের অংশ হিসেবে গত ২১ অক্টোবর প্রতিনিধি দলটি ডিএসই পরিদর্শন করে।
রয়েল সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ অব ভুটানের প্রতিনিধিদলে ছিলেন- খানদু ওয়াংমো, দর্জি জঙ্গম, জ্যাংচুক ওয়াংদি এবং পেমা ইয়াংছেন।
আরো পড়ুন:
৯ সদস্যের নতুন শরিয়াহ অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল গঠন
নয় মাসে ঢাকা ব্যাংকের মুনাফা কমেছে ২০.৩৬ শতাংশ
ডিএসইর কোম্পানি অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্টের ম্যানেজার নূর-ই হাফসার সার্বিক সহযোগিতায় প্রতিনিধিদলটি প্রতিষ্ঠানটির সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হন। এ সফর শেষে রয়েল সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ অফ ভুটানের প্রতিনিধিদল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
রবিবার (২৬ অক্টোবর) ডিএসইর প্রকাশনা ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আইসিটি ডিভিশনের উপমহাব্যবস্থাপক হাসানুল করিম ভুটান প্রতিনিধিদলকে ডিএসই প্ল্যাটফর্ম ইকোসিস্টেম, ইনফ্রাস্ট্রাকচার ও সিস্টেম, আইসিটি ইনফ্রাস্ট্রাকচার, ক্লিয়ারিং ও সেটেলমেন্ট সিস্টেম, ডিজিটাল সাবমিশন ও ইনফরমেশন ডেসিমিনেশন সিস্টেম, নেটওয়ার্ক সিকিউরিটিজ সলিউশন, ডিএসই টাওয়ার ডেটা সেন্টার ফ্যাসিলিটি, আইসিটি গর্ভান্যান্স ও অপারেশন স্ট্রাকচার, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট, ব্রোকার হোস্টেড ওএমএস, মার্কেট ডাটা সার্ভিস এবং ম্যাচিং ইঞ্জিন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
ডিএসইর প্রোডাক্ট অ্যান্ড মার্কেট ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান সাইদ মাহমুদ জুবায়ের এক প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে প্রতিনিধিদলকে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের কাঠামো, ট্রেডিং ও সেটেলমেন্ট ব্যবস্থার অটোমেশন, ডিএসইর বিভিন্ন পণ্য ও পরিষেবা, বাজারের সাম্প্রতিক উন্নয়ন এবং নতুন প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট উদ্যোগ সম্পর্কে অবহিত করেন।
সফরকালে প্রতিনিধিদল বেশ কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউস পরিদর্শন করে, যেখানে তাদের কার্যক্রম, ক্লায়েন্ট সেবা ও ট্রেডিং প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণের সুযোগ পেয়েছে। এসব অভিজ্ঞতা বাংলাদেশি বাজার প্রেক্ষাপটে ব্রোকারেজ কার্যক্রমের বাস্তব প্রয়োগ ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা সম্পর্কে অভিজ্ঞতা প্রদান করেছে।
ভুটানের প্রতিনিধিদল জানায়, এই সফরটি আমাদের জন্য ছিল অত্যন্ত তথ্যবহুল, সমৃদ্ধ ও অভিজ্ঞতামূলক। এটি আমাদেরকে একটি আধুনিক স্টক এক্সচেঞ্জের কার্যক্রম, ব্যবস্থাপনা ও পরিচালন কাঠামো সম্পর্কে প্রত্যক্ষ ধারণা প্রদান করেছে। ডিএসইর বিভিন্ন বিভাগের উপস্থাপনা ছিল চিন্তাশীল ও জ্ঞানসমৃদ্ধ। এর মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের কার্যপ্রণালী, ট্রেডিং প্রক্রিয়া, ক্লিয়ারিং ও সেটেলমেন্ট ব্যবস্থা, বাজার নজরদারি কাঠামো এবং প্রযোজ্য নিয়ন্ত্রক ফ্রেমওয়ার্ক সম্পর্কে মূল্যবান ধারণা অর্জন করেছি।
প্রতিনিধিদল আরো উল্লেখ করেন, জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার এই বিনিময় উভয় প্রতিষ্ঠানের পারস্পরিক সম্পর্ককে আরো সুদৃঢ় করবে। রয়েল সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ অফ ভুটান ভবিষ্যতেও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সঙ্গে এই সহযোগিতামূলক সম্পর্ক বজায় রাখা এবং জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের নতুন সুযোগ সৃষ্টিতে আগ্রহী।
প্রতিনিধিদল ডিএসইর সামগ্রিক উন্নয়ন কার্যক্রমের অভিজ্ঞতাকে রয়েল সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ অব ভুটান লিমিটেডের উন্নয়নে কাজে লাগানোর বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ডিএসইর প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আসাদুর রহমান ভুটানের প্রতিনিধিদলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “কারিগরি সহায়তা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ রয়েল সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ অব ভুটান লিমিটেডের সার্বিক উন্নয়নে সহযোগিতায় আগ্রহী। আমরা বিশ্বাস করি, এই সহযোগিতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে এবং উভয় দেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
তিনি বলেন, “এই অঞ্চলের পিয়ার ইকোনমি- বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, পাকিস্তান ও ভুটান প্রযুক্তি ও বাজার উন্নয়নের ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে উন্নয়নের অনেক সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে। এ ধরনের আঞ্চলিক সহযোগিতা বাজার কাঠামো ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতাকে আরো সমৃদ্ধ করবে।”
তিনি আরো বলেন, “বাংলাদেশের পুঁজিবাজার মূলত ইক্যুইটি ভিত্তিক। তবে আমরা ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের এসএমই ও এটিবিতে অন্তর্ভুক্ত করতে এবং প্রযুক্তি স্থানান্তরের মাধ্যমে নতুন সুযোগ তৈরি করতে কাজ করছি। এই উদ্যোগের মাধ্যমে প্রযুক্তি ও উদ্যোক্তাদের মধ্যে অংশীদারিত্ব বাড়বে, যা পুঁজিবাজারের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
ঢাকা/এনটি/মেহেদী